টুকরো খবর
স্কুলে ঢুকে ছাত্রকে মার, ব্যবস্থা না নেওয়ায় বিক্ষোভ
স্কুলে পড়ল তালা। —নিজস্ব চিত্র।
স্কুল চলাকালীন বুধবার চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রকে স্কুলের ভিতরে ঢুকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠল অন্য এক ছাত্রের অভিভাবকের বিরুদ্ধে। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় সাহামিন গাইন নামে ওই ছাত্রকে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। মারধরের সময় বাধা না দেওয়া ও অভিযুক্ত অভিভাবকের বিরুদ্ধে থানায় নালিশ না জানানোয় ক্ষিপ্ত গ্রামবাসীরা ঘণ্টা তিনেক শিক্ষকদের তালা বন্ধ করে আটকে রাখেন। বিকেল তিনটে নাগাদ ধুবুলিয়া থানার পুলিশ অভিযুক্ত অভিভাবককে গ্রেফতারের আশ্বাস দিলে উঠে যায় বিক্ষোভ। বিদ্যালয় সূত্রের খবর, প্রথম শ্রেণির ছাত্র রোহন মোল্লার সঙ্গে চতুর্থ শ্রেণির পড়ুয়া সাহামিনের ঝামেলা হয়। অভিযোগ, এরপরই রোহনের দাদু আলার মোল্লা স্কুলে ঢুকে সাহামিনকে পেটায়। আক্রান্ত ছাত্র বমি করতেই থাকলেও কোনও শিক্ষকই মারধরে বাঁধা দেননি। জখম ওই ছাত্রের বাবা আল আমিন গাইন বলেন, “ছেলেকে মারের হাত থেকে বাঁচাতে শিক্ষকরা কোনও উদ্যোগী হন নি। এমনকী স্বাস্থ্য কেন্দ্রেও নিয়ে যাননি শিক্ষকরা।” প্রধান শিক্ষক নাসিরুদ্দিন মণ্ডলের সাফাই, “ওই সময় স্কুলের কাজে ব্যাঙ্কে গিয়েছিলাম। তাই কিছুই জানি না।” ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত পলাতক বলে জানিয়েছে পুলিশ।

মিড-ডে মিল চেয়ে বিক্ষোভ
বিক্ষোভে সামিল পড়ুয়ারাও। —নিজস্ব চিত্র।
বেশ কয়েক দিন ধরে মিড-ডে মিল বন্ধ থাকায় বুধবার সোনডাঙা ইন্দিরা পল্লীর স্টেট প্লাস প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকাদের তালাবন্ধ করে বিক্ষোভ দেখাল গ্রামবাসীরা। অভিভাবকদের অভিযোগ, ২৬ এপ্রিল ঝড়ে স্কুলের মিড ডে মিলের রান্না ঘর ভেঙে যায়। তারপর থেকে বার বার শিক্ষকদের তাগাদা দিয়েও মেরামত করা হয়নি ভাঙাচোরা ওই রান্না ঘর। ফলে প্রায় কুড়ি দিন থেকে বন্ধ রয়েছে মিড ডে মিল। এ দিন দুপুর ১২টা নাগাদ শ’খানেক গ্রামবাসী শিক্ষক-শিক্ষিকাদের তালাবন্ধ করে রাখেন। শিকেয় ওঠে পড়াশুনা। বাইরে রৌদ্রে ঠাঁই দাঁড়িয়ে থাকে পড়ুয়ারাও। স্থানীয় বাসিন্দা মনিরুল হাসান বলেন, “আমরা বারবার প্রধান শিক্ষিকাকে বলেছিলাম মিড ডে মিল চালু করার জন্য। কিন্তু তা হয়নি। বাধ্য হয়েই আমাদের আজ এই পথ বেছে নিতে হল।” তিনি আরও বলেন, “খুবই দরিদ্র পরিবারের ছাত্রছাত্রীরা এই স্কুলে পড়তে আসে। এমন অনেক ছাত্রছাত্রী আছে যাদের এই মিড ডে মিলই ভরসা। তাদের জন্যই আমাদের এই বিক্ষোভ।” এই স্কুলে পড়ুয়া সংখ্যা ১০২। তিনটে নাগাদ ধুবুলিয়া থানার পুলিশ ও বিডিও অফিসের কর্মীরা গিয়ে রান্না ঘর তৈরির করে দেওয়ার আশ্বাস দেওয়ায় উঠে যায় বিক্ষোভ। কৃষ্ণনগর-২ ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক হরিহর বালা বলেন, “অস্থায়ী রান্না ঘর নির্মাণের জন্য ওই স্কুলে একটি তার্পোলিন পাঠানো হয়েছে। আমরা দ্রুত এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করব। ”

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ
পালিয়ে গিয়ে মুম্বই-এ আত্মগোপন করে থাকার পরও সশ্রম যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এড়াতে পারল না প্রতিবেশী খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত মিরসাদ শেখ। বাড়ি ডোমকল থানার শম্ভুনগর গ্রামে। বহরমপুর জজকোর্টের অতিরিক্ত দায়রা বিচারক ও সেকেন্ড ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টের বিচারক আতাউর রহমান বুধবারের রায়ে মিরসাদের সশ্রম যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ঘোষণা করেন। ২০০৪ সালের ১৩ অক্টোবর খুন হয় শম্ভুনগরের আতিউর রহমান। সরকার পক্ষের আইনজীবী উৎপলকুমার রায় বলেন, ‘‘ওই খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত দু’ জনের মধ্যে হামিদুল শেখের সশ্রম যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয় ২০০৯ সালের ৪ মার্চ। তখন পলাতক মিরসাদ শেখ মুম্বই-এ পালিয়ে দিয়ে আত্মগোপন করেছিল। পুলিশ সেখান থেকে ২০০৯ সালের ৩১ অক্টোবর তাকে গ্রেফতার করে আদালতে হাজির করে। মিরসাদ তখন থেকে জেলবন্দি।”

স্কুল পরিদর্শক ঘেরাও
স্কুল পরিদর্শককে দীর্ঘক্ষণ তাঁর অফিসেই ঘেরাও করে রাখলেন জনা কুড়ি শিক্ষক। বুধবার দুপুরের এই ঘেরাওয়ের নেতৃত্ব দেন সিপিএমের যুব ফেডারেশনের ফতেপুর অঞ্চলের সম্পাদক সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, “আমরা বামপ্রার্থী শিক্ষক সংগঠনের সঙ্গে জড়িত বলেই বাড়ির পাশের লালগোলার পরিবর্তে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরের ডোমকল ও জলঙ্গিতে প্রশিক্ষণের জন্য পাঠানো হয়েছে। এর প্রতিবাদেই ঘেরাও করা হয় স্কুল পরিদর্শককে।” লালগোলার অবর পরিদর্শক প্রসূন বাছরা বলেন, “বিষয়টি আমার এক্তিয়ার বহির্ভূত। এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয় জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ। বিক্ষোভকারীদের সংসদ অফিসে যোগাযোগ করতে বলে হয়েছে।” জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি সাগির হোসেন বলেন, “বিক্ষোভকারীদের আশপাশের কোনও কলেজে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা যায় কিনা দেখা হচ্ছে।”

গোষ্ঠী কোন্দলে আহত সাত
মুর্শিদাবাদ থানা চত্বরে তৃণমূল সমর্থকদের দাদাগিরি নিজস্ব চিত্র।
গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে সংঘর্ষ। আর তাতেই গুরুতর জখম হলেন ৭ জন ছাত্র। তাঁদের ৩ জনকে লালবাগ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। ঘটনাটি বুধবার বিকেলে লালাবাগের সুভাষচন্দ্র সেন্টিনারি কলেজে। এ দিন বিএ দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষা চলাকালীন দু-পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয় কলেজে। দু-পক্ষ মুড়ি মুরকির মতো শুরু করে ইট-বৃষ্টি। ইটের আঘাতে কলেজের কয়েকটি জানালার কাচও ভাঙে। ভাঙচুর হয় ছাত্রপরিষদের মুর্শিদাবাদ-জিয়াগঞ্জ ব্লকের বিদায়ী সভাপতির মোটরবাইক। ছাত্রপরিষদের দখলে থাকা ওই কলেজের ছাত্র সংসদের সাধরণ সম্পাদক-সহ কয়েকজন শ্রেণি প্রতিনিধি আজ বৃহস্পতিবার তৃণমূল ছাত্রপরিষদে যোগ দিতে পারেন। তার জেরে বুধবার দুপুরে সন্ধ্যার মুখে দু’ দফায় ছাত্রপরিষদের দু’টি গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়। কলেজের অধ্যক্ষ প্রভাস সামন্ত বলেন, “নির্বাচিত কয়েকজন শ্রেণি প্রতিনিধি দলবদল করবে। তা রটতেই দু’ পক্ষে সংঘর্ষ বাধে। কলেজে পরীক্ষা চলায় পুলিশ মোতায়েন ছিল। তারাই ব্যাপারটা সামলায়।” দুপুরে কলেজের ভিতরে ও বাইরে সংঘর্ষের পর সন্ধ্যার মুখে থানার কাছাকাছি এলাকায় ফের দু’ পক্ষে আরও এক দফা সংঘর্ষ হয়।

জাল নোট উদ্ধার
দৌলতাবাদ থানার ছয়ঘরি গ্রাম থেকে ১ লক্ষ ৭৪ হাজার জাল টাকা-সহ দু’জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। মঙ্গলবার ধৃত দু’ জনের নাম মফিজুল শেখ ও মিনারুল শেখ। পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবীর বলেন, “জাল টাকা আসছে মালদহের বৈষ্ণবনগর ও কালিয়াচক থেকে।”

টাকার টোপে
এক ব্যক্তিকে নদিয়ার পলাশি থেকে উদ্ধার করল কালীগঞ্জ থানার পুলিশ। রবীন গঙ্গোপাধ্যায় নামে ওই ব্যক্তির বাড়ি খড়দহে। পুলিশ জানায়, কম সুদে টাকা পাইয়ে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে রবীন বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে মোটা টাকা নিতেন। মাস দুয়েক আগে শেখ রহমান নামে কালীগঞ্জের এক বাসিন্দার কাছ থেকে তিনি ৭৭ হাজার টাকা নেন। কিন্তু রহমান প্রতিশ্রুত অর্থ পাননি। পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার রবীন বাড়িতে ফোন করে জানান, তাঁকে কালীগঞ্জে আটকে রাখা হয়েছে। বুধবারের মধ্যে মুক্তিপণ না-দিলে খুনের হুমকি দেওয়া হয়েছে তাঁকে। পুলিশ মোবাইল টাওয়ারের সূত্র ধরে তাঁকে উদ্ধার করে। এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

বোমা উদ্ধার
বুধবার দুপুরে খড়গ্রামের মারগ্রাম এলাকা থেকে বোমা উদ্ধার করল পুলিশ। স্থানীয় বাসিন্দারা বোমাগুলি দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। এরপর পুলিশ এসে বোমাগুলি উদ্ধার করে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.