কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রের অস্বাভাবিক মৃত্যু হল। বুধবার, নির্মল চন্দ্র স্ট্রিটের উদয়ন ছাত্রাবাসের ঘর থেকে ওই ছাত্রের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। একটি সুইসাইড নোট মিলেছে ঘর থেকে। তাতে লেখা, তাঁর মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। বাসন্তী থানা এলাকার শিবগঞ্জের বাসিন্দা অর্ধেন্দুশেখর নে (২২) বাংলা বিভাগের স্নাতকোত্তর শাখার ছাত্র ছিলেন। পুলিশ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়। ছাত্রাবাসের সুপার সঞ্জয় দত্ত বলেন, “অর্ধেন্দু লেখাপড়ায় ভাল ছিলেন।” তাঁর সহপাঠীরা জানান, অর্ধেন্দু সম্প্রতি একটি পরীক্ষায় ভাল ফল করতে পারেননি। তাই কয়েক দিন ধরেই মনমরা ছিলেন। পুলিশ তদন্তে জানতে পেরেছে, চর্মরোগে ভুগছিলেন তিনি। পুলিশের অনুমান, মানসিক অবসাদ থেকেই এই আত্মহত্যা।
|
অন্তঃসত্ত্বা বধূর মৃত্যু, ধৃত স্বামী |
অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় এক মহিলার অস্বাভাবিক মৃত্যুর জেরে বৃহস্পতিবার গ্রেফতার করা হল তাঁর স্বামীকে। মমতা অধিকারী (৪০) নামে ওই মহিলা একটি বেসরকারি হাসপাতালে নার্সের কাজ করতেন। পুলিশ জানায়, বুধবার হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরার সময়ে অসুস্থ হয়ে রাস্তাতেই জ্ঞান হারিয়ে পড়ে যান মমতাদেবী। স্থানীয় লোকজন তাঁকে প্রথমে ওই হাসপাতালেই নিয়ে যান। সেখানেই চিকিত্সকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পুলিশ জানায়, মমতার শ্বশুরবাড়ি তিলজলায়। ২০১০ সালে তাঁর বিয়ে হয়। তাঁর বাপের বাড়ির লোকজনের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাঁর উপর নির্যাতন করতেন। তা নিয়ে অবসাদেও ভুগছিলেন ওই মহিলা। বৃহস্পতিবার মমতার ভাই প্রভাস দত্ত তিলজলা থানায় বধূ নির্যাতনের মামলা দায়ের করেন। তার ভিত্তিতেই মমতার স্বামী গৌতম অধিকারীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
|
রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের এক কর্মী দুর্ঘটনায় জখম হয়েছেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মহম্মদ সর্দার (৩৬) নামে ওই ব্যক্তি এ দিন গাড়ি চালিয়ে তারাতলা থানা এলাকায় সিএসটিসি গ্যারাজের সামনে দিয়ে যাচ্ছিলেন। ওই সময়ে অন্য একটি গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তাঁর গাড়ির পিছনে ধাক্কা মারে। বর্তমানে মাথায় চোট নিয়ে তিনি একবালপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিত্সাধীন।
|
টানা কয়েক দিন জল নেই মেডিক্যাল পড়ুয়াদের হস্টেলে। তাই জলের খালি বালতি নিয়ে অধ্যক্ষকে ঘেরাও করলেন পড়ুয়ারা। শুক্রবার, ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। ছাত্রছাত্রীদের অভিযোগ, স্নান তো দূর, পানীয় জলও ঠিকঠাক মিলছে না। কর্তৃপক্ষকে বার বার বলেও ফল হয়নি। তাই বাধ্য হয়েই ঘেরাওয়ের রাস্তা বাছতে হয়েছে। অধ্যক্ষ সমীর ঘোষ রায় হলেন, “জলস্তর নেমে যাওয়ায় সমস্যা হচ্ছে। পূর্ত দফতরের সঙ্গে
বৈঠক হয়েছে। অচিরেই সমস্যা মিটে যাবে।” প্রতিশ্রুতি পাওয়ার পরে পড়ুয়ারা ঘেরাও তুলে নেন।
|
শ্যালিকাকে খুনের অভিযোগে ভাবা অ্যাটমিক রিসার্চ সেন্টারের বিজ্ঞানী প্রবীর দাশগুপ্ত ও তাঁর স্ত্রী ইলিনা দাশগুপ্তকে বৃহস্পতিবার
সাত বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিল বারাসত আদালত। সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের জেরে ২০০৫ সালের ১৯ এপ্রিল বিধাননগরে নিজের বাড়িতে শ্যালিকা পৃথা নাগকে ওই দম্পতি খুন করেন বলে অভিযোগ। |