সরকারি খামারে ঢোকার প্রথম ফটকেই বিপদ হাঁ করে আছে প্রায়শই দুর্ঘটনায় বিব্রত খামার কর্তৃপক্ষ কিন্তু সরকারি খামার বলে কথা একটা ইঁট এধার ওধার করতে যেখানে পাতার পর পাতা চিঠি লিখে দীর্ঘ অপেক্ষায় থাকতে হয় সেখানে আস্ত দু’টো লোহার খুঁটি তুলতে না জানি কি করতে হবে! তাই বিব্রত হওয়া ছাড়া কর্তৃপক্ষের আর কিই বা করার আছে?
কাঁপা-জাগুলি সড়কের পাশে হরিণঘাটা খামারের এক নম্বর গেট মরচে পড়া লোহার গেট বহুকাল আগাছার আড়ালে মুখ লুকিয়েছে আগাছা গেটের দু’ধার ছাড়িয়ে খোবলানো পিচ রাস্তাকেও গ্রাস করেছে খানিকটা আর তার মধ্যেই লুকিয়ে আছে বর্শার ফলার মতো লোহার খুঁটির অংশ মাটি থেকে বড় জোর দেড় ফুট খাড়া হয়ে বেশি বৃষ্টিতে জলের নীচে আর নয়তো লতা-পাতার ফাঁকে থাকা ওই খুঁটি দু’টিই মরণ ফাঁদ একবার গাড়ির চাকা পড়লে আর রক্ষে নেই চোখের পলকে চাকা ফর্দাফাঁই হয়ে যাবে আর পথ চলতি মানুষের পা পড়লে যে কি হয় তার জবাব দিয়েছেন স্থানীয় এক ওষুধ দোকানি, ‘‘ওই লোহার খুঁটি দু’টোতে এত লোকের পা কাটে যে একেকদিন একাধিক টিটেনাস ইঞ্জেকশন দিতে হয়’’ |
খামারের কর্মীরাও জানান, দিনের বেলাই মাথা উঁচিয়ে থাকা ওই লোহার খুঁটির ধারালো অংশে জখম হয়েছেন তাঁদের কেউ কেউ কিন্তু কেন এই দু’টো বিপজ্জনক খুঁটি দিনের পর দিন রাজ্যের অন্যতম বড় সরকারি খামারের ফটকে আছে?
খামারের অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর সঞ্জয় সাহা বলেন, ‘‘২৩০জন নিরাপত্তাকর্মী থেকে সংখ্যাটা কমে এখন ১৫জনে ঠেকেছে বিস্তীর্ণ এলাকা পাহারা দিতে হিমসিম খেতে হয় খামার থেকে চুরি আটকাতে ১নম্বর গেট দিয়ে যাতে বড় গাড়ি ঢুকতে না পারে তার জন্য গেটের মাঝখানটুকু ছেড়ে দু’টো লোহার খুঁটি পোঁতা হয়েছিল কিন্তু কিছুদিন পরেই সেগুলোর গোড়া কেটে চোরেরা নিয়ে যায় দুর্ঘটনাগুলো সত্যিই অবাঞ্ছিত কি ভাবে দ্রুত ওগুলো সরিয়ে অন্য ব্যবস্থা করা যায় অবিলম্বে দেখছি’’ |