|
|
|
|
ডাকঘর |
|
কবিগুরু ও কৃষ্ণনগর
|
কৃষ্ণনগরে নববর্ষে রবীন্দ্রনাথ প্রসঙ্গে গত ১৬ এপ্রিল এবং ৪ মে যে প্রতিবেদন ও চিঠি প্রকাশিত হয়েছে, সেই প্রসঙ্গে এই চিঠি। ১৮৮৬ সালের (১২৯৩ বঙ্গাব্দ) নববর্ষের দিন রবীন্দ্রনাথ ব্রাহ্ম সমাজের উদ্যোগে আয়োজিত সিটি কলেজে বক্তৃতা সভায় ‘সত্য’ নামে একটি ভাষণ পাঠ করেন। ওই বছর রবীন্দ্রনাথ কৃষ্ণনগরে গিয়েছেন সেটি বৈশাখ মাসেই, কিন্তু কোন দিনে সেটির উল্লেখ নেই রবিজীবনীতে। আশুতোষ ও প্রতিভার বিবাহ-সম্বন্ধ ব্যাপারে তাঁর ওই আগমন প্রসঙ্গে ইন্দিরাদেবী লিখেছেন“বড়ঠাকুরকে (আশুতোষ চৌধুরী) ওঁরা ব্যারিস্টর হতে বিলেত পাঠান। সেই জাহাজেই রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে তাঁর আলাপ হয়। বিলেত থেকে ফিরে এলে সেই আলাপের সূত্রেই প্রতিভাদিদির সঙ্গে তাঁর সম্বন্ধ করবার জন্য রবিকাকা কৃষ্ণনগরে যান।” প্রতিভা ও আশুতোষের বিবাহ রবীন্দ্রনাথের কৃষ্ণনগর আগমনের তিন মাস পর ৩০ শ্রাবণ ১২৯৩ বঙ্গাব্দ তারিখে স্থির হয়। তবে রবীন্দ্রনাথ গানের আসরে কেবলমাত্র বাংলা গানই গাননি প্রমথ চৌধুরীকে সম্ভবত তোড়ী রাগে ‘জিন ছুঁয়া মোরি বেঁয়ানগরওয়া গানটি শুনিয়ে ছিলেন। রবীন্দ্রনাথের কৃষ্ণনগর ভ্রমণ কি দ্বিতীয়বার ঘটেছিল প্রতিভা ও আশুতোষের বিবাহ উপলক্ষে, যে বিষয়ের মূল উদ্যোক্তা ছিলেন তিনি নিজেই? স্পষ্ট উল্লিখিত নেই কোথাও। এ বিষয়ে কেউ আলোকপাত করলে আনন্দিত হব।
সুজাতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বহরমপুর
|
রাস্তা বেহাল
|
সুতি থানার আহিরণের বি ডি ও অফিস থেকে আহিরণ ডেলিবাজার যাওয়ার যে একটি রাস্তা রয়েছে তার পাশে নিকাশি নালা নেই। ফলে আহরণের চাষিপাড়া থেকে ডেলিবাজার পর্যন্ত রাস্তা বর্ষার সময় হামেশাই এক ফুট জলের তলায় তলিয়ে যায়। বিকল্প কোনও রাস্তা না থাকায় সাধারণ মানুষ তো বটেই, হাজারখানেক ছাত্রছাত্রীও স্কুল কলেজ যাতায়াতের সময় মারাত্মক অসুবিধায় পড়ে। বিষয়টি গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধানের অজানা নয়। তবুও সুরাহা হয়নি। সমস্যাটি সমাধানের জন্য উচ্চতর কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
নাসির হোসেন, আহিরণ
|
একটু পরিশুদ্ধ জল
|
নদিয়া জেলার শান্তিপুর থানার মানিকনগর গ্রামের মানুষ পানীয় জলের অভাবে ভুগছেন। বর্তমানে ওই গ্রামে পরিশ্রুত পানীয় জলের কোনও ব্যবস্থা নেই। তাই বাধ্য হয়ে আমরা টিউবয়েল ও নদীর জল পান করছি। ওই গ্রামে কয়েক হাজার মানুষের বসবাস। অথচ জনস্বাস্থ্য পরিষেবার বেহাল দশা। দূষিত জল পান করার ফলে ওই গ্রামের বাসিন্দারা পেটের অসুখে ভোগেন। মানিকনগর গ্রামে পরিশ্রুত পানীয় জলের ব্যবস্থা করর জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ জানাই।
মণি রায়, মানিকনগর
|
নামেই স্বাস্থ্যকেন্দ্র
|
বেলপুকুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি নামেই স্বাস্থ্যকেন্দ্র। ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের উপর ৭টি গ্রামের চিকিৎসা পরিষবা নির্ভরশীল। সেখানে শুধুমাত্র অফিস টাইমে চিকিৎসক, নার্স ও কর্মীদের দেখা মেলে। ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ডাকে চিকিৎসক সেখানে গেলে সে দিন আর চিকিৎসা পরিষেবা মেলে না। বেলপুকুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে জ্বরজ্বালা ছাড়া অন্য রোগে চিকিৎসা পরিষেবা মেলে না। তখন ছুটতে হয় ৭-৮ কিলোমিটার দূরের ধুবুলিয়া ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। রাতের বেলায় সেখানে যাতায়াতের খুব অসুবিধা। বেলপুকুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসক, নার্স ও কর্মীদের থাকার আবাসন থাকলেও তা ভাঙাচোরা। স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও আবাসন সংস্কার করে ২৪ ঘণ্টা স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ জানাই।
তরুণ চট্টোপাধ্যায়, বেলপুকুর |
|
|
|
|
|