বাম আমলের অশান্ত বর্ধমান বদলে গিয়েছে তাঁদের আমলে, ভাতারে দলীয় সভায় এমনটাই দাবি করলেন তৃণমূলের মহাসচিব তথা রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। আর এ জন্য দলের কর্মী-সমর্থকদেরই কৃতিত্ব দিলেন তিনি। এরই সঙ্গে দলীয় কর্মীদের মানুষের কাছে গিয়ে তাঁদের সমস্যার কথা শোনার পরামর্শও দিলেন।
মঙ্গলবার ভাতারের মাধব পাবলিক হাইস্কুলের মাঠে রাজ্যে তৃণমূল পরিচালিত সরকারের দু’বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত সভায় পার্থবাবুর অভিযোগ করেন, “আমি বারবার বর্ধমানে এসেছি। দেখেছি সিপিএম কী অত্যাচার করেছে! তৃণমূল করার অপরাধে মানুষের জমি কেড়ে নেওয়া হয়েছে। বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। পরপর খুন হয়েছে। নেতাইয়ে, নন্দীগ্রামে খুন হতে দেখেছি কত জনকে। তবু তো আমরা বদলা নিইনি। বদল চেয়েছি। তা এনে দিয়েছেন আমাদের কর্মীরা।” |

তৃণমূলের সভা। —নিজস্ব চিত্র। |
এ দিনের সভায় হাজির ছিলেন রাজ্যের আরও তিন মন্ত্রী তথা জেলার তৃণমূল বিধায়ক মলয় ঘটক, স্বপন দেবনাথ ও রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায়। পার্থবাবু বলেন, “সিপিএম নেতারা মাঝে-মধ্যে বলছেন, রাজ্য সরকার কী উন্নয়ন করছে, দেখতে পাচ্ছি না। আমরা এত বড় করে বিজ্ঞাপন দিচ্ছি, তাতেও যদি বুঝতে না পারেন তা হলে কাগজ-কলম নিয়ে আমার কাছে বসুন। সাত বার আপনাদের হাতে পঞ্চায়েতগুলো ছিল, পেরেছেন উন্নয়ন করতে? পেরেছেন একশো দিনের কাজে দেশে প্রথম হতে?” এর পরেই তিনি যোগ করেন, “ওরা যখন প্রশ্ন তোলে, সরকার কী উন্নয়ন করেছে, তখন একটা কথাই বলতে ইচ্ছে করে, যদি উন্নয়ন দেখতে না পাও, তাহলে ঘুমিয়ে থাকো।”
বর্ধমানে বাম আমলে অশান্ত সময়ে পুলিশও নীরব দর্শকের ভূমিকা নিত বলে দাবি করেছেন রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী। তাঁর কথায়, “মঙ্গলকোটে গিয়ে সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা বসে আছি। কাস্তে-কুড়ুল-বন্দুক হাতে সিপিএমের বাহিনী গ্রামে ঢুকতে দেয়নি। পুলিশ নির্বাক দাঁড়িয়ে রয়েছে। আমি বলেছি, ওদের সরান। ওরা বলেছে, আপনার আর এগোনো ঠিক হবে না।”
সিপিএমকে আক্রমণের পাশাপাশি দলীয় কর্মীদেরও নানা পরামর্শ দেন পার্থবাবু। তিনি বলেন, “আমাদের আত্মসমালোচনা করতে হবে। মানুষের কাছে যান। জিজ্ঞাসা করুন, কী ধরনের সমস্যায় তাঁরা ভুগছেন। সে সব সম্পর্কে আমাদের জানান।” তিনি দাবি করেন, পঞ্চায়েত ভোট কবে হবে, সে জন্য বসে না থেকে তাঁরা ভোটের জন্যও প্রস্তুত হয়েছেন। |