গরম পড়তেই জলকষ্টে পড়েছেন বেলডাঙা-১ ব্লকের প্রায় ২৫ হাজার মানুষ। ব্লকের কাপাসডাঙা পঞ্চায়েতের চৈতন্যপুর-১, চৈতন্যপুর-২, মহুলা-২ এলাকার মানুষ পানীয় জল পাচ্ছেন না। পানীয় জলের আকালের কারণ ভূগর্ভের জলস্তর নেমে যাওয়া। স্থানীয় বাসিন্দা ও পঞ্চায়েত প্রতিনিধিদের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে অকেজো হয়ে পড়ে থাকা নলকূপগুলো সারানো হয় নি। তার জেরেই এই সমস্যা।
বেলডাঙার ভাদুর গ্রামের বাসিন্দা বিকাশ মণ্ডল বলেন, “গ্রামে আটশো পরিবারের বাস। প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই নলকূপ থাকলেও জলস্তর নেমে যাওয়ায় সমস্যা হচ্ছে। শুধুমাত্র সিলিন্ডার টিউবওয়েল থেকে জল পাওয়া গেলেও তা পর্যাপ্ত নয়।” মহুলা-২ পঞ্চায়েতের করকাটা গ্রামের বাসিন্দা সেলিমউর রহমান জানান, জলের জন্য রাত থেকে নলকূপের সামনে লাইন দিতে হয়। তাও না পেলে দশ কিমি দূরে যেতে হয় অথবা কিনে জল খেতে হয়। তিনি আরও জানান, ছ’মাস আগে এই গ্রামে এক শিশুর ডাইরিয়ায় মৃত্যু হয়। ১৮ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। প্রশাসন তবুও কোনও ব্যবস্থা নেয় নি। এলাকায় বিডিও এসে আসের্নিক মুক্ত নলকূপ বসানোর প্রতিশ্রুতি দিলেও তার কাজ হয়নি।
গ্রামে একটি মসজিদ কমিটির ও আরেকটি ব্যক্তিগত মালিকানার কুয়ো রয়েছে। মানুষ সেই জলও খেতে বাধ্য হচ্ছেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, প্রশাসনের উচিত ওই কুয়ো দু’টোর সংস্কার করা। কাপাসডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূলের সাজিবুর রহমান শেখ বলেন, “পানীয় জলের কষ্ট চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে। অকেজো নলকূপ সারানো হলেও জলস্তর নেমে যাওয়ায় সমস্যা হচ্ছে।”
বেলডাঙা-১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কংগ্রেসের সুখেন হালদার বলেন, “সাধারণ মানুষের জলকষ্ট কমাতে বেলডাঙার দশটি স্থানে জল সরবরাহের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। রিজারভারের জন্য জায়গাও পেয়েছি। তবে অর্থ সমস্যার কারণে প্রকল্পগুলিকে বাস্তবায়িত করতে পারছি না।” বেলডাঙা-১ ব্লকের বিডিও সঞ্জয় বিশ্বাস বলেন, “জনস্বাস্থ্য কারিগরী দফতরকে সমস্যার কথা জানিয়েছি। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” |