অনড় জঙ্গিপুর পুর কর্তৃপক্ষ। ফলে আজ, বৃহস্পতিবার থেকে টানা তিন দিন ওই পুর এলাকার স্কুলগুলিতে মিড-ডে মিলের উনুন জ্বলবে না।
নিয়মমাফিক, পুর এলাকার স্কুলের মিড ডে মিলের বরাদ্দ মঞ্জুর করে স্থানীয় পুরসভা। এক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। আর্থিক বছরের শুরুতেই স্কুল সংসদের ঘোষিত রুটিন অনুযায়ী কর্ম দিবসের পরিপ্রেক্ষিতে মিড ডে মিলের বরাদ্দ মঞ্জুর হয়। অর্থাৎ যে ক’দিন স্কুল হবে, সেই ক’দিনের মিড ডে মিলের টাকা বরাদ্দের কথা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। কর্ম দিবসের বাইরেও স্কুল হলে সেই দিনগুলির মিড ডে মিলের বরাদ্দও মঞ্জুর করতে বাধ্য ওই কর্তৃপক্ষ। সরকারি নিয়মে এমনটাই বলা আছে। তবে সে ক্ষেত্রে স্কুল কর্তৃপক্ষের আলাদা করে আবেদন করাই প্রথা।
জঙ্গিপুর পুর এলাকার স্কুলগুলিতেও রুটিনের বাইরে স্কুল বসায় তারাও পুরসভার কাছে ওই দিনগুলির জন্য মিড ডে মিলের বরাদ্দ দাবি করেছিল। কিন্তু পুরসভার ‘গোঁ’ বাড়তি দিনের মিড ডে মিলের খরচ তারা দেবে না।
বাড়তি অর্থ জোগানে অনিচ্ছুক কেন জঙ্গিপুর পুরসভা?
জঙ্গিপুর পুরসভার চেয়ারম্যান মোজাহারুল ইশলাম দায়সারা উত্তর, “রাজ্য সরকারের তরফে মিড ডে মিলের রাজ্য অধিকর্তা এক নির্দেশ পাঠিয়েছেন। তাতে কোন মাসে কত দিন স্কুলগুলিতে মিড ডে মিল খাওয়ানো যাবে তার একটি তালিকা রয়েছে। সেই মতো মে মাসে ১২ দিনের বেশি মিড ডে মিল রান্না করা যাবে না স্কুলগুলিতে।”
কিন্তু অন্য পুরসভার স্কুলগুলিতে তো মিড ডে মিল বন্ধ নেই? বিরক্ত হয়ে তাঁর উত্তর, “কোন্ পুরসভা কী করছে তা বলতে পারব না। সরকারি এই বাড়তি অর্থ পাওয়ার কোনও নিশ্চয়তা নেই। আর আমার পুরসভার ফান্ডে ওই পরিমাণ টাকা জোগানোর ক্ষমতাও নেই।”
তৃণমূলের শিক্ষা সেলের চেয়ারম্যান শেখ ফুরকান বলেন, “জঙ্গিপুর পুরসভার স্কুলগুলিতে এ ভাবে মিড ডে মিল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত অমানবিক। আমরা এ ব্যাপারে তাদের সঙ্গে কথা বলব। টাকা লাগলে পুরসভা চেয়ে পাঠাবে।”
রাজ্যের মিড ডে মিলের প্রকল্প অধিকর্তা এন এন বর্মন জানান, “১ এপ্রিল যে নির্দেশ পাঠানো হয়েছে তাতে বলা হয়েছে অর্থ নিয়ে কোনও সমস্যা নেই। পাঠানো ক্যালেন্ডারের বাইরে বাড়তি দিন স্কুল খোলা থাকলে সে দিনও মিড ডে মিল দিতে হবে ছাত্রদের। এর জন্য কোথাও বাড়তি অর্থ লাগলে চেয়ে পাঠালেই তা দিয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু কার্যদিবসে মিড ডে মিল বন্ধ রাখা যাবে না।” |