প্রতিষেধকে অসুস্থ হয়ে শিশুর মৃত্যু |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শামুকতলা |
জাপানি এনসেফেলাইটিস প্রতিষেধক টিকা দেওয়ার পরে অসুস্থ হয়ে আড়াই বছরের এক শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। আলিপুরদুয়ার-২ ব্লকে দক্ষিণ পারোকাটা গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত শিশুর নাম ঋত্বিকা দাস। অভিযোগ, সোমবার ঋত্বিকাকে প্রতিষেধক দেওয়া হয়। রাতে সে অসুস্থ হলে কামাখ্যাগুড়ি ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ও সেখান থেকে পরে আলিপুরদুয়ার মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। মঙ্গলবার সকালে শিশুটি মারা যায়। শিশুর বাবা সুশীল দাস ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিককে অভিযোগ করে তদন্ত দাবি করেন। যদিও স্বাস্থ্য আধিকারিকরা জানিয়েছেন জাপানি এনসেফেলাইটিস প্রতিষেধক টিকার সঙ্গে শিশুর মৃত্যুর যোগাযোগ নেই। আলিপুরদুয়ার-২ ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক সুভাষ কর্মকার বলেছেন, “জাপানি এনসেফেলাইটিস প্রতিষেধকের কোনও পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া নেই। ১৬ এপ্রিল থেকে টিকাকরণের কর্মসূচি চলছে। চলবে ১৫ মে পর্যন্ত। এখন পর্যন্ত ব্লকের ৪৩ হাজার জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে। কেউ অসুস্থ হয়নি। শিশুটি আগে থেকে অসুস্থ ছিল বলে জেনেছি। সব দিক খতিয়ে দেখা হবে।” বুধবার শিশুর অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলেন স্বাস্থ্য আধিকারিকরা। ওই বাড়ির আরও চার শিশুকে টিকা দেওয়া হয়ছে। প্রত্যেকে সুস্থ আছে। আলিপুরদুয়ার-২ পঞ্চায়েত সমিতির জনস্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ সুরাইয়া বসুমাতা ও শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ রিঙ্কু তরফদার ওই গ্রামে যান। পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন। জনস্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ বলেন, “শিশুটির মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে স্বাস্থ্য আধিকারিকদের বলা হয়েছে।”
স্বাস্থ্যকর্তাদের বক্তব্য মেনে নেননি ঋত্বিকার বাবা সুশীল দাস। তিনি অভিযোগ করেন, টিকা দেওয়ার আগে শিশু পুরোপুরি সুস্থ ছিল। টিকাকরণের পরে শরীর ছেড়ে দেয়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরে মারা যায়। তিনি বলেন, “টিকাকরণের ত্রুটিতে মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। উজ্বলা দাস নামে এক স্বাস্থ্যকর্মী টিকা দেন।” স্বাস্থ্যকর্মী উজ্বলা দেবী অবশ্য ওই অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, “ওই দিন ২৫৬ জনকে টিকা দেওয়া হয়। ওই শিশুর মৃত্যুর অন্য কারণ রয়েছে।” |