মহাকালগুড়ি পঞ্চায়েতের আরএসপি সদস্য এবং উন্নয়ন সমিতির সচিবের বিরুদ্ধে সই জাল করে গ্রামবাসীদের ১০০ দিন প্রকল্পের মজুরি আত্মসাতের অভিযোগ তুলেছেন বাসিন্দারা। বুধবার আলিপুদুয়ার ২ বিডিওকে স্মারকলিপি দিয়ে এই অভিযোগ করেছেন একাংশ বাসিন্দা। গ্রামবাসীদের পোস্ট অফিসের পাশবই এবং জবকার্ড নিজেদের কাছে রেখে, জাল সই করে টাকা তোলা হয় বলে অভিযোগ। বিডিও সজল তামাং বলেন, “অভিযোগ প্রমাণিত হলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা হবে।”
অভিযোগ, এলাকার বাসিন্দা বৃদ্ধ শচীন দাসের শরীরে মাটি কাটার কাজ করার ক্ষমতা নেই। তাঁর অজান্তেই তাঁর নামেই একশো দিনের কাজে মাটি কাটার মজুরি বাবদ প্রায় ৪ হাজার টাকা পোস্ট অফিসে জমা পড়েছে, আবার তাকে না জানিয়েই সেই টাকা তুলেও নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। সুষমা মুণ্ডার একশো দিন কাজের মজুরি বাবদ প্রায় ৬ হাজার টাকা তার নামে পোস্ট অফিস থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে। গ্রামের প্রায় কম বেশি দুশো বাসিন্দার অভিযোগ এমনই। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, এক বছর আগে জব কার্ড নবীকরণ করার জন্য প্রায় দুশো জন গ্রামবাসীর জব কার্ড ও ডাকঘরের পাশ বই গ্রাম পঞ্চায়েতের আরএসপি সদস্য মনোরঞ্জন বর্মন ও গ্রাম উন্নয়ন সমিতির সচিব নবীন ছেত্রী জমা নিয়েছিলেন। যদিও আরএসপি গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য ও গ্রাম উন্নয়ন সমিতি সচিব অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন। পঞ্চায়েত সদস্য মনোরঞ্জন বর্মন বলেন, “অভিযোগ সঠিক নয়। ভোটের আগে মিথ্যে অভিযোগ এনে কেউ কেউ চমক দিতে চাইছে।”
গ্রাম উন্নয়ন সমিতির সচিব তথা আরএসপি নেতা নবীন ছেত্রী জানান, “আমি নিয়ম মেনে সব কাজ করেছি। আমার মনে হচ্ছে, গ্রামবাসীদের কেউ বিভ্রান্ত করতে চাইছেন।” আরএসপি আলিপুরদুয়ার ২ জোনাল কমিটির সম্পাদক গুরুদাস ভৌমিক বলেন, “বিষয়টি জানি না। অভিযোগ হলে তদন্ত করে দেখা উচিত। তবে দলের কেউ এর সঙ্গে যুক্ত নেই।” এলাকার সিপিএম নেতা সুনীল দেবনাথ বলেন,“দুর্নীতির বিরুদ্ধে লাগাতার আন্দোলনে নামব।” তৃণমূল কংগ্রেসের মহাকালগুড়ি অঞ্চল সভাপতি পরেশ দেবনাথ বলেন, “আমরা চাই প্রশাসন এর সঠিক তদন্ত করুক।” |