কর্মী-অফিসার বদলি নিয়ে রাজ্যকে নির্দেশ কমিশনের
ভোট প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত কর্মী-অফিসারদের বদলি নিয়ে রাজ্যকে নির্দেশ দিল নির্বাচন কমিশন। রাজ্য নির্বাচন কমিশনার মীরা পাণ্ডে সরকারকে জানিয়ে দিয়েছেন, ভোট প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত যে সব অফিসার টানা তিন বছর একই জেলায় বা একই পদে রয়েছেন, তাঁদের অন্যত্র বদলি করতে হবে। অতীতে কখনও কোনও পঞ্চায়েত বা পুর ভোটে রাজ্য নির্বাচন কমিশন এমন সিদ্ধান্ত নেয়নি। কমিশনের নির্দেশের পরেও অবশ্য কোনও সিদ্ধান্ত এখনও নেয়নি মহাকরণ।
ভোটের দিনক্ষণ, জেলা বিন্যাস নিয়ে মতপার্থক্য থাকলেও ভোটের কাজ শুরু করার ব্যাপারে মোটামুটি একমত হয়েই এগোচ্ছে রাজ্য সরকার ও নির্বাচন কমিশন। তার মধ্যেই কর্মী-অফিসারদের বদলি নিয়ে কমিশনের নির্দেশ ঘিরে আর এক দফা টানাপোড়েন শুরু হতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।
পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে কমিশনের সঙ্গে সর্বদলীয় বৈঠক। —নিজস্ব চিত্র
সরকারি সূত্রের খবর, গত বছর সেপ্টেম্বর মাসেই প্রথম রাজ্যকে চিঠি দিয়ে কমিশন তিন বছরের বেশি এক জায়গায় কর্মরত, এমন অফিসারদের সরিয়ে দিতে বলেছিল। গত বৃহস্পতিবার ভোটের দিনক্ষণ ঠিক করতে কমিশনের দফতরে যান মুখ্যসচিব সঞ্জয় মিত্র এবং স্বরাষ্ট্রসচিব বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই অফিসারদের বদলির বিষয়টি ফের তোলেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার। ভোট প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত যে সব অফিসার একই জায়গায় তিন বছর রয়েছেন, তাঁদের এখনই বদলি করতে বলেন কমিশনার। রাজ্য সরকার অবশ্য এখনও এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা নিয়ে কোনও কথা দেয়নি। রাজ্য সরকারের এক মুখপাত্র বলেন, “এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। কারণ, নতুন সরকার আসার পর অধিকাংশ অফিসারকেই ৮-১০ মাসের মধ্যে বদলি হতে হয়েছে।” তিন বছর টানা এক জায়গায় কাজ করছেন, এমন অফিসারের সংখ্যা খুব বেশি হবে না বলেই মনে করছেন সরকারি কর্তারা।
তবে সরকারেরই অন্য একটি সূত্রের দাবি, কমিশনের ফতোয়া মানলে বেশ কিছু জেলাশাসক, পুলিশ সুপার, মহকুমা শাসক, বিডিও এবং থানার ওসি বদলি হবেন। বিভিন্ন মাধ্যমে কমিশন কর্তারা জেনেছেন, শাসক দলের ঘনিষ্ঠ অফিসারেরা দীর্ঘ দিন এক জায়গায় রয়ে গিয়েছেন। তাঁরাই ভোট পরিচালনার কাজ করলে নিরপেক্ষতা বজায় না থাকার আশঙ্কা রয়েছে।
রাজ্য নির্বাচন কমিশনের এক কর্তা জানান, সুপ্রিম কোর্টের একাধিক রায়ে বলা হয়েছে, রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা কোনও অংশেই কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের চেয়ে কম নয়। ফলে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন ভোট পরিচালনার জন্য কর্মী ও অফিসার নিয়োগের যে নীতি নেয়, এ বার পঞ্চায়েত ভোটে তা অনুসরণ করা হবে। ভোটের আগে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন কোনও এক জেলায় টানা তিন বছর কাজ করছেন, এমন সব অফিসারকেই সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয়। তার জেরে কার্যত সারা রাজ্যেই তৃণমূল স্তরে ভোট পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত পুলিশ এবং সাধারণ প্রশাসনের অফিসারদের জায়গা অদলবদল হয়ে যায়। এই হিসেবেই তিন বছরের গেরোয় পড়ে ২০১১ সালের বিধানসভা ভোটের আগে কলকাতার তৎকালীন পুলিশ কমিশনার গৌতমমোহন চক্রবর্তীকে সরিয়ে রঞ্জিতকুমার পচনন্দাকে বসিয়ে দিয়েছিল কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন। গত সেপ্টেম্বর মাসেই প্রথম মহাকরণকে ব্যবস্থা নিতে বলেছিল কমিশন। কিন্তু সরকার তা এখনও কার্যকর করতে উদ্যোগী হয়নি। দিনক্ষণ নিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের সময় কমিশন সরকারকে এই নির্দেশ অবিলম্বে পালন করতে বলেছে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.