ক্রিকেটীয় স্পিরিটের প্রত্যাবর্তন দেখাল চিন্নাস্বামী |
শ্রীসন্তের কলঙ্কও চাপা পড়ল জাহিরের সংকল্পে
নিজস্ব প্রতিবেদন |
এক দিকে গড়াপেটার অন্ধকার। অন্য দিকে ক্রিকেটীয় স্পিরিট। ম্যাচ গড়াপেটাকে পিছনে ফেলে ক্রিকেটীয় প্রত্যাবর্তন কাকে বলে, সেটা দেখাল চিন্নাস্বামী। এও বোঝা গেল, সঙ্কল্পে অটল থাকলে হোটেলের ঘর ভাড়া করে বুকিদের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করার প্রয়োজন পড়ে না।
দুই পেসার। দু’জনেই বলটা ছাড়েন সিম সোজা রেখে। দু’জনেই ভারতীয় জার্সি পরেছেন একটা সময়। এক জন শ্রীসন্ত যখন তাঁর কীর্তিতে অন্ধকারে ডুবিয়েছেন আইপিএলকে, তখন অন্য জন জাহির খান সেই আইপিএলকেই বেছে নিলেন প্রত্যাবর্তনের মঞ্চ হিসেবে। |
জাহির খান: ৪-১৭ |
ক্রিকেটারদের লড়াই তো এল পরে। তার আগে চিন্নাস্বামী দেখল ক্রিকেটীয় স্পিরিটের প্রত্যাবর্তন। বৃষ্টিতে ম্যাচ নিয়ে যখন সংশয়, চিন্নাস্বামীর মাঠকর্মীদের দেখা গেল সুপার সপার নিয়ে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যেতে, যে কোনও উপায় ম্যাচ শুরু করার প্রতিজ্ঞা নিয়ে। আর দর্শক? রাত সাড়ে বারোটাতেও গ্যালারির এক ইঞ্চিও ফাঁকা নেই। সব কিছুই হল গড়াপেটার আবহকে পিছনে ফেলে।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির টিমে নেই, নিজেই স্বীকার করছেন ফিটনেস লেভেল এখনও চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছয়নি। তবু জাহির খান বুঝিয়ে গেলেন আইপিএলের দুনিয়াতেও পুরনো চাল ভাতে বাড়ে। ধোনি-সহ চার উইকেট মাত্র ১৭ রান দিয়ে। বলতে গেলে তিনিই চেন্নাইয়ের যাবতীয় প্রতিরোধ একাই ধ্বংস করে দিলেন।
|
|
টুর্নামেন্টে বেঁচে থাকতে হলে আরসিবি-কে ম্যাচটা জিততেই হত। রান রেটটাও বাড়িয়ে রাখতে হত। এই দুই মিশনেই সফল কোহলি অ্যান্ড কোম্পানি। আরসিবি অধিনায়ক মাত্র ২৯ বলে অপরাজিত ৫৬ করে গেলেন। ৬-টা বাউন্ডারির সঙ্গে চারটে বিশাল ওভার বাউন্ডারি। গেইল অধিনায়ককে যথাযথ সাহায্য করেছেন ঠিকই (১৩ বলে ২৮, হোল্ডারকে পরপর তিনটে ছক্কা সমেত)। চেন্নাই একমাত্র ফিরতে পারত ধোনি কিছু করলে। ভাবা হয়েছিল কোহলির মতো ওপেন করতে না এলেও আট ওভারের ম্যাচে (বৃষ্টিতে ওভার কাট-ছাঁট হওয়ায়) ওয়ান বা টু ডাউনে তাঁকে দেখা যাবে। কিন্তু সবাইকে অবাক করে ধোনি নামলেন পাঁচে। শেষ দিকে দু’ একটা ছয়-টয় মারলেও কুড়ির আস্কিং রেট তাঁর পক্ষেও ছোঁয়া সম্ভব ছিল না।
|
|
|