|
|
|
|
|
|
কোনা এক্সপ্রেসওয়ে |
বেপরোয়া সরণি |
শ্রীজীব মুখোপাধ্যায় |
আইন রয়েছে। নেই তা মানার রেওয়াজ। আইন মানানোর পরিকাঠামোও পর্যাপ্ত নয়। ফলে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। কোনা এক্সপ্রেসওয়ে
নিয়ে এমনই অভিযোগ নিত্যযাত্রী, যানচালক ও স্থানীয় বাসিন্দাদের। তাঁদের দাবি, বার
বার জানানো সত্ত্বেও প্রশাসন কোনও
ব্যবস্থা নেয়নি।
অভিযোগ উঠেছে, বিদ্যাসাগর সেতু থেকে জাতীয় সড়ক পর্যন্ত বিস্তৃত কোনা এক্সপ্রেসওয়ের সিগন্যালিং ব্যবস্থা মান্ধাতার আমলে। |
|
সিগন্যালগুলি দূর থেকে বোঝা যায় না। চড়া রোদেও কিছু বোঝা যায় না। বিদ্যুৎ না থাকলে সিগন্যাল জ্বলে না। রাতে লোডশেডিং হলে খুবই অসুবিধা হয়। নেই এলইডি সিগন্যাল।
যানচালকদের একাংশ সিগন্যাল মানেন না বলেও অভিযোগ। স্থানীয় বাসিন্দা স্বস্তিকা মিত্র বললেন, “সিগন্যাল লাল থাকলেও অনেক সময় গাড়ি বেরিয়ে যাচ্ছে। রীতিমতো প্রাণ হাতে করে রাস্তা পারাপার করতে হয়।” আর এক বাসিন্দা সায়নদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়: “কোনা এক্সপ্রেসওয়ে বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। প্রায়ই সিগন্যাল খারাপ হয়ে যায়। যানচালকদের একাংশ পুলিশের চোখের সামনে ট্রাফিক
আইন ভাঙছেন।”
ট্রাফিক পুলিশের পাশাপাশি সিভিক পুলিশ যান নিয়ন্ত্রণ করে। কিন্তু অভিযোগ, কোনা এক্সপ্রেসওয়ের মতো ব্যস্ত রাস্তায় তাঁদের সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় কম। বাসিন্দাদের অভিযোগ, ঢিলেঢালা নজরদারির জন্য যে সব গাড়ি সিগন্যাল না মেনে বেরিয়ে যায়, সে সব গাড়ি ধরার কোনও ব্যবস্থা নেই। অভিযোগ স্বীকার করে সিভিক পুলিশের এক কর্মী বলেন, “কোনও গাড়ি সিগন্যাল ভাঙলে আমাদের কিছু করার থাকে না। আমরা গাড়ি আটকে কেস দিতে পারি না।” |
|
হাওড়া ট্রাফিক অ্যাওয়ারনেস সোসাইটির সম্পাদক অলোক চক্রবর্তী বলেন, “সিগন্যালগুলি খারাপ। এলইডি আলো লাগানো দরকার। পুলিশকে এ নিয়ে বহু বার বলেছি। ক্রসিংগুলিতে স্টপ লাইন, জেব্রা ক্রসিং নেই। সিপিভিএফ কর্মীরা সিগন্যাল দেন। কিন্তু এঁদের কোনও প্রশিক্ষণ নেই। ট্রাফিক পুলিশের সংখ্যা কম। সব সময় সার্জেন্ট থাকে না।”
হাওড়া সিটি পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (ট্রাফিক) দীপঙ্কর ভট্টাচার্য বলেন, “ট্রাফিক আইন ভাঙলে আমরা ধরপাকড় করি। প্রচুর কেস দেওয়া হচ্ছে। কোনা এক্সপ্রেসওয়ের সিগন্যালগুলি দেখতে একটু অসুবিধা হয়। এলইডি সিগন্যাল লাগানোর জন্য সরকারের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। অর্থ মঞ্জুর
হলে ধাপে ধাপে সিগন্যালে এলইডি আলো লাগানো হবে।” |
ছবি: দীপঙ্কর মজুমদার |
|
|
|
|
|