কাটোয়ায় লগ্নি সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ
নিজস্ব সংবাদদাতা • কাটোয়া |
অর্থলগ্নি সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করলেন এক এজেন্ট। বৃহস্পতিবার কাটোয়া থানায় ‘সুরাহা মাইক্রো ফিনান্স’ নামে ওই সংস্থার দুই কর্তা দিলীপরঞ্জন নাথ ও বাসন্তী মণ্ডলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন অগ্রদ্বীপ গ্রামের মধুসূদন সাহা। অভিযুক্ত দু’জনেরই বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবার এলাকায়। পুলিশ জানায়, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত হবে। গত ৩ মে এই সংস্থার এজেন্ট ও আমানতকারীরা এসডিপিও (কাটোয়া) এবং মহকুমাশাসকের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। মহকুমাশাসক আর অর্জুন বিষয়টি তদন্তের জন্য এসডিপিও-কে নির্দেশ দেন। কিন্তু ওই এজেন্ট ও আমানতকারীদের অভিযোগ, পুলিশ বিষয়টি আমল দেয়নি। তাই তদন্তও এগোয়নি। মধূসুদনবাবুর দাবি, বাধ্য হয়ে তিনি বৃহস্পতিবার কাটোয়া থানায় অভিযোগ করেছেন। পুলিশ তদন্তে নেমে জেনেছে, ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারিতে কাটোয়ার মাধবীতলায় ‘সানমার্গ ওয়েলফেয়ার সোসাইটি’ নাম নিয়ে সংস্থাটি কাজ শুরু করে। এর কিছুদিন পরে সংস্থাটির নাম পাল্টে রাখা হয় ‘সুরাহা মাইক্রো ফিনান্স’। গত বছর পুজোর সময় থেকে সংস্থার কাটোয়া শাখা বন্ধ হয়ে রয়েছে। পুলিশ আরও জেনেছে, কাটোয়া শাখার বেশির ভাগ এজেন্ট নবদ্বীপ, বোলপুর, কালনা ইত্যাদি এলাকার বাসিন্দা। মধুসূদনবাবু অভিযোগ করেন, আমানতকারীদের টাকা ফেরত দেওয়ার সময় হতেই সংস্থা বন্ধ করে দেন কর্তারা। মহকুমাশাসকের নির্দেশ সত্ত্বেও তদন্তে গড়িমসির অভিযোগ নিয়ে পুলিশ প্রতিক্রিয়া দিতে চায়নি।
|
সহবাস করে জেল যুবকের
নিজস্ব সংবাদদাতা • কালনা |
সহবাসের পরে বিয়ের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের দায়ে এক যুবককে দশ বছর কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল কালনা আদালত। বৃহস্পতিবার সৈয়দ আব্দুল হালিম নামে ওই যুবককে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছর কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন কালনা ফাস্ট ট্র্যাক আদালতের বিচারক অখিলেশকুমার পাণ্ডে। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ঘটনার সূত্রপাত ২০০৬ সালে। সৈয়দ আব্দুল হালিমের বাড়ি মন্তেশ্বরের লেবুতলা এলাকায়। তার বাড়িতে যাতায়াত ছিল এলাকার এক নাবালিকার। অভিযোগ, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সে বেশ কয়েক বার ওই নাবালিকার সঙ্গে সহবাস করে। ওই নাবালিকা অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। পুলিশের দাবি, দু’পক্ষকে নিয়ে আলোচনায় বসলে অভিযুক্ত যুবক সহবাসের কথা স্বীকার করে নেয়। সে ওই মেয়েটিকে ২০০৭ সালের জানুয়ারিতে বিয়ে করবে বলে প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু প্রতিশ্রুতি না রাখায় মেয়েটি ২০০৭ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি এসিজেএম আদালতে একটি মামলা দায়ের করে। সেই বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি সে একটি সন্তানের জন্ম দেয়। মামলার সরকারি আইনজীবী অরূপ ভট্টাচার্য জানান, বুধবার আদালত সৈয়দ আব্দুল হালিমকে দোষী সাব্যস্ত করে। আজ তার কারাদণ্ডের সাজা ঘোষণা হল।
|
দুর্ঘটনায় মৃত বধূ
নিজস্ব সংবাদদাতা • বর্ধমান |
স্বামীর সঙ্গে মোটরবাইকে চড়ে বাপের বাড়ি থেকে ফেরার পথে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে এক বধূর। বুধবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে পাল্লা রোডের টোলপ্লাজার কাছে। ওই দম্পতি মেমারির রসুলপুরে ফিরছিলেন। কোনও গাড়ি তাঁদের ধাক্কা মেরে পালায়। পুলিশ জানায়, মৃতার নাম পুষ্পিতা রায় (৩৪)। তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বর্ধমানে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হলে সন্ধ্যায় তাঁর মৃত্যু হয়।
|
ছাদ থেকে পড়ে মৃত
নিজস্ব সংবাদদাতা • বর্ধমান |
ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যু হয়েছে এক রাজমিস্ত্রির। মৃতের নাম পিন্টু দে (২৫)। বাড়ি মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরে। দুর্গাপুরের এস বি স্কুল পাড়ায় বুধবার দুপুরে তিনি নির্মাণের কাজ করতে গিয়ে ভারা থেকে পড়ে যান। মাথায় গুরুতর চোট পাওয়ায় তাঁকে সন্ধ্যায় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। রাতে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। |