জুনেই দিল্লি, কলকাতায় মিলবে মালদহের আম
নিজস্ব সংবাদদা • মালদহ |
মালদহের আম যাচ্ছে দিল্লি-কলকাতায়। সৌজন্যে রাজ্যের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ও উদ্যান পালন দফতর এবং জেলা প্রশাসন। মালদহের হিমসাগর থেকে শুরু করে ল্যাংড়া, লক্ষণভোগ, আম্রপালি, মল্লিকা আম বিক্রি করার জন্য দিল্লির দিল্লি-হাট, বঙ্গভবনে এবং কলকাতার পার্ক সার্কাস ও মানিকতলায় মালদহের আম বিক্রির ব্যবস্থা হয়েছে। আগামী, ৭ জুন থেকে ১০ জুনের মধ্যে দিল্লি ও কলকাতায় বসে মালদহের আম চাষিরা দিল্লি ও কলকাতার বাসিন্দাদের সরাসরি আম বিক্রি করতে পারবেন বলে প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে। মালদহ টাউন স্টেশনে আধুনিক প্যাকেটে মালদহের আম বিক্রি করবে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ও উদ্যান পালন দফতর। শুক্রবার মালদহের জেলাশাসক গোদালা কিরণ কুমার বলেন, “দিল্লি ও কলকাতার বাজারে বাইরের আমকে মালদহের আম বলে বিক্রি করা হয় বলে শুনেছি। দাম দিয়েও দেশ ও রাজ্যের রাজধানীর বাসিন্দারা মালদহের আমের স্বাদ থেকে বঞ্চিত হন। সে কারণেই এই উদ্যোগ।” জেলাশাসক জানান প্রথম দফায় লক্ষণভোগ ২ মেট্রিক টন ও হিমসাগর ৪ মেট্রিক টন পাঠানো হবে। জেলা খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ও উদ্যানপালন দফতরের জেলার উপ অধিকর্তা প্রিয়রঞ্জন সানিগ্রাহী বলেন, “মালদহের বিভিন্ন বণিক সভা আমচাষিরা বসে বৈঠক করে কারা দিল্লি ও কলকাতায় যাবেন তা স্থির করবে।” চাষিদের কলকাতা ও দিল্লিতে যাতায়াত ও থাকাখাওয়ায় সরকার ভর্তুকি দেবে বলে জানা গিয়েছে। মালদহ মার্চেন্ট চেম্বার অফ কর্মাসের সম্পাদক উজ্জল সাহা বলেন, “এই উদ্যোগে চাষিরা অক্সিজেন পাবেন।”
|
ভারতে পরিকাঠামোয় বিদেশি লগ্নি
টানার পক্ষে সওয়াল চিদম্বরমের
সংবাদসংস্থা • লন্ডন |
বিলেতের মাটিতে দাঁড়িয়ে ভারতে পরিকাঠামোয় লগ্নি টানার পক্ষে সওয়াল করলেন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম। চিদম্বরম বলেছেন, পরিকাঠামোয় লগ্নির সুযোগ ভারতে ‘সীমাহীন’। কারণ সেখানে আরও অনেক রাস্তা, বিমানবন্দর ও সমুদ্র-বন্দর নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা আছে। এক সাক্ষাৎকারে অর্থমন্ত্রী বলেন, এখানকার শিল্পপতি ও সরকারের কাছে তিনি এই বার্তাই দিতে চেয়েছেন। ভারত-ব্রিটেন বার্ষিক অর্থনৈতিক বৈঠকে যোগ দিতে তিনি লন্ডনে এসেছিলেন। বৈঠক শেষে এক যৌথ বিবৃতিতে চিদম্বরম জানান, দু’টি দেশ “পরিকাঠামোয় আরও বেশি লগ্নির লক্ষ্যে যৌথ ভাবে কাজ করবে।” এ ব্যাপারে লন্ডনে নথিভুক্ত একটি ‘ফিডার ফান্ড’ বা পরিকাঠামো প্রকল্পের জন্য তহবিল গড়তে উদ্যোগী ভারত। তার থেকে অর্থ লগ্নি করা যাবে ভারতের ‘ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেট ফান্ড’-এ। পরিকাঠামো উন্নয়নে ২০১৭ সালের মধ্যে ভারতের লক্ষ্য এই শিল্পে ১ লক্ষ কোটি ডলার বা ৫৫ লক্ষ কোটি টাকার লগ্নি টানা। অর্থমন্ত্রীর কথায়, “আর কোনও দেশে হাজার হাজার কিলোমিটার সড়ক, এত বেশি সংখ্যক বিমানবন্দর ও সমুদ্রবন্দরের দরকার নেই। তাই লগ্নির অনন্ত সুযোগ ভারতে।” অর্থনীতির হালও কিছুটা ফিরেছে বলে আশ্বাস তাঁর। তিনি জানান মূল্যবৃদ্ধি অনেকটা নেমেছে গত দু’মাসে। কেন্দ্রের লক্ষ্য সার্বিক মূল্যবৃদ্ধি শূন্যে নামানো।
|
ফের রেটিং কমানোর হুমকি এস অ্যান্ড পি-র
সংবাদসংস্থা • নয়াদিল্লি |
রেটিং কমানো নিয়ে ফের ভারতকে হুমকি এস অ্যান্ড পি-র। আন্তর্জাতিক এই মূল্যায়ন সংস্থা আজ জানিয়েছে, আর্থিক সংস্কার ঢিমে তালে চললে আগামী ১২ মাসের মধ্যে এই সম্ভাবনা কমপক্ষে ৩৩%। গত বছরই ভারতের রেটিং কমিয়ে ‘জাঙ্ক’ পর্যায়ে নামিয়ে আনার হুঁশিয়ারি দিয়েছিল এস অ্যান্ড পি। এ বারও একই মন্তব্য করল তারা। যা বাস্তবে ঘটলে বেড়ে যাবে ভারতের ঋণ নেওয়ার ঝুঁকি। অবশ্য গত বছর থেকেই রেটিং ‘বিবিবি-মাইনাস’-এ বহাল রেখেছে এস অ্যান্ড পি। যা লগ্নির যোগ্যতার দিক থেকে তলানিতে। এর পরেই রয়েছে ‘জাঙ্ক’ রেটিং। এই সঙ্গে এস অ্যান্ড পি বজায় রেখেছে নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গী। এ দিন এস অ্যান্ড পি ভারতকে সাবধান করে দিয়ে বলেছে, “যদি সরকারি স্তরে আর্থিক সংস্কার প্রত্যাশার তুলনায় শ্লথগতিতে এগোয়, তা হলে অর্থনীতিও ঘুরে দাঁড়িয়ে আগেকার পর্যায়ে পৌঁছতে পারবে না। তেমন ঘটেছে বুঝলেই আমরা রেটিং কমাতে পারি।” এস অ্যান্ড পি-র বিশেষজ্ঞ তাকাহিরা ওগাওয়া বলেন, “চড়া রাজকোষ ঘাটতি, সরকারের কাঁধে বিপুল ঋণের বোঝাই ভাল রেটিং-এর পথে সবচেয়ে বড় বাধা।” তিনি অবশ্য বলেন, রাজস্ব বাড়ানোর ক্ষেত্রে সরকার সাফল্য পেয়েছে এবং ২০১২-র সেপ্টেম্বর থেকে সংস্কার জোরকদমে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার উপরেও জোর দিচ্ছে। |