|
|
|
|
গড়াপেটায় ‘স্ট্র্যাটেজিক ব্রেক’-ই বুকিদের অস্ত্র
নিজস্ব প্রতিবেদন |
তিন বছর আগে আইপিএলে ‘স্ট্র্যাটেজিক ব্রেক’ চালু করার পিছনে ভাবনাটা ছিল- এই সময় নিজেদের গেমপ্ল্যান নিয়ে কোচ, সার্পোট স্টাফের সঙ্গে কথা বলে নিতে পারবেন ব্যাটসম্যান, বোলাররা। তিন বছর পর দেখা যাচ্ছে টাইম আউটের ওই সময় স্ট্র্যাটেজি তৈরি হত ঠিকই, তবে সেটা যত না টিমগুলোর, তার থেকে অনেক বেশি করে বুকিদের!
গড়াপেটার তদন্ত করতে গিয়ে দিল্লি পুলিশের হাতে এসেছে আরও একটা বিস্ফোরক তথ্য। জানা গিয়েছে, আড়াই মিনিটের এই স্ট্র্যাটেজিক ব্রেক বা টাইম আউটকে কাজে লাগিয়েই ক্রিকেটারদের সঙ্গে যোগাযোগ করত বুকিরা। ক্রিকেটারদের কাছ থেকে সঙ্কেত পাওয়ার পর চলত বিশাল পরিমাণের বাজি ধরার পালা।
|
|
একটা ম্যাচে দু’ইনিংসে দুটো করে স্ট্র্যাটেজিক ব্রেক, অর্থাৎ মোট দশ মিনিটের ‘উইন্ডো’ পাওয়া যেত। পুলিশি তদন্তের পর যে সব তথ্য পাওয়া যাচ্ছে, তা এ রকম: টাইম আউটের সময় ক্রিকেটাররা সাঙ্কেতিক আদান-প্রদানের মাধ্যমে বুকিদের তথ্য সরবরাহ করতেন। কখনও কখনও সতীর্থদের মাধ্যমে তাঁদের নির্দেশ পাঠানো হত। বুকিরা যখন জেনে যেত এর পর ম্যাচে কী হচ্ছে, বিশাল পরিমাণের বাজি ধরা হত। খেলা চলাকালীন এই সব সময় বাজি ধরার অঙ্ক ম্যাচ পিছু দাঁড়াত ৫০০ থেকে ৬০০ কোটি টাকা। আইপিএল সিক্স শুরুর সময় বাজির পরিমাণ একশো থেকে দেড়শো কোটি টাকা ছিল। ধরে নেওয়া হচ্ছে, নক আউট স্টেজ থেকে এই টাকার পরিমাণ হাজার থেকে দেড় হাজার কোটি টাকায় গিয়ে দাঁড়াবে।
সাধারণত ক্রিকেটারদের এক একটা গ্রুপকে এক একটা বেটিং সিন্ডিকেট চালায়। কী ধরনের সঙ্কেত চালু ছিল ক্রিকেটার এবং এই সিন্ডিকেটের মধ্যে? তোয়ালে মারফত সঙ্কেত পাঠানোর ব্যাপার তো ছিলই। এ ছাড়া টাইম আউটের সময়ে সংশ্লিষ্ট ক্রিকেটার কখনও কখনও বিশেষ ধরনের ব্যায়াম করতেন মাঠে, কখনও একটা বিশেষ জায়গায় দাঁড়িয়ে আকাশের দিকে তাকাতেন। এ সব সঙ্কেত পাওয়ার পরই চলত বাজি ধরার পালা।
পুলিশের হাতে এ সব তথ্য পৌঁছনোর পর এ বছর রাজস্থানের তিনটি ম্যাচের ‘র ফুটেজ’ পরীক্ষা করছে দিল্লি পুলিশ। দেখা হচ্ছে, টাইম আউটের সময় আর কী ভাবে সঙ্কেত চালাচালি হয়েছে দু’পক্ষের মধ্যে। বা আরও কেউ জড়িয়ে কি না। |
|
|
|
|
|