বহির্বিভাগের পরিষেবায় প্রতিবাদ জলপাইগুড়িতে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • জলপাইগুড়ি |
কোমরের ব্যাথা নিয়ে গত মঙ্গলবার জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালের বর্হিবিভাগে চিকিৎসা করাতে গিয়েছিলেন শহরেরই বাসিন্দা স্বপন সিংহ। হাসপাতালের চিকিৎসক তাঁকে এক্সরে করার পরামর্শ দেন। সেই প্রেসক্রিপশন নিয়ে হাসপাতালের এক্সরে বিভাগে গেলে আগামী ১৬ জুলাই তাঁর এক্স-রে করা হবে বলে জানানো হয়। সেই মত অক্স-রে বিভাগে প্রেসক্রিপশন নিয়ে গেলে তাঁকে দু’মাস বাদের তারিখ লিখে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে এদিন স্বপনবাবুকে সঙ্গে নিয়ে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করেছেন ফরওয়ার্ড ব্লকের জেলা সম্পাদক প্রবাল রাহা। এই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জগন্নাথ সরকার বলেন, “কেন এই ঘটনা ঘটল খতিয়ে দেখতে হবে। কেন দ্রুত এক্সরে করা সম্ভব নয় খতিয়ে দেখা হবে। এমন ঘটনা বেশি দিন চলতে দেওয়া যাবে না।” সদর হাসপাতালের সুপার সহ, এক্সরে বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্তদের নিয়ে বৈঠক করা হবে বলে জগন্নাথবাবু জানান।
পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলির অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে এক্সরে বিভাগে রোগীরা গেলে তাদের ফিরিয়ে দিয়ে দু থেকে ৩ মাস বাদের তারিখ দেওয়ার ঘটনা ঘটে চলেছে। বেসরকারি কিছু ক্লিনিককে সুবিধে করে দিতেই সরকারি পরিষেবা বিপর্যস্ত করে রাখা হয়েছে বলে ফরওয়ার্ড ব্লকের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, এক্সরে বিভাগে দুটি এক্সরে যন্ত্র রয়েছে, কর্মীর সংখ্যা ৪ জন। কর্মীর অভাবে দ্রুত এক্সরে করা সম্ভব হয়না বলে কর্তৃপক্ষের দাবি। জরুরি ক্ষেত্রে এবং হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের ক্ষেত্রে সেদিনই এক্সরে করে দেওয়া হয়, শুধুমাত্র বহির্বিভাগের রোগীদের ক্ষেত্রে পরের তারিখ দেওয়া হয়। সম্প্রতি শহরের মাসকলাইবাড়ির বাসিন্দা পেশায় দিনমজুর স্বপনবাবু রিকশার ধাক্কায় কোমরে এবং হাতে আঘাত পেয়ে জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালের বর্হিবিভাগে চিকিৎসার জন্য গিয়েছিলেন। ফরওয়ার্ড ব্লকের জেলা সম্পাদক প্রবালবাবু বলেন, “স্বপনবাবু আমার পরিচিত। এমন ঘটনার কথা শুনে হতবাক হয়ে যাই। বর্হিবিভাগে যে সব দুঃস্থ রোগীরা আসেন, যাদের বাইরে এক্সরে করার সামর্থ্য নেই, তবে কী তাদের দ্রুত চিকিৎসার অধিকার নেই। সে কারণেই জবাব চাইতেই আমরা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করি।” |