চুরি-ডাকাতির বিরাম নেই বসিরহাটে। বুধবার বসিরহাটে এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে গ্রিলের দরজা ভেঙে বড় ধরনের চুরির ঘটনা ঘটে। অন্যদিকে, মঙ্গলবার গভীর রাতে সন্দেশখালির খুলনা গ্রামে একটি মন্দিরের দরজার তালা ভেঙে লক্ষাধিক টাকার অলঙ্কার নিয়ে পালায় দুষ্কৃতীরা। এই একই রাতে বাদুড়িয়ায় গ্রিলের তালা ভেঙে ঘরে ঢুকে খুনের হুমকি দিয়ে ডাকাতি করে পালায় দুষ্কৃতীরা। পরপর প্রায় প্রতিদিনই এরকম ঘটনা ঘটে চলায় আতঙ্কিত ও বিক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ।
বুধবার চুরির ঘটনাটি ঘটে বসিরহাটের কবি ভুজঙ্গধর রোডে গুরুপদ মণ্ডলের বাড়িতে। সম্প্রতি ব্যবসায়ী গুরুপদবাবু পরিবার-সহ বসিরহাটের খানবাহাদুর রোডে তাঁর পুরনো বাড়িতে গিয়েছিলেন। বুধবার বিকেলে কবি ভুজঙ্গধর রোডে ফিরে আসেন তাঁর স্ত্রী। ঘরে ঢুকতে গিয়ে দেখেন গ্রিল ভাঙা, দরজা খোলা এবং জিনিসপত্র লণ্ডভণ্ড। |
গুরুপদবাবুর শ্যালক প্রদীপ মণ্ডলের দাবি, দুষ্কৃতীরা প্রায় ৮ ভরি সোনার অলঙ্কার এবং নগদ ৪০ হাজার টাকা-সহ অন্যান্য জিনিসপত্র নিয়ে পালিয়েছে। অন্যদিকে, খুলনা গ্রামে গ্রহরাজ মন্দিরের দরজার তালা ভেঙে দু’ভরি সোনা, ৬ ভরি রুপো এবং পুজোর সরঞ্জাম চুরি করে পালায় একদল দুষ্কৃতী।
ওই একই রাতে বাদুড়িয়ার আড়বালিয়ার রণজিত সরকার নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে ডাকাতি হয়। পুলিশের কাছে করা অভিযোগে রনজিতবাবুর দাবি, দুষ্কৃতীরা নগদ ১০ হাজার টাকা, ৫ ভরি সোনা, ৭ ভরি রুপোর অলঙ্কার এবং মোবাইল লুঠ করে। ঘরে ঢুকে তাঁর গলায় দা ধরে দুষ্কৃতীরা তাঁর বাড়িতে ডাকাতি করে বলে জানিয়েছেন তিনি। বুধবার সকালে ওই ঘটনাস্থলে যান বসিরহাটের এসডিপিও, সিআই এবং বাদুড়িয়ার ওসি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাদুড়িয়া পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডে বাদুড়িয়া-মাটিয়া রাস্তার পাশে বাড়ি রনজিতবাবুর। গভীর রাতে হুড়মুড়িয়ে তাঁদের বাড়িতে ঢুকে পড়ে কালো কাপড়ে মুখ ঢাকা সশস্ত্র ৫-৬ জন। রনজিতবাবুর গলায় দা ধরে আলমারির চাবি নিয়ে সর্বস্ব লুঠ করে তারা। এরপর সকলকে একটি ঘরের মধ্যে আটকে রেখে পালিয়ে যায়। সকালবেলা প্রতিবেশীরা ওই পরিবারের লোকজনকে উদ্ধার করে। সবকটি ঘটনারই তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বসিরহাটের এসডিপিও অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “তদন্ত শুরু হয়েছে। আশা করা যায় শীঘ্র অপরাধীদের ধরা সম্ভব হবে। |