টুকরো খবর
জ্বরে ভুগে মৃতআদিবাসী ছাত্র
মেনেনজাইটিসে আক্রান্ত বালুরঘাটের একটি তফশিলি জাতি ও উপজাতি হস্টেলের আবাসিক সপ্তম শ্রেণির ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটের নদী পাড় এনসি হাইস্কুল হস্টেলে ঘটনাটি ঘটেছে। স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে মৃত ছাত্রের নাম বাবুন ওঁরাও (১৩)। হিলির পাঞ্জুলের বাসিন্দা এই ছাত্রটি মঙ্গলবার সকাল থেকে জ্বরে ভুগছিল বলে জানা গিয়েছে। সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ জ্বরে আক্রান্ত ওই ছাত্র সংজ্ঞা হারিয়ে ফেলায় তাকে বালুরঘাট হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তার কিছুক্ষণ পরে ছাত্রের মৃত্যু হয় বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক কাজল মণ্ডল এ দিন বলেন, “মেনেনজাইটিসে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ছাত্রকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানেই তার মৃত্যু হয়েছে।” ছাত্রের মৃত্যুতে স্কুল কর্তৃপক্ষের নামে গাফিলতির নালিশ তুলেছেন মৃত ছাত্রের বাবা। স্কুলের হস্টেলটি শুধুমাত্র তফশিলি জাতি উপজাতিদের থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। হস্টেলের যাবতীয় খরচ জেলার অনগ্রসর কল্যাণ দফতর বহন করে। একাংশ অভিভাবকদের অভিযোগ, হস্টেলের পরিবেশ অস্বাস্থ্যকর। ১২৩ আবাসিককে গাদাগাদি করে রাখা হয়। হস্টেলে মেনেনজাইটিস ভাইরাস থেকে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় অনান্য আবাসিকদের মধ্যেও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। বুধবার অধিকাংশ ছাত্রকে হস্টেল থেকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে গিয়েছেন অভিভাবকেরা। মৃতের বাবা বীরেন ওঁরাও বলেন, “মঙ্গলবার হস্টেলে ছেলেকে দেখে এসেছি। ও মাথা ব্যথা করছিল বলে জানায়। তবে তেমন দেখলে হস্টেলে রেখে আসতাম না।” মহকুমাশাসক সুদীপ মুখোপাধ্যায় বলেন, “ছাত্র মৃত্যুর বিষয় নিয়ে কোনও অভিযোগ হয়নি। তবু বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।”

বর্ষার আগে স্বাস্থ্য নিয়ে সমীক্ষা শুরু
গত বছর শিলিগুড়ি শহর এবং সংলগ্ন এলাকায় ডেঙ্গু, এনসেফ্যালাইটিসে আক্রান্ত হয়েছিলেন অনেকে। এ বছর তাই আগাম সতর্ক হতে সরকারি নির্দেশ মেনে বর্ষার শুরুতে প্রতিটি ওয়ার্ডে স্বাস্থ্য সমীক্ষার কাজ শুরু করেছে শিলিগুড়ি পুরসভা। রাজ্যের যে সমস্ত পুর এলাকাগুলিতে ডেঙ্গি, চিকনগুনিয়া, এনসেফ্যালাইটিস আক্রান্ত রোগী মিলেছিল সে সমস্ত পুরসভার প্রতিনিধি, স্যানিটরি ইন্সপেক্টরদের নিয়ে বৈঠক করে সুডার তরফে ওই উদ্যোগ গ্রহণ করতে বলা হয়। স্বাস্থ্য দফতরের তরফেও সহায়তা করা হচ্ছে। এক সপ্তাহ আগেই কাজ শুরু হয়েছে। আগামী ১ মাস ধরে পুরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে বাড়ি গিয়ে সমীক্ষা করবেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। কোথাও ওই ধরনের রোগী রয়েছে কি না তা দেখার পাশাপাশি বাসিন্দাদের সচেতন করতে প্রচার চালাবেন তাঁরা। মেয়র গঙ্গোত্রী দত্ত বলেন, “আইসিডিএস কর্মী, পুরসভার হেল্থ পোস্টগুলির স্বাস্থ্যকর্মীদের দিয়ে ওই কাজ হবে।” স্বাস্থ্যকর্মীরা সরেজমিনে ঘুরে যে সব তথ্য পাবেন তা নিয়ে সার্বিক রিপোর্ট তৈরি করা হবে। এই সমীক্ষার জন্য স্বাস্থ্যকর্মীদের বাড়তি ৫০ টাকা করে দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি বর্তমানে পুরসভার জল থেকে ব্যাঙাচি বার হওয়ার ঘটনায় সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। এই কারণে বাসিন্দাদেরও বাড়ির জলাধার পরিষ্কার রাখতে বলছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা।

স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পাখা
বলরামপুরের বাঁশগড় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বৈদ্যুতিক পাখা দেওয়া হল বলরামপুর উন্নয়নকামী নাগরিকবৃন্দের পক্ষ থেকে। রোগীদের ওয়ার্ডে পাখাগুলি ব্যবহারের জন্য বুধবার তাঁরা স্বাস্থ্যকেন্দ্র কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেন।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.