সরকারি সাহায্যের অভাবে উপযুক্ত রক্ষণাবেক্ষণ না হওয়ায় বেহাল ডায়মন্ড হারবারের রবীন্দ্রভবন। তবু তারই মধ্যে চালাতে হচ্ছে পরিষেবার কাজ।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় ডায়মন্ড হারবারের রবীন্দ্রভবনটি ১৯৬০ সালে সরকারি অনুমোদন পায়। সেই সময় বিভিন্ন ক্ষেত্র থেকে অনুদানের টাকায় দেড় বিঘা জমির উপর রবীন্দ্রভবন নির্মাণের কাজ শুরু হয়। ১৯৮০ সালে সেটি উদ্বোধন করে অনুষ্ঠানের জন্য খিলে দেওয়া হয়। রবীন্দ্রভবনে আসন সংখ্যা ৭১৮। বর্তমানে ৪ জন স্থায়ী ও একজন অস্থায়ী কর্মী আছেন। ডায়মন্ড হারবার রবীন্দ্রপরিষদ পরিচালিত রবীন্দ্রভবনটি দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় অবস্থা বেশ খারাপ। ছাদে দেখা দিয়েছে ফাটল। বৃষ্টি হলেই জল পড়ে ভিতরে। কাঠের তৈরি দর্শকাসনগুলিও নড়বড়ে হয়ে গিয়েছে। অৗনেক জায়গাতেই দেওয়ালের পলেস্তারা খসে পড়েছে। শব্দহীন জেনারেটরের ব্যবস্থা না থাকায় হয় ঘটছে শব্দদূষণও। নেই প্রয়োজনীয় সংখ্যায় পাখাও। অবস্থা এমনই যে দোতলার গ্যালারিও ভেঙে পড়ার আশঙ্কাও করছেন অনেকে। |
রবীন্দ্র পরিষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজনৈতিক বা স্কুলের অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে রবীন্দ্রভবনের ভাড়া তিন হাজার টাকা। অন্যদিকে, প্রদর্শনী হলে ভাড়া নেওয়া হয় পাঁচ থেকে আট হাজার টাকা। এ ছাড়া অন্যান্য ক্ষেত্রে প্রয়োজন অনুযায়ী ভাড়া ধার্য করা হয়। কিন্তু সংস্কার করতে হলে যে টাকার দরকার, তা ভাড়ার টাকায় সম্ভব নয়। ওই টাকা রক্ষণাবেক্ষণের কাজ, বিদ্যুৎ বিল ও কর্মীদের বেতনেই খরচ হয়ে যায়। ফলে টাকার অভাবে পূর্ণাঙ্গ সংস্কার করা যায়নি। রবীন্দ্র পরিষদের সম্পাদক রণেন্দ্র বিকাশ শাসমল বলেন, “রবীন্দ্রভবন বছরে প্রায় ৫০ দিন ভাড়া হয়। মূলত বিধায়ক, সাংসদ বা জেলা পরিষদের আর্থিক তহবিল থেকে এই সংস্কারের কাজ হয়। তবে রবীন্দ্রভবন সংস্কারের জন্য সরকার ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকা অনুমোদন করেছে শুনেছি। কিন্তু তা এখনও হাতে পৌঁছয়নি।” |