|
|
|
|
নিম্নমানের ইট ব্যবহারের নালিশ |
ছাত্রী আবাস নির্মাণে বাধা
নিজস্ব সংবাদদাতা • রামপুরহাট |
আদিবাসী ছাত্রী নিবাস নির্মাণে নিম্নমানের ইট ব্যবহার করা হচ্ছে। এই অভিযোগে রামপুরহাট থানার খরবোনা গ্রামে মঙ্গলবার বাসিন্দাদের একাংশ ওই ছাত্রী নিবাস নির্মাণের কাজ বন্ধ করে দেন। গ্রামবাসী স্বরূপ রতন সিংহের দাবি, “নিম্নমানের ইট ব্যবহার করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে একাধিকবার জেলা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের তরফে অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলা পরিষদ) কাজের রিপোর্ট চেয়েছেন এবং অভিযোগ দেখে ব্যবস্থা নিতে বলেছেন। তার পরেও নিম্নমানের ইট দিয়ে কাজ চলছে। তাই কাজ বন্ধ করে দিয়েছি।”
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বিআরজিএফ প্রকল্পে ৫৪ লক্ষ ৪০ হাজারের বেশি টাকায় ৫০ জন আদিবাসী ছাত্রীর জন্য খরবোনা উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় গত জানুয়ারি মাস থেকে আবাস নির্মাণের কাজ শুরু করে একটি সংস্থা। বহরমপুর থেকে ইট আনা হয়েছে। কাজ শুরুর পর থেকেই ওই সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা দেন গ্রামবাসীদের একাংশ।
পূর্ত দফতরের (নির্মাণ) রামপুরহাট বিভাগের সহকারী বাস্তুকার ধীরেন্দ্রনাথ সাহা বলেন, “অতিরিক্ত জেলাশাসককে (জেলা পরিষদ) কাজের রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে। এর পরে কাজটি যাতে ভাল হয় সে জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। কাজ বন্ধ হওয়ার খবর আমার কাছে নেই।” ওই দফতরের জেলা নির্বাহী বাস্তুকার শুভ্রজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের সিউড়ি অফিসে যোগাযোগ করা হয়েছিল। তিনি কলকাতায় রয়েছেন বলে সেখান জানানো হয়। এ দিকে, রামপুরহাট মহকুমাশাসক রত্নেশ্বর রায় বলেন, “কাজ বন্ধ করে দেওয়ার খবর পেয়েছি। সংশ্লিষ্ট দফতরের সঙ্গে কথা বলা হবে। অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখে ফের কাজ চালু করার ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে বলাও হবে।” |
|
|
|
|
|