শ্রমিক অসন্তোষের জেরে ফের বন্ধ হল ডুয়ার্সের কাঁঠালগুড়ি চা বাগান। মঙ্গলবার দুপুরের পরে ম্যানেজার ও দুই সহকারী ম্যানেজার অফিস ঘরের দরজায় নোটিশ ঝুলিয়ে বাগান ছেড়ে চলে যান। বুধবার সকালে কাজে যোগ দিতে গিয়ে শ্রমিকরা জানতে পারেন কর্তৃপক্ষ কেউ নেই। অফিস বন্ধ। তাঁরা সেখানে সাসপেনশন অব ওয়ার্কের নোটিস দেখে হতাশ হয়ে পড়েন। উত্তরবঙ্গের যুগ্ম শ্রম আধিকারিক মহম্মদ রিজওয়ান বলেন, “বাগানের শ্রমিকদের বেতন সমস্যা নিয়ে কয়েক দিনের মধ্যে বৈঠকে বসার কথা ছিল। সেটা জানার পরেও কেন শ্রমিকরা বাগানে আন্দোলন করছিল সেটাই বুঝতে পারছি না। ২৩ মের ডাকা বৈঠক বাতিল করে বাগান চালুর জন্য আলোচনায় বসব।” ২০০২ সাল থেকে টানা আট বছর বন্ধ থাকার পরে ২০১০ সালের ২ জুন বাগানটি চালু হয়।
শ্রমিকদের অভিযোগ, পুরনো হারে ৬৭ টাকা মজুরি দেওয়া হচ্ছিল। অথচ বাগান চালু হওয়ার একবছর পরে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে নতুন হারে বর্ধিত মজুরি চালু হয়। |
ওই চুক্তি মেনে অন্য সমস্ত বাগানের শ্রমিকরা ৯৫ টাকা মজুরি পাচ্ছে। শুধুমাত্র এখানে দেওয়া হচ্ছে না। বিষয়টি শ্রম দফতরে জানিয়ে লাভ হয়নি। ওই কারণে তাঁরা আন্দোলনে নামেন। যদিও কাঁঠালগুড়ি বাগানের মালিক নরেন্দ্র বারেলিয়া বলেন, “বাগানের একটি বড় অংশের পুরনো গাছ উপড়ে চারা রোপণ করা হয়েছে। এখনও পাতা তোলা শুরু হয়নি। খরচ মেটাতে সমস্যা হচ্ছিল। শ্রমিকদের জানানো হয়েছিল। তবু মজুরি নিয়ে বৈঠকে করতে রাজি ছিলাম। কিন্তু শ্রমিকরা অফিসের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে।”
কংগ্রেস শ্রমিক সংগঠন এনইউপিডব্লু-র কাঁঠালগুড়ি বাগান সম্পাদক মাধো ওঁরাও বিক্ষোভের অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, “দু’তিন দিন মাত্র এক ঘণ্টার গেট মিটিং করা হয়েছে। কোথাও বিক্ষোভ দেখানো হয়নি। কর্তৃপক্ষ ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলে চলে যান।” চামুর্চি গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য তথা সিপিএম নেতা সুকান্ত মুন্ডার জানান, বাগানে জল, বিদ্যুৎ নেই। কর্তৃপক্ষ কম মজুরি দিচ্ছে। সংসার কী করে চলবে তা ভেবে দেখা দরকার। |