তৃণমূল কাউন্সিলর রঞ্জন শীলশর্মা ডেপুটি মেয়র তথা জল সরবরাহ বিভাগের মেয়র পারিষদ থাকার সময় ১৯ জন অস্থায়ী কর্মীকে নেওয়া হয়েছিল শিলিগুড়ির বিভিন্ন জলাধারে কাজের জন্য। বৃহস্পতিবার থেকে তাঁদের ১২ জনকে ছাঁটাই করে দেওয়ার প্রতিবাদে বেলা ১২টা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ১২ ঘণ্টা পুর কমিশনারের দফতরে ঘেরাও বিক্ষোভ চালালেন তৃণমূল কাউন্সিলর ও দলের পুর কর্মচারী সমিতি। আন্দোলনকারীরা মেয়রের দফতরের সামনে থাকা ‘নেমপ্লেট’-এ কালি দিয়ে তাঁর নামও মুছে দেন বলে অভিযোগ। অফিস বন্ধের পরেও দফতরে আটকে পড়েন পুর কমিশনার প্রভুদত্ত ডেভিড প্রধান। এ দিনই দার্জিলিং থেকে শহরে এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই সময় এক জন আইএএস অফিসারকে রাতভর ঘেরাও করায় ক্ষুব্ধ আইএএস অফিসারদের একাংশও। তবে প্রভুদত্ত ডেভিড প্রধান কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
এ দিনের ঘটনার নিন্দা করে মেয়র গঙ্গোত্রী দত্ত বলেন, “কাউন্সিলরদের একাংশ এমন করবেন ভাবতে পারছি না। সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করা অপরাধ। ওই কর্মীদের কোনও কাজ ছিল না। কেন নেওয়া হয়েছিল বুঝছি না। তাই বাদ দেওয়া হয়েছে।” |
তৃণমূল কাউন্সিলর কৃষ্ণ পাল বলেন, “মেয়র কাজ করতে পারছেন না। উনি উন্নয়নের চেয়েও ফিতে কাটাতেই বেশি স্বচ্ছন্দ। তাঁর পদত্যাগ চাই।” তিনি বলেন, “আমরা যেখানে থাকব সেখানে গঙ্গোত্রী দত্তের নাম থাকবে না। তাই কাগজ দিয়ে নাম ঢেকে দেওয়া হয়।” কংগ্রেস পরিচালিত বোর্ড নিজেদের লোক ঢোকাতে তাদের বাদ দেয় বলে অভিযোগ।
কৃষ্ণবাবুর অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দেন মেয়র। তবে এর বিরুদ্ধে এখনই আইনি পথে যেতে চাননি তিনি। হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হব।” জেলা কংগ্রেসের সভাপতি (সমতল) শঙ্কর মালাকার বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী উত্তরবঙ্গে। দিদির কাছে পুরস্কারের আশায় দলের কাউন্সিলররা ওই কাজ করছেন।” পুরসভার বিরোধী দলনেতা নুরুল ইসলামও ঘটনার নিন্দা করেন। তিনি বলেন, “রাজ্য জুড়ে তৃণমূলের এই সংস্কৃতি চলছে।” পূর্ত বিভাগের মেয়র পারিষদ সুজয় ঘটক বলেন, “ন্যাক্কারজনক ঘটনা। তৃণমূল কাউন্সিলররা বাজেট পাস করতে দেননি। তা ঢাকতেই এ সব করছেন।” |