গত বারের চ্যাম্পিয়নরা পেপসি আইপিএলের গ্রুপ পর্ব শেষ হওয়ার আগেই ছিটকে গিয়েছেন স্বাভাবিক নিয়মে এটাই হওয়া উচিত ছিল বৃহস্পতিবারের সবচেয়ে বড় আইপিএল শিরোনাম। কিন্তু দিনটা যে একেবারেই ব্যতিক্রমী। স্পট-ফিক্সিংয়ের কালো ছায়ায় আক্রান্ত আইপিএল।
কেকেআরের সংসারেও যা এ দিন সকাল-সকাল ঢুকে পড়ল। রাঁচির টিম হোটেলে ব্রেকফাস্ট টেবিলেই কেকেআর ক্রিকেটাররা আবিষ্কার করেন আইপিএলের পৃথিবী ওলটপালট হয়ে গিয়েছে। শ্রীসন্ত, অঙ্কিত এবং চাণ্ডিলা যে স্পট-ফিক্সিং কাণ্ডে জড়িত থাকতে পারেন, প্রথমে অনেকেই বিশ্বাস করতে পারেননি। কেউ কেউ এমনও বলতে থাকেন, এই তো সে দিন শ্রীসন্তের সঙ্গে কথা বলছিলাম। কই, এক বারের জন্যও তো সন্দেহজনক কিছু মনে হয়নি। একটু পরেই কেকেআর-সহ সমস্ত ফ্র্যাঞ্চাইজির কাছে ভারতীয় বোর্ডের বার্তা চলে আসে: যত দিন না স্পট-ফিক্সিং কাণ্ডের নিষ্পত্তি হচ্ছে, তত দিন এ ব্যাপারে মুখ খোলা যাবে না। কেকেআরের মিডিয়া ম্যানেজার দীনেশ চোপড়াও বলে দেন, “প্লিজ কিছু জিজ্ঞেস করবেন না। আমাদের কোনও বক্তব্য নেই।”
রাজস্থান রয়্যালসে যা হয়েছে, তা কেকেআরের দুনিয়ায় কখনও হবে বলে মনে করে না নাইট ম্যানেজমেন্ট। টিমের সঙ্গে যুক্ত এক জন বলছিলেন, “আমরা প্লেয়ারদের দিকটা যে ভাবে দেখি, সেটা খুব কম ফ্র্যাঞ্চাইজিই দেখে। তাই আমাদের টিমের কেউ এ সব করার কথা দুঃস্বপ্নেও ভাববে না। তা ছাড়া টিম হারুক বা জিতুক, সবাই চূড়ান্ত দায়বদ্ধ।”
বৃহস্পতিবার বিকেলে যে গৌতম গম্ভীরদের দেখা গেল, নিজেদের বিপর্যয়ের বাইরে তাঁদের ভাবনায় অন্য কিছু আছে, ভাবা কঠিন। ইউসুফ পাঠান থেকে নাইট অধিনায়ক হাসি নেই কারও মুখে। কেকেআর ক্যাপ্টেন এতটাই বিপর্যস্ত যে আনন্দবাজারের জন্য কলাম লেখাও পিছিয়ে দিয়েছেন।
তবে নাইট শিবিরের লক্ষ্য, হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে জিতে টুর্নামেন্ট শেষ করা। উদাহরণ ইকবাল আবদুল্লার টুইট, “শেষ ম্যাচটা জিতে ফ্যানদের উৎসব করার একটা কারণ দিতে চাই।” |