সংখ্যালঘুদের স্বনির্ভর করতে হবে নতুন কেন্দ্র |
এ বার সংখ্যালঘু এলাকায় ‘মার্কেট হাব কাম ট্রেনিং সেন্টার’ তৈরিতে উদ্যোগী হল রাজ্য সরকার। আরআইডিএফ (গ্রামীণ পরিকাঠামো উন্নয়ন তহবিল) থেকে মোট ৮০টি কেন্দ্র তৈরি করা হবে। এর মধ্যে পশ্চিম মেদিনীপুরের ৬টি ব্লকে ৬টি ও পূর্ব মেদিনীপুরে ২টি ব্লকে ২টি কেন্দ্র তৈরি হবে। প্রতিটির জন্য খরচ ধরা হয়েছে ৩ কোটি টাকা। দ্রুত গতিতে এই প্রকল্প বাস্তবায়িত করতে পদক্ষেপ করা হচ্ছে বলে প্রশাসন জানিয়েছে। জেলা সংখ্যালঘু দফতরের আধিকারিক বিশ্বরঞ্জন মুখোপাধ্যায় বলেন, “কেন্দ্রগুলি তৈরির জন্য বিডিওদের জমি দেখতে বলা হয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে জমির কাগজপত্রও এসে গিয়েছে।”
পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরা, পিংলা, বেলদা, খড়্গপুর ১, কেশিয়াড়ি ও শিলদা ব্লকে এই কেন্দ্র তৈরি হবে। আর পূর্ব মেদিনীপুরের হবে পটাশপুর ও এগরায়। সংখ্যালঘু মানুষের বসবাস বেশি বলেই এই এলাকাগুলি চিহ্নিত করা হয়েছে।
তিনতলা এই কেন্দ্রের একতলায় থাকবে দোকানঘর। দো’তলায় প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। আর তিনতলায় থাকবে ডরমেটরি, প্রয়োজনে যেখানে রাত কাটানো যাবে। দোকানঘর বিলি থেকে প্রশিক্ষণ, সবেতেই অগ্রাধিকার পাবেন সংখ্যালঘুরা। তবে এলাকার স্ব-সহায়ক দল থেকে শুরু করে বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থাও ন্যূনতম ভাড়ায় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে পারবেন। আর রাত্রিবাসের বন্দোবস্ত থাকায় সরকার বা কোনও সংস্থা আবাসিক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করলেও সমস্যা হবে না।
যে সব ব্লকে ৫০ শতাংশ বা তার বেশি মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষের বসবাস, সেই সব ব্লক সংখ্যালঘু দফতর থেকে উন্নয়নের জন্য অতিরিক্ত বরাদ্দ পায়। পশ্চিম মেদিনীপুরে এ রকম ব্লক শুধু কেশপুর। কিন্তু এর বাইরেও বহু ব্লকে সংখ্যালঘু মানুষের সংখ্যাধিক্য রয়েছে। সেই সব ব্লকেই এই কেন্দ্র তৈরির পরিকল্পনা করেছে সরকার। লক্ষ্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পিছিয়ে পড়া মানুষদের স্বনির্ভর করা। দ্রুত এই কেন্দ্রগুলির কাজ সম্পূর্ণ করতে সব রকম ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে। |