মিড-ডে মিল রান্না নিয়ে দুই স্বনির্ভর গোষ্ঠীর বিবাদে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে আটকে রাখা হল রাস্তার মোড়ের একটি ঘরে। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মগরাহাটের কাঁটাপুকুরিয়ায়।
প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মগরাহাটের কাঁটাপুকুরিয়া নোনাতলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ১৩৬ জন। ওই বিদ্যালয়ে মিড ডে মিলের খাবার রান্না করা নিয়ে দুই স্বনির্ভর গোষ্ঠীর বিবাদ চলছে বেশ কয়েক বছর। তার জেরে দু’বছর বন্ধ ছিল মিড ডে মিলের রান্না। এরপর প্রশাসন ও বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মিলিতভাবে গত ২৬ এপ্রিল আলোচনায় বসেন। সেখানে মিলিতভাবে সিদ্ধান্ত হয় পুরানো যে গোষ্ঠী রান্নার কাজ করত তাদের হাতেই রান্নার কাজ দেওয়া হবে।
বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, মঙ্গলবার দুপুরে বিদ্যালয়ের মধ্যে মিড ডে মিলের রান্না চলার সময় চড়াও হন কয়েকজন গ্রামবাসী। অভিযোগ, তাঁরা রাঁধুনিদের রান্নার কাজ বন্ধ রাখতে বলে। এরপর রান্নার দায়িত্বপ্রাপ্ত মহিলারা মগরাহাট-২ এর বিডিও রিজওয়ান ওয়াহাবের কাছে অভিযোগ জানাতে যান। বিডিও ডাকেন ওই বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হরিসাধন মুখোপাধ্যায়কে। বিডিওর কাছে হরিসাধনবাবু গোপাল মালিক-সহ কয়েকজন গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ জানিয়ে হরিসাধনবাবু যখন বাড়ি ফিরছিলেন তখন তাঁকে মগরাহাটের একটি ঘরে কয়েকজন গ্রামবাসী আটকে রাখে বলে অভিযোগ।
হরিসাধনবাবু বলেন, “আগের গোষ্ঠীকে দিয়ে মিড ডে মিল রান্না করানোয় আমাকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। মোবাইলেও হুমকি দেওয়া হচ্ছে। প্রশাসনের কাছে তিনদিন ছুটি চেয়ে আবেদন করেছি। আমি আতঙ্কে আছি।” মগরাহাট পূর্বচক্রের বিদ্যালয় পরিদর্শক ইন্দ্রনাথ রায় বলেন, “বুধবার সকালে ওই বিদ্যালয়ে গিয়েছিলাম। মিড ডে মিল রান্না সংক্রান্ত স্থানীয় সমস্যাটি মেটানোর জন্য একাধিকবার আলোচনা করা হয়েছিল।”
বিডিও রিজওয়ান ওয়াহাব বলেন, “বিবাদমান দু’পক্ষকে আলোচনায় ডাকা হয়েছে। আশা করি, সমস্যা মিটে যাবে।” |