জলদাপাড়া ঘোরার নতুন প্রবেশপথ
র্যটকদের জন্য জলদাপাড়া অভয়ারণ্যে ঢোকার নতুন প্রবেশপথ চালু করল বন দফতর। বৃহস্পতিবার এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে রাজ্যের বন মন্ত্রী হিতেন বর্মন আলিপুরদুয়ার-১ ব্লকের শালকুমারহাট গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার জঙ্গলে ঢোকার রাস্তাটি পর্যটকদের জন্য খুলে দেন। বন দফতর সূত্রের খবর, আজ, শুক্রবার থেকে মাদারিহাটের পাশাপাশি ওই রাস্তা দিয়ে জিপ সাফারি চালু হবে। গ্রামের পাশে বন দফতরের কাউন্টার থেকে হাতির পিঠে চড়ার টিকিটও পাবেন পর্যটকেরা। আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহার থেকে আসা পর্যটকেরা মাদারিহাট থেকে তুলনামূলক অনেক অল্প সময়ের মধ্যে শালকুমারহাট গ্রাম থেকে হাতিতে চড়া ও জিপ সাফারির সুবিধা পাবেন।
নতুন পথে জঙ্গলে ঢুকছেন বনমন্ত্রী হিতেন বর্মণ। —নিজস্ব চিত্র।
হিতেনবাবু বলেন, “এ বার কেবল জলদাপাড়া বেড়াতে এসেছেন প্রায় ১.২৫ লক্ষ পর্যটক। বন দফতরের ওয়েবসাইটে নতুন প্রবেশের পথটি তুলে ধরা হবে। আগামী বছর পর্যটকদের ভিড় উপচে পড়বে বলে আমরা আশা করছি।” রাজ্যের উত্তরবঙ্গ, দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলা এবং সুন্দরবনে পর্যটকদের থাকার এবং ঘোরার জন্য কী কী ব্যবস্থা রয়েছে তা তথ্যচিত্র তৈরি করে তুলে ধরার কথাও এ দিন বন কর্তারা জানিয়েছেন। বন দফতর সূত্রের খবর, শালকুমারহাট থেকে সকালে দু’বার ও বিকেলে এক দফায় পর্যটকদের জলদাপাড়ার জঙ্গলে ঘোরানোর জন্য ৬টি জিপের ব্যবস্থা করেছে বন দফতর। মাদারিহাট ও শালকুমার দুই জায়গা থেকে যে পর্যটকেরা জঙ্গল সাফারিতে যাবেন তাঁদের একই রুটে জিপ ঘোরাবে।
এত দিন মাদারিহাটের পাশে জলদাপাড়া অভয়ারণ্যের প্রবেশদ্বার দিয়ে জিপ সাফারি ও হাতির পিঠে চড়ার সুবিধা মিলত। জলদাপাড়া বেড়াতে এলে পর্যটকেরা মূলত মাদারিহাটেই ভিড় করতেন। জলদাপাড়া জঙ্গলের অন্য প্রান্তে, শালকুমারহাটের দুই গ্রাম পঞ্চায়েতের বহু বাসিন্দা এলাকার পর্যটন শিল্পের বিকাশের জন্য বহু বছর ধরেই জিপ সাফারি চালুর দাবি জানিয়ে আসছিলেন। এ দিন আনুষ্ঠানিকভাবে জিপ সাফারি চালু হওয়ায় খুশি বাসিন্দারা।
গ্রামের বেশ কিছু বাড়িতে হোম ট্যুরিজমের মাধ্যমে পর্যটকদের রাত কাটানোর ব্যবস্থা করার জন্য আগ্রহী গ্রামবাসীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার কথাও জানান বনমন্ত্রী। এলাকার বাসিন্দা আবদুল হামিদ প্রধান এবং কালু ছেত্রীর কথায়, “গ্রামের বেশিরভাগ মানুষজন কৃষিজীবী। বহু বেকার যুবক রয়েছেন। অনেকে ভিন রাজ্যে গিয়ে কাজ করছেন। গ্রামে পর্যটকরা আসলে এলাকার উন্নয়ন হবে।” কোচবিহারের ডিএফও রাজেন্দ্র জাখর বলেন, “এক মাস বাদে বর্ষায় তিন মাসের জন্য পর্যটকদের জন্য জঙ্গল বন্ধ থাকবে। সেই সময় গ্রামের ১৫ জন যুবককে গাইড হিসাবে প্রশিক্ষণ দেওয়ার পাশাপাশি হোম ট্যুরিজমে যাঁরা আগ্রহী, তাদের বিষয়টি দেখা হবে।”


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.