পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে পরপর রাজনৈতিক সংঘর্ষের ঘটনায় উদ্বিগ্ন জেলা প্রশাসন কোচবিহারে সর্বদল বৈঠক ডাকার ভাবনা শুরু করেছে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি হলে বিধি মেনে সমস্ত রাজনৈতিক দলের নেতাদের নিয়ে বৈঠক ডাকতে হবে। সেখানেই জেলার রাজনৈতিক সংঘর্ষ বন্ধের বিষয়টি আলোচ্যসূচিতে যুক্ত করা হতে পারে। জেলাশাসক মোহন গাঁধী বলেন, “পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হচ্ছে। পুলিশ সুপারের সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।” পুলিশ সুপার অনুপ জয়সওয়াল মন্তব্য করতে চাননি।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত এক সপ্তাহে জেলায় চারটি রাজনৈতিক গোলমালের ঘটনা ঘটে। তিনটি ঘটনা হয়েছে দিনহাটা থানা এলাকায়। রবিবার রাতে পাতলাখাওয়ায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। তৃণমূল ও বামফ্রন্ট দুই শিবিরই পরস্পরের বিরুদ্ধে বাড়ি ভাঙচুর, মারধরের অভিযোগ তুলেছে।
ফরওয়ার্ড ব্লকের জেলা সম্পাদক উদয়ন গুহ বলেন, “সর্বদল বৈঠক করে আখেরে লাভ হবে না। অশান্তি এড়াতে সরকারের সদিচ্ছা দরকার।” সিপিএমের জেলা সম্পাদক তারিণী রায়ের কথায়, “নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী আসবে না বুঝেই এই প্রবণতা বন্ধ করা না গেলে অশান্তি বাড়বে।” কংগ্রেস ও বিজেপি নেতৃত্ব অবশ্য পরিস্থিতি সামলাতে সর্বদল বৈঠকের দাবি তুলেছে। জেলা কংগ্রেস সভাপতি শ্যামল চৌধুরী বলেন, “অশান্তি বন্ধে নির্বাচন কমিশন যা বলছে সেগুলির বাস্তবায়ন ছাড়া অশান্তি এড়ানো মুশকিল।” বিজেপি’র রাজ্য সাধারণ সম্পাদক বিশ্বপ্রিয় রায়চৌধুরী সোমবার সাংবাদিক বৈঠক করে বলেন, “আমরা সর্বদল বৈঠক করে সমস্যা সমাধানের দাবি জানাচ্ছি।” তৃণমূলের জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “বিরোধী দল একজোট হয়ে পঞ্চায়েত ভোট বানচাল করতে চাইছে। তার জেরেই পরিকল্পিতভাবে আমাদের কর্মীদের হামলা করে উল্টে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করছে। পুলিশ নিরপেক্ষভাবে কাজ করছে। সর্বদলের কোনও প্রয়োজন নেই।” |