|
|
|
|
গালাগালি দিয়ে বাজার জমাতে আসিনি |
রাজপথের হোর্ডিং থেকে শুরু করে সিনেমা হল। রঙ্গমঞ্চ। সর্বত্র তিনি— শিক্ষামন্ত্রী।
অথচ গৌতম ভট্টাচার্য-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ব্রাত্য বসু-র দাবি, তিনি নীরব কাজের মানুষ |
|
নীল পাঞ্জাবি ছাড়া এখন আপনাকে দেখাই যায় না।
মোটেও না। কী যে বলেন!
আপনার বাড়িতে এখন সবই বোধ হয় নীল পাঞ্জাবি?
না, না। নীল পাঞ্জাবি মাত্র একটা।
হতেই পারে না। সব জায়গায় তাহলে ওই একটা পাঞ্জাবি পরে যান?
বললাম তো, নীল মাত্র একটা। কালো পাঞ্জাবি আছে চারটে। আর লাল দু’টো। খেয়াল করে দেখবেন আমি কালো পরি বেশি।
মমতা নাকি লাল বরদাস্ত করতে পারেন না। কখনও গেছেন ওঁর সামনে লাল পাঞ্জাবিতে?
অনেক বার গেছি। কখনও উনি কিছু বলেননি।
সত্যি?
একেবারে তাই (একটু নীরবতার পর)। তা বলে এটা আবার হেডলাইন করে দেবেন না যেন।
|
সেই নীল
পাঞ্জাবিতে |
কলকাতার রাজপথে এখন তাকালেই আপনি। হোর্ডিংগুলোয় হয় নাটক, নয় ফিল্ম।
ভাল লাগছে। একটা অনিশ্চয়তাও কাজ করছে। অনেক দিন পর একটা বড় ইনিংসের আশায় নেমেছি। সাইট স্ক্রিনটা স্পষ্ট হয়েছে। এখন ৬০/৭০ রান উঠলেই হয়।
শুক্রবার ছবি রিলিজ করল। বুধবার আবার নতুন নাটক। ‘সিনেমার মতো’। এটা কি সচেতন ভাবে নাগরিক জীবনে ব্রাত্যর সঙ্গে সাত দিন?
একেবারেই না। কথা হয়েছিল ‘মহাপুরুষ ও কাপুরুষ’ রিলায়্যান্স রিলিজ করবে ৩ তারিখ। সেই মতো আমার নতুন নাটক নামানো প্ল্যান করি ২২ মে। কিন্তু গত মাসের শেষে গিয়ে জানতে পারি ওরা হল না পাওয়ায় ছবিটা পিছোতে পিছোতে ১৭ মে-তে চলে গেছে। কার্যত নতুন ফিল্ম আর নতুন নাটকের মধ্যে গ্যাপ-ই থাকল না। গ্যাপ থাকলে ভাল হত।
গ্যাপের দরকার কেন?
আসলে থিয়েটারটা আমার নিজের দল নিয়ে। চার বছর পর নতুন নাটক নিয়ে এসেছি। আমার একটা মস্ত বড় আশঙ্কা হচ্ছিল ফিল্মের তলায় নাটকটা চাপা পড়ে যাবে না তো? তাই গ্যাপ না থাকাটা খুব অপছন্দ হচ্ছে।
গুগল সার্চ ইঞ্জিন বলছে, ব্রাত্য বসু বেঙ্গলি প্রফেসর, ড্রামাটিস্ট, ডিরেক্টর, অ্যাক্টর অ্যান্ড আ পলিটিশিয়ান। একটা মানুষের এতগুলো ল্যাজ থাকলে তো ছোটমোটো এই জাতীয় ভোগান্তি হবেই।
আমার তো চয়েসই এই সব পরিচয়গুলো। ভোগান্তি বলব কেন?
কিন্তু নানাবিধ পরিচিতির মধ্যে এই যে কন্ট্রাডিকশন। সেটা জ্বালায় না?
আমার কন্ট্রাডিকশান বলে মনে হয় না। তখন অধ্যাপনা করতাম। এখন মন্ত্রিত্ব করি। আর নাটক তো বরাবরই ছিল। ফিল্মও করতাম।
বাড়ির প্রেক্ষাপট অনুযায়ী আপনার গন্তব্য তৃণমূলের হয়ে বিকাশ ভবন হওয়ার কথা নয়। তা ছাড়া নাট্য ব্যক্তিত্বরা সাধারণত অ্যান্টি ইনস্টিটিউশনাল হন। তাঁদের সৃষ্টি আর দৃষ্টিভঙ্গির মজ্জায় মিশে থাকে প্রতিষ্ঠান বিরোধিতা। সেই গোলার্ধের মানুষ হয়ে মন্ত্রিত্ব করতে বসার মধ্যে কি কোথাও বড় রকমের কন্ট্রাডিকশন লুকিয়ে নেই?
আমি কোনও কন্ট্রাডিকশন দেখি না। আমায় বলুন তো নাট্যকারেরই একমাত্র প্রতিষ্ঠান বিরোধী হওয়ার দায় থাকবে কেন? কেন সেই দায়টা ফিল্ম পরিচালকের থাকবে না? কেন সেই দায়টা চিত্রশিল্পীর থাকবে না? কেন কোনও সাহিত্যিকের থাকবে না? কেন থিয়েটারকেই আমরণ সেই দায় বহন করে বেড়াতে হবে? তো নাটকের কেউ সেই দায় নিতে রাজি হলে হোক। আমি নিতে রাজি নই। বাকিরা নিক না কিছু দায়িত্ব!
বাকিরা তো আর মন্ত্রী হয়নি।
সে তো আমি ঘটনাক্রমে মন্ত্রী হয়েছি। আমি যদি মন্ত্রী না-ও থাকতাম, তবু মঞ্চ থেকে থিয়েটারের লোক হিসেবে প্রত্যাশাটা আমার কাছে থাকত। কেন শুধু থিয়েটারের লোক বলেই এই প্রত্যাশাটা থাকবে— লার্জলি এই প্রশ্নটা করতে চাইছি।
থিয়েটার বলে বোধহয় মানুষ মনে করে, এটা তাদের খুব কাছাকাছি।
সাহিত্য কাছাকাছি নয় তাহলে বলছেন? সঙ্গীত কাছাকাছি নয়? ফিল্ম কি নয় কাছাকাছি? তার মানে বিভাজনটা হল, বাকিগুলো গ্ল্যামারাস। আর থিয়েটার মানে হাড়ভাঙা খাটুনি খাটা সাধারণ মানুষের দল। যাদের মাঝেমধ্যে বিদ্রোহ করতে হবে। এই বিভাজনটা আমার মোটেও পছন্দ নয়।
আপনারই সমসাময়িক কৌশিক সেন। সুমন মুখোপাধ্যায়। কোথাও গিয়ে কি এদের ঈর্ষা হয় যে, রাজনীতির এই টালমাটাল সময়ে মাঠে-বনে-জঙ্গলে যেখানে যা কিছু বলার স্বাধীনতা আছে এদের। আমার নেই। আমি তো মন্ত্রীজি হয়ে গিয়েছি। তাই ওরা যেমন অকুতোভয়ে ফিল্ম বানাচ্ছে বা কথাটথা বলছে, গদিতে বসা আমি সেটা পারছি না!
আমার মনে হয় না। ওরা যদি কমেন্ট করে ওদের কমেন্ট করার অধিকার আছে। আর একটা কথা আমি বিশ্বাস করি। কোনও স্বাধীনতাই চূড়ান্ত নয়। হওয়া উচিতও নয়। নিজের পার্টির কোনও পলিসি আমার হয়তো পছন্দ না-ও হতে পারে। কিন্তু আমি যত দিন বিধায়ক বা সাংসদ, যত দিন পার্টির কোনও পরিচয় বহন করছি, তত দিন পর্যন্ত আমার বাইরে কোনও কথা বলা উচিত নয়। ভেতরেই কথা বলা উচিত। আবার বলছি, এই কথাগুলো কি শুধু নাটকের লোককেই বলতে হবে? কেন সঙ্গীতের লোক বলবে না? কেন ফিল্মের লোক বলবে না?
তারাও তো বলছে। শতাব্দী রায় কিছু দিন আগেই শান্তিনিকেতনে বসে রাজ্য পুলিশের ‘নিষ্ক্রিয়তা’র বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন...
শতাব্দী রায় কী বলেছেন, আমি জানি না। আমি যত দিন এই দলের সদস্য হয়ে থাকব, তত দিন প্রকাশ্যে এমন কোনও কথা বলতে চাই না যা আমার দল বা দলনেত্রীকে বিড়ম্বনায় ফেলতে পারে। অন্তত পাবলিক ডোমেইনে তো বলতেই চাই না। আমার মতে কাউকে যদি মুখ খুলতেই হয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে সরাসরি বা ভেতরে কোর কমিটির সামনে বলা উচিত। আমার নিজের শিক্ষা আমাকে তাই বলে।
|
|
স্টেজ রিহার্সালে শিক্ষামন্ত্রী। ‘সিনেমার মতো’। প্রথম শো বুধবার। |
প্রেসিডেন্সি কলেজে যখন তৃণমূল গণ্ডগোল করল, তখন কলেজের প্রাক্তন ছাত্র হিসেবে আপনার ওপর অনেকের আশা ছিল। প্রেসিডেন্সিয়ানদের একাংশ মনে করেন সেই আশাটা সম্পূর্ণ প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। কলেজ আক্রান্ত দেখেও প্রাক্তন ছাত্রসত্তাকে গুরুত্ব না দিয়ে আপনি মন্ত্রী সত্তাকেই গুরুত্ব দিয়েছেন। যাকে বলা যায় গদিসত্তা।
কী রকম?
হামলাকারীদের কোথায় কড়া নিন্দা করবেন। বা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন। তা নয়। আপনি নাকি সহ-উপাচার্যকে বলে আসেন, এ ভাবে সরকারের বিরুদ্ধে বিবৃতি দেবেন না!
আপনি নিজেই তো বললেন আমি প্রেসিডেন্সির প্রাক্তনী। মন্ত্রিত্ব আমার বর্তমান। বর্তমানকে তো বেশি গুরুত্ব দিতেই হবে। আমার স্মৃতিকাতরতা আর শ্রদ্ধা নিশ্চয়ই পুরনো কলেজ সম্পর্কে আছে। কিন্তু এটা তো আমাকে বলতেই হবে, প্রেসিডেন্সির ঘটনায় যে ভাবে মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী রিঅ্যাক্ট করেছেন, যে ভাবে দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছেন তা অত্যন্ত সঙ্গত। খুব অভিপ্রেত। স্বয়ং ভিসি এতে আশ্বস্তবোধ করেছেন। অ্যারেস্টও হয়েছে। আমার তো মনে হয় সরকারি হস্তক্ষেপ ঠিকই হয়েছে। অভব্যতা বরদাস্ত করা হয়নি। ভবিষ্যতে হবেও না।
প্রেসিডেন্সি আবার কাল ঘটল। ব্রাত্য বসু আর মন্ত্রী নেই। কৌশিক সেনের মতো স্রেফ নাট্যকার-অভিনেতা। প্রতিক্রিয়া কী হত?
কী আবার হত। আজ যে ভাবে ঘটনার নিন্দা করছি সে ভাবে করতাম!
সাধারণ ধারণা হল, ফুটবলে যেমন একটা টিম দৃপ্ত ভঙ্গিতে মাঝমাঠের দখল নেয়, মন্ত্রিত্বে বসে সেভাবেই আপনি শুরু করে ছিলেন। কিন্তু যেদিন বলে বসলেন, শিক্ষকরা সরকারি কর্মচারী নন। ধর্মঘটে তাঁরা কে এসেছেন না-এসেছেন, আমি খোঁজ নিতে যাব না। তার পরের দিন থেকে আপনার বিদ্রোহ ফুস। নতুন শিক্ষামন্ত্রীর উদয়। যিনি আপসকামী।
আপসকামী?
হ্যাঁ, আপাদমস্তক।
প্রবলেমটা হল, আপনারা মনে করেন একমাত্র মুখ খোলাতেই বাহাদুরি আছে। কাজ করে যাওয়ার কোনও দাম নেই। যে যত মুখ খুলবে সে তত বাহবা পাওয়ার যোগ্য। ততই তো হাততালি পাওয়া মাদারি কা খেল। যে যত নীরবে কাজ করবে সে তত পান্তা ভাত। মিয়োনো নুডল যার কোনও ধোঁয়া নেই। আমার কাছে জরুরি হল, কাজ করে যাওয়া। আটটা কাজ হয়তো পারব না। কিন্তু ছ’টা কাজ যদি পারি, সেটাই যথেষ্ট। মাদারি কা খেল-য়ে আমার বিন্দুমাত্র ইন্টারেস্ট নেই।
শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে মনে করেন আদৌ কাজ হয়েছে? বরঞ্চ বাম আমলে যে সব অসন্তোষের কথা শোনা যেত, আজও সেগুলো শোনা যায়।
কী যে বলেন? গত দু’বছরে শিক্ষাক্ষেত্রে অনেক পরিবর্তন হয়েছে। আগামী বছরগুলোতে যা টের পাওয়া যাবে। শিক্ষা এমন একটা জিনিস যার ফলটা ইমিডিয়েট না। এটা দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি নয়। এর রিঅ্যাকশনটা লেট। সবিনয়ে জানাই, দু’বছর আগেও পশ্চিমবঙ্গ সারা দেশে শিক্ষাক্ষেত্রে ছিল ১৭ নম্বর। এখন উঠে এসেছে তিন নম্বরে।
মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের অ্যানুয়াল রিপোর্টে কিন্তু এমন কোনও পরিসংখ্যানের উল্লেখ নেই। এটা কোথা থেকে পেলেন?
এইচআরডি মিনিস্ট্রিরই রিপোর্ট। একটা সর্বভারতীয় ম্যাগাজিনে বেরিয়েছে। একদিন আপনাকে দেখাব।
আপনি নিজে নাটকের লোক। অথচ মমতা মন্ত্রিসভায় আপনার অবস্থান একেবারেই অনাটকীয়। আপনি আর মণীশ গুপ্ত হলেন সেই দু’জন মন্ত্রী, যাঁদের শেয়ারের কখনও বিশাল ওঠাপড়া নেই।
অ্যাঁ (কিছুক্ষণ নিস্তব্ধ) আমি আর মণীশ গুপ্ত... বললাম তো, আমি আমার কাজটা নীরবে করে যেতেই পছন্দ করি। আর সেটা যদি অনাটকীয় হয়, তার দৃষ্টিভঙ্গির সমস্যা! অমুকে যদি প্রতিবাদী হত, গালাগালি দিত, তাহলে বাজারটা জমত। কিন্তু আমি বাজার জমাতে আসিনি। কাজ করতে এসেছি। মিডিয়া যদি নুইসেন্স ভ্যালুকে বেশি গুরুত্ব দেয় তাহলে আমার কিছু করণীয় নেই। সত্যজিৎ রায় তো আর ফ্লোরে বসে মদ খাননি, বরঞ্চ প্রোডাকশন ম্যানেজারকে ক’কাপ চা খেয়েছেন, তারও হিসেব বুঝিয়ে দিয়েছেন। বাঙালির একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশের কাছে সেটা কিন্তু বহুচর্চিত নয়। মিডিয়াও সেটা গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করে না। আমরা বরঞ্চ ঋত্বিক ঘটকের মদ খাওয়ার মিথ নিয়ে কথা বলে যেতেই বেশি আগ্রহী
থাকি। বললাম না দৃষ্টিভঙ্গির সমস্যা যে, কারণে অকারণে গর্জে ওঠাকে অনেকে অব্যর্থ বক্স অফিস দেখে। আমি সেই সহজ রাস্তায় হাঁটতে তৈরি নই।
বিকাশভবনে বসে হারিয়ে যাওয়া প্রতিবাদী ব্রাত্য বসুর জন্য কষ্ট হয়?
আমি তো কোথাও হারিয়ে যাইনি। আমি তো কাজ করে যাচ্ছি। লিখছি, নিজের দল পরিচালনা করছি। মন্ত্রী হিসেবে কাজকর্ম করছি। হারিয়ে গেলাম কোথায়?
এই যে ‘মহাপুরুষ ও কাপুরুষ’য়ের জন্য ন্যাড়া হওয়া। এটাও কি একটা প্রাণপণ ঝাঁপানো নয় যে, অন্য কোথাও পারছি না। এখানে অন্তত চরিত্রের জন্য পুরোটা যাই।
ধ্যাৎ, কী যে বলেন না। মন্ত্রী না হলেও আমি ফিল্মের জন্য ন্যাড়া হতাম।
আপনি অসম্ভব ফুটবলভক্ত বলে জিজ্ঞেস করছি, সত্তরের দশকের কোন ফুটবলারের সঙ্গে আপনার এখনকার অবস্থানের মিল?
আপনার কী মনে হয়?
সমরেশ চৌধুরী। যে বুদ্ধি করে খেলত। টাফ ট্যাকলে যেত না।
আমি তো মনে করি, আমার
মিল হাবিবের সঙ্গে। যে অক্লান্ত
পরিশ্রম করত। জার্সিকে সম্মান
করত। আর দলের জন্য টাফ ট্যাকলে যেত।
হাবিব কি পুরনো বন্ধুদের এ ভাবে ভুলে যেত? সুমনের ছবি যখন সেন্সরে সমস্যায় পড়ল। ‘কাঙাল মালসাট’য়ের দিকে আপনি তো কোনও সাহায্যের হাত বাড়াননি?
(কিছুক্ষণ চুপ) অ্যাঁ, সুমন এটা নিয়ে কথা বলেনি। ‘কিং লিয়র’ নিয়ে যখন মিনার্ভাতে ওর একটা সমস্যা
হয়েছিল, আমরা তো আলোচনা করেছিলাম। রাস্তাও বেরিয়েছিল। জানেন কিনা জানি না, গত সরকারের সময় লিয়রের যত শো হয়েছে, তার চেয়ে আমাদের আমলে বেশি হয়েছে। সুমন এ বারও কথা বলতে এলে বলতাম।
নতুন নাটক দেখতে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে আমন্ত্রণ জানাবেন?
আমি কোনও দিনই ওঁকে নাটক দেখার জন্য আমন্ত্রণ জানাইনি। তা হলে হঠাৎ এই প্রশ্ন উঠছে কেন? তবে উনি নিজে থেকে দেখতে এলে আমার কোনও আপত্তি নেই।
বুদ্ধদেব পার্টিতে থাকার সময়ও ‘দুঃসময়’ লিখেছিলেন। সে মন্ত্রিত্ব যতই ছেড়ে দিন। দলে থেকেও সেই সাহসী মনোভাবের জন্য কোথাও মনে মনে ওঁকে স্যালুট করেন?
ধুর, ওটা মিডিয়ার তৈরি করা একটা ‘মিথ’। বুদ্ধদেব লিখেছিলেন বিজেপিকে আক্রমণ করে যে, দেশ ধর্মান্ধতার দিকে যাচ্ছে। হিন্দু ধর্ম মানুষকে গ্রাস করছে, এই সব। তার সঙ্গে সিপিএম বা তাঁর ব্যক্তিগত ‘দুঃসময়’য়ের কোনও সম্পর্ক ছিল না। ওটা মিডিয়া ধরে নিয়েছিল যে, পার্টির দুঃসময়কে বুঝি বিদ্রুপ করছেন। বা নিজের অবস্থান সম্পর্কে বলছেন। আমি যেহেতু নাটকটা পড়েছি, তাঁকে বাহবা দেওয়ার কোনও কারণ
খুঁজে পাইনি। |
|
|
|
|
|