বনসৃজন প্রকল্প নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ হয়েছিল বিভাগীয় বনাধিকারিক বা ডিএফও-র কাছে। তদন্তে নেমে পুরুলিয়া ২ ব্লকের বিট অফিসার বিনয় মুখোপাধ্যায়কে সাসপেন্ড করেছে বন দফতর। পুরুলিয়ার কংসাবতী উত্তর বন বিভাগের ডিএফও সোমা দাস বলেন, “বনসৃজন নিয়ে অভিযোগ হয়েছিল। তদন্ত শুরু করার পরে বিট অফিসারকে সাসপেন্ড করা হয়েছে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চলছে।”
পুরুলিয়া ২ ব্লকের মাকরজোড় গ্রামে একশো হেক্টর জমিতে বনসৃজন করেছিল বন দফতর। অভিযোগ ওঠে, কাগজে কলমে একশো হেক্টর জমিতে বনসৃজন করা হয়েছে দেখানো হলেও বাস্তবে ওই পরিমাণ জমিতে গাছ লাগানো হয়নি। কিন্তু সেই প্রেক্ষিতে টাকা খরচ হয়েছে বলে দেখানো হয়েছিল। বন দফতর সূত্রের খবর, ওই এলাকায় প্রকল্পের কাজ পরিদর্শনে গিয়ে বন দফতরের আধিকারিকেরা অভিযোগের সত্যতা পান। পরে তদন্ত করে বিট অফিসারের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিয়েছে বন দফতর। ‘ইউনাইটেড স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ ফেডারেশন’-এর নেতা বিধানচন্দ্র দাসের দাবি, “মাকরজোড় গ্রামের ওই ঘটনায় আমরা সংগঠনগত ভাবে তদন্তের দাবি জানিয়েছিলাম। প্রশাসন সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নিয়েছে।”
বিনয়নবাবুর অবশ্য বক্তব্য, “যে পরিমাণ জমিতে বনসৃজন করার কথা ছিল, তার একাংশ আগে থেকেই স্থানীয় বাসিন্দারা ধান চাষ করে দখল করে রেখেছিলেন। আমাদের লক্ষ্য ছিল, গোটা এলাকায় বনসৃজন করে সেই দখলদার উচ্ছেদ করা। আমরা সেই অনুযায়ী গাছও লাগিয়েছিলাম। পরবর্তী কালে আবার কিছু গ্রামবাসী গাছের চারা উপড়ে ফেলে ধান চাষ করেন।” তাঁর আরও দাবি, ওই এলাকায় কিছুটা পাথুরে জমি থাকায় অনেক চারাগাছই বাঁচানো সম্ভব হয়নি। ফলে বন দফতরের তরফে যখন পরিদর্শন হয়েছে, তখন যে পরিমাণ গাছ থাকার কথা, তা দেখানো সম্ভব হয়নি। বিনয়বাবু বলেন, “বিভাগীয় ব্যবস্থা নিয়ে মন্তব্য করব না। আমি কোনও দুর্নীতি করিনি।”
|
উদ্ধার লেপার্ড ক্যাট, হরিণ ছানা
নিজস্ব সংবাদদাতা • আগরতলা |
চোরাশিকারিদের ডেরা থেকে উদ্ধার করা হল দু’টি জীবন্ত ‘লেপার্ড ক্যাট’ এবং একটি হরিণ শাবক। ত্রিপুরা বন দফতরের কর্তা অরুণ কুমার জানান, ‘‘লেপার্ড ক্যাট দু’টির বয়স ১২-১৪ দিন এবং হরিণটির বয়স তিন-চার মাস।’’ স্থানীয় সূত্রে খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার বন দফতরের কর্তারা উদয়পুরে হানা দেয়। সেখান থেকেই বন দফতরের কর্মীরা এই শাবকগুলিকে উদ্ধার করে। অরুণবাবু জানান, ‘‘পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িত মুফিজ মিঞা এবং নুরুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’’ উদ্ধার করা শাবকগুলি সুস্থ রয়েছে। তাদের সিপাহীজলা বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কেন্দ্রে রাখা হয়েছে। |