প্লেট নেই, তাই টানা দেড় মাস ধরে এক্স-রে পরিষেবা বন্ধ কান্দি মহকুমা হাসপাতালে। প্রয়োজনে এক্স-রে করাতে হচ্ছে বাইরে থেকে। যা খরচ পড়ছে প্রায় চার গুণ। রোগীর পরিজনগের অভিযোগ , এ বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বারবার জানানো হলেও স্বাস্থ্যকর্তারা উদাসীন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৫০ শয্যার কান্দি মহকুমা হাসপাতালে প্রতিদিন বর্হিবিভাগে প্রায় সাড়ে পাঁচশো রোগীর চিকিৎসা করানো হয়। চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী কোনও রোগীকে এক্স-রে করাতে হলে হাসপাতালে খরচ পড়ে প্লেট প্রতি ৩০ টাকা। সেখানে বাইরে থেকে এক্স-রে করাতে ১০০ টাকা থেকে ১২০ টাকা খরচ হয়। বিপিএল তালিকাভূক্ত রোগীদের হাসপাতাল থেকে এক্স-রে করাতে কোনও টাকা লাগে না। জানা গিয়েছে, প্রতিদিন ৫৫ জন থেকে ৬০ জন রোগীর এক্স-রে করা হয়। কিন্তু প্লেটের অভাবে গত ২৩ মার্চ থেকে হাসপাতালের এক্স-রে মেশিন বন্ধ রয়েছে।
খড়গ্রামের বাসিন্দা বাবুরাম ঘোষ বলেন, “আমার পায়ে আঘাত লেগেছে। হাসপাতালে গেলে চিকিৎসক এক্স-রে করাতে বলেন। হাসপাতালে এক্স-রে করাতে গিয়ে দেখি পরিষেবা বন্ধ রয়েছে। ফলে বাইরে থেকে ১২০ টাকা দিয়ে এক্স-রে করাতে হয়। এর জন্য অনেক বেশি টাকা খরচ পড়ে গিয়েছে।”
কান্দি মহকুমা স্বাস্থ্য আধিকারিক তথা ওই হাসপাতালের সুপার ভাস্কর বৈষ্ণব বলেন, “মার্চ মাসে এক্স-রে প্লেট শেষ হয়ে যাওয়ায় সমস্যা হয়েছে। এক্স-রে প্লেটের জন্য টেন্ডার হয়েছে। চলতি সপ্তাহে প্লেট আসবে বলে মনে করা হচ্ছে।” মাস দেড়েক ধরে প্লেটের ব্যবস্থা না হওয়ার কারণ ব্যাখা করতে গিয়ে ভাস্করবাবু বলেন, “টেন্ডার করতে পদ্ধতিগত কারণে কিছুটা সময় লেগে যায়। তাই এই দেরি।” কান্দির বিধায়ক অপূর্ব সরকার বলেন, “কেন দীর্ঘ দিন ধরে এক্স-রে প্লেট নেই খোঁজ নিয়ে দেখব।” |