বন্ধ ঘরের ভিতর থেকে সোনার গয়না তৈরির এক কারিগরের রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার করল পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে বরাহনগরের আটাবাগানে। পুলিশের অনুমান, ভারী কিছু দিয়ে ওই ব্যক্তির মাথায় আঘাত করে তাঁকে খুন করা হয়েছে। এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়।
পুলিশ জানায়, মৃত মহাদেব মাইতি (৪৫) দীর্ঘ দিন ধরে দমদম এলাকায় সোনার কাজ করতেন। মাস চারেক আগে আব্দুল গফ্ফর নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে ঘর ভাড়া নেন। সেখানেই তিনি বিভিন্ন দোকান থেকে অর্ডার নিয়ে সোনার বালা তৈরি করতেন। পুলিশ জানায়, এ দিন স্থানীয় এক স্বর্ণ ব্যবসায়ী তুষার মাজিকে সোনার বালা বানিয়ে দেওয়ার কথা ছিল মহাদেবের। সে জন্য কয়েক বার তাঁকে ফোন করে না পেয়ে তুষার মহাদেবের বাড়ি আসেন। বাড়ির সামনে মহাদেবের জুতো ও সাইকেল থাকলেও দরজা বাইরে থেকে বন্ধ ছিল। ফের মহাদেবের মোবাইলে ফোন করেন তুষার। তখন বন্ধ ঘর থেকে ফোনের আওয়াজ পাওয়া যায়। পুলিশ জানায়, ডুপ্লিকেট চাবি দিয়ে দরজা খুলে দেখা যায়, রক্তাক্ত অবস্থায় মহাদেব পড়ে রয়েছেন। পুলিশ এসে ওই ঘর থেকে একটি হাতুড়ি ও একটি লোহার রড উদ্ধার করে। তবে লুঠপাটের কোনও চিহ্ন মেলেনি বলে দাবি পুলিশের। এই ঘটনায় বরাহনগর থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন মহাদেবের ভাগ্নে বিকাশ সামন্ত। পুলিশের সন্দেহ, মহাদেবের পরিচিত ও ঘনিষ্ঠ কেউ এই ঘটনায় জড়িত। বেলঘরিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (১) আনন্দ রায় বলেন, “কী কারণে খুন, তা স্পষ্ট নয়। কিছু সূত্র মিলেছে। তার ভিত্তিতে আমরা তদন্ত শুরু করেছি।” |