মহিলা কামরায় আম তোলা নিয়ে গণ্ডগোলের জেরে চেন টেনে তিস্তা-তোর্সা এক্সপ্রেস থামালেন যাত্রীরা।
রেলপুলিশ সূত্রের খবর, শিয়ালদহ থেকে আপ মহিলা কামরায় আমের বস্তা নিয়ে উঠেছিলেন এক দল ‘মহিলা’। প্রথম থেকেই আপত্তি করেছিলেন কামরার মহিলা যাত্রীরা। তাঁদের বক্তব্য, আম নিয়ে ওঠা মহিলাদের সঙ্গে পুরুষেরাও ছিল। বর্ধমানের কাটোয়ায় পৌঁছে ঝামেলা চরমে পৌঁছয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বর্ধমানের কাটোয়া স্টেশনে ট্রেন ঢুকতেই চেন টানেন মহিলা যাত্রীরা। ট্রেন দাঁড়িয়ে পড়ে। আমের কারবারিদের সঙ্গে যাত্রীদের গোলমাল বেধে যায়।
খবর পেয়ে রেলের কর্তারা ঘটনাস্থলে গেলে যাত্রীরা অভিযোগ করেন, শিলিগুড়ি নিয়ে যাওয়ার জন্য কামরায় আমের বস্তা তোলায় তাঁদের চলাফেরা করতে অসুবিধা হচ্ছিল। দরজার মুখে বেশ কয়েকটি বস্তা রাখা ছিল। শৌচাগারে যাওয়া যাচ্ছিল না। যাত্রীদের তুলে দিয়ে তাঁধের আসনে বসে পড়ছিল আমের কারবারিরা। এই নিয়েই গোলমাল বাধে। গার্ডকে বারবার জানিয়েও লাভ হয়নি। এই নিয়ে রেলপুলিশের সঙ্গে যাত্রীদের কথা কাটাকাটি শুরু হয়ে যায়। মিনিট পনেরো পরে ওই কামরা থেকে আমের বস্তা সরিয়ে দেওয়া হলে যাত্রীরা নিরস্ত হন। ফের ট্রেন ছাড়ে।
পূর্ব রেলের বিবি লুপ শাখার যাত্রী সমিতির সভাপতি পুরবধি মুখোপাধ্যায় বলেন, “খবর পেয়েই স্টেশনে যাই। মহিলা যাত্রীরা ট্রেন আটকে দিয়েছিলেন। তাঁরা অভিযোগ করেন, আম ব্যবসায়ীদের মধ্যে পুরুষেরাও ছিল। অথচ পুলিশ পুরুষদের গ্রেফতার করেনি।” রেলপুলিশের দাবি, ওই কামরায় কোনও পুরুষ যাত্রী ছিল না। কয়েক জন মহিলা আমের বস্তা নিয়ে উঠেছিলেন। যাত্রীরা অভিযোগ করার পরেই তাঁদের ওই কামরা থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়। কাটোয়া স্টেশন ম্যানেজার দিলীপকুমার মণ্ডল বলেন, “মহিলা যাত্রীরা ট্রেন চলতে দিচ্ছেন না খবর পেয়েই রেলপুলিশ ও রেল সুরক্ষা বাহিনীকে (আরপিএফ) খবর দেওয়া হয়। তারা গিয়ে ওই কামরা থেকে আমের বস্তা নামিয়ে দিলে ফের ট্রেন চলাচল শুরু হয়।”
পুকুরে পিতলের কৌটো। একশো দিনের কাজে পুকুর সংস্কার করতে গিয়ে মিলল বেশ কিছু পুরনো জিনিস। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা নাগাদ পাণ্ডবেশ্বরের নবগ্রাম পঞ্চায়েতের কুমারডিহি গ্রামের ঘটনা। এ দিন গ্রামেরই চট্টরাজ পরিবারের পুকুর সংস্কারে নামেন কয়েক জন দিনমজুর। মাটি কাটা শুরু হতেই পিতলের একটি কৌটো মেলে। পুলিশ জানায়, সেগুলির কোনও পুরাতাত্ত্বিক মূল্য আছে কি না, তা জানতে বিশেষজ্ঞদের দিয়ে পরীক্ষা করানো হবে। |