হেলথ কার্ড দেওয়ার প্রস্তুতি স্কুলে
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
স্কুল পড়ুয়াদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার খুঁটিনাটি তথ্য দিয়ে হেলথ কার্ড বানাতে উদ্যোগী হল সর্বশিক্ষা মিশন। পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিশুশিক্ষা কেন্দ্র, মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক শিক্ষাকেন্দ্র ও মাদ্রাসা শিক্ষাকেন্দ্র মিলিয়ে প্রায় সাড়ে ৯ লক্ষ ছাত্র-ছাত্রীদের হেলথ কার্ড দেওয়ার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। জেলা সর্বশিক্ষা মিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, ছাত্র-ছাত্রীদের ওজন মাপার পাশাপাশি পেটের অসুখ, দৃষ্টিশক্তি, শ্রবণশক্তি, চর্ম ও অস্থি সংক্রান্ত সমস্যা পরীক্ষা করে দেখা হবে। অপুষ্টি বা অন্য কোনও শারীরিক ও মানসিক সমস্যা থাকলে তা-ও উল্লেখ করা হবে হেলথ কার্ডে। স্বাস্থ্য পরীক্ষার সময় প্রয়োজন মতো প্রাথমিক চিকিৎসাও করা হবে। প্রয়োজন হলে ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্র, মহকুমা বা জেলা হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে। এই হেলথ কার্ড দেখিয়ে সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে চিকিৎসা করানো যাবে। জেলা পরিষদের সভাধিপতি গান্ধী হাজরা বলেন, “জেলার ছাত্র-ছাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য চুক্তির ভিত্তিতে মোট ৪২ জন চিকিৎসক নিয়োগ করা হয়েছে। এ ছাড়াও ফার্মাসিস্ট নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। শীঘ্রই ছাত্র-ছাত্রীদের হেলথ কার্ড দেওয়ার কাজ শুরু হবে।” গ্রামীণ এলাকার স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যে পেটের অসুখ, দাঁতের সমস্যা, চর্ম রোগ, রক্তাল্পতা-সহ নানা সমস্যা থাকে। প্রথম থেকেই চিকিৎসার ব্যবস্থা করা না গেলে পরবর্তী সময়ে এগুলি থেকে বড় সমস্যা হতে পারে। তাই এই সব শারীরিক সমস্যাগুলি প্রাথমিক অবস্থায় চিহ্নিতকরণ ও প্রয়োজনে বিনামূল্যে চিকিৎসা করাতে হেলথ কার্ড বিলির ব্যবস্থা করা হয়েছে সর্বশিক্ষা মিশন প্রকল্পে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের স্বাস্থ্য কর্মাধক্ষ্য রফিকুল হাসান বলেন, “ছাত্র-ছাত্রীদের রক্তাল্পতা ও কৃমির অসুখ দূর করতে ইতিমধ্যে জেলার বিদ্যালয়গুলিতে ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীদের আয়রন ট্যাবলেট ও কৃমির ওষুধ খাওয়ানো হচ্ছে। হেলথ কার্ড অবশ্য প্রথম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত দেওয়া হবে।”
|
নতুন ইউনিট চালু হচ্ছে ছ’টি হাসপাতালে
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
আগামী ১ জুলাই রাজ্যের ছ’টি হাসপাতালে চালু হতে চলেছে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট। শুক্রবার স্বাস্থ্য দফতরের প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানান, রাজ্যে ৩৬টি জায়গায় ধাপে ধাপে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট চালু করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে ১ জুলাই, চিকিৎসক তথা রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিধানচন্দ্র রায়ের জন্মদিনে বালুরঘাট, জলপাইগুড়ি ও দার্জিলিং জেলা হাসপাতালে এবং মালদহ, উত্তরবঙ্গ ও বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এই ইউনিট খোলা হচ্ছে। পরে পর্যায়ক্রমে রাজ্যের সব জেলা হাসপাতালেই এই ইউনিট চালু হবে। স্বাস্থ্য দফতরের তরফে জানানো হয়, ওই ইউনিটে ২৪ ঘণ্টার জন্য আধুনিক প্রযুক্তির মনিটরিং ও ভেন্টিলেটরের ব্যবস্থা থাকবে।
|
দু’টি অপারেশন থিয়েটার বন্ধ
নিজস্ব সংবাদদাতা • জলপাইগুড়ি |
সংক্রমণের জন্য জলপাইগুড়ি হাসপাতালের দু’টি অপারেশন থিয়েটার বৃহস্পতিবার থেকে বন্ধ রাখা হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দু’টি অপারেশন থিয়েটারে সংক্রমণের নমুনা পাওয়া গিয়েছে। হাসপাতালে মোট পাঁচটি অপারেশন থিয়েটার আছে। বাকি তিনটিতে কাজ চলছে। হাসপাতালের সুপার ব্রজেশ্বর মজুমদার বলেন, ওই দু’টি অপারেশন থিয়েটার জীবাণুমুক্ত করার কাজ চলছে। |