শহরে বেআইনি বাড়ি নির্মাণের অভিযোগে দেড় মাসে প্রায় ৩০০ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর করেছে পুর প্রশাসন। গ্রেফতার হয়েছেন শ’খানেক ব্যক্তি। মঙ্গলবার পুরসভায় বেআইনি বাড়ি নির্মাণ রোধে কলকাতা পুলিশের সঙ্গে পুর প্রশাসনের বৈঠকে কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে তথ্যটি জানানো হয়।
বৈঠকে হাজির ছিলেন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়, পুর কমিশনার খলিল আহমেদ এবং কলকাতার অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়। পরে মেয়র বলেন, “বেআইনি বাড়ি ভাঙার কাজ চলবে। কেউ বাধা দিতে এলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে পুলিশ।”
গত ১৫ মে নাকতলায় একটি বেআইনি বাড়ি ভেঙে ফেলায় প্রোমোটারের লোকজনের কাছে হেনস্থা হয়েছিলেন পুরসভার ১০ নম্বর বরোর এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার। এমনকী, পুলিশের সামনেই ওই ইঞ্জিনিয়ারকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ উঠেছিল।
তার পরেই নিরাপত্তার দাবিতে পুরসভার সমস্ত বরোর এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারেরা পুর কমিশনারের দ্বারস্থ হন। তাঁদের অভিযোগ ছিল, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই স্থানীয় থানা প্রোমোটারদের বিরুদ্ধে নীরব থাকায় বেআইনি বাড়ি নির্মাণের প্রবণতা বাড়ছে। যদিও পুলিশের অভিযোগ ছিল, পুরসভার ইঞ্জিনিয়ারদের ‘মদতেই’ ওই সব বাড়ি গড়ে উঠছে। সেই দিনই বিষয়টি নিয়ে পুলিশ কমিশনার সুরজিৎ কর পুরকায়স্থের সঙ্গে কথা বলেন খলিল আহমেদ। তারই ভিত্তিতে এ দিন পুর ভবনে বৈঠক হয় পুলিশ ও পুর প্রশাসনের। সিদ্ধান্ত হয় এ বার থেকে নিয়মিত বেআইনি বাড়ি ভাঙার কাজ চালিয়ে যাবে পুরসভা। আর সব ক্ষেত্রেই পর্যাপ্ত পুলিশবাহিনী থাকবে।
পুরসভার বিল্ডিং দফতরের ডিজি (২) দেবাশিস চক্রবর্তী মঙ্গলবার বলেন, “এ দিনও তিনটি বেআইনি বাড়ি ভাঙা হয়েছে। এর মধ্যে একটি ৩২/২ ডিপিপি রোডে। নাকতলার যে প্রোমোটারের বিরুদ্ধে পুর ইঞ্জিনিয়ারকে হেনস্থা করার অভিযোগ উঠেছিল, এটি তাঁরই বানানো বাড়ি।” পুর সূত্রের খবর, বাড়িটির পাঁচতলার অনুমোদন থাকলেও ৬ তলা করা হয়েছিল। অতিরিক্ত তলটি এ দিন ভেঙে ফেলেন পুরকর্মীরা। এ ছাড়া ৭/১ লর্ড সিন্হা রোডে বেআইনি ভাবে নির্মিত একটি ৪ তলা বাড়িও ভাঙা হয়। বিধান সরণিতেও একটি বাড়ির বেআইনি অংশ ভেঙে ফেলেন পুরকর্মীরা। |