|
|
|
|
হলদিয়ায় বিক্ষোভ মিছিল তৃণমূলের
নিজস্ব সংবাদদাতা • হলদিয়া |
দ্রুত অনাস্থা বৈঠক ডাকা ও শহরের তীব্র জলসঙ্কট মেটানোর দাবিতে বুধবার বাম পরিচালিত হলদিয়া পুরভবনে মিছিল করলেন তৃণমূল কাউন্সিলররা।
গত ২ মে পুরপ্রধানের প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করে বৈঠক ডাকার আবেদন জানিয়েছিলেন বিরোধী ১১ জন তৃণমূল কাউন্সিলর। ১৫ দিনের মধ্যে সেই বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। যদিও নির্দিষ্ট আলোচ্যসূচি না থাকায় অনাস্থা বৈঠক ডাকা সম্ভব নয় বলে তৃণমূল কাউন্সিলরদের জানিয়ে দেন বাম পুরপ্রধান তমালিকা পণ্ডা শেঠ। অসুস্থতার জন্য বেশ কয়েকদিন পুরভবনে না এলেও এ দিন পুরসভায় হাজির ছিলেন তমালিকাদেবী। ছিলেন উপ-পুরপ্রধান নারায়ণ প্রামাণিকও। দিনের শেষ লগ্নে এসে হঠাৎই পুরপ্রধান ও উপ-পুরপ্রধানের ঘরের সামনে দিয়ে মিছিল করে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল কাউন্সিলররা। তাঁদের অভিযোগ, গরমে পানীয় জলের তুমুল সঙ্কট প্রতিটি ওয়ার্ডে। অথচ পুরসভার দু’টি মেরামতি দলের মোট ১০ জন কর্মীর কেউই টিউবওয়েল মেরামতে যান না। জলসঙ্কট মোকাবিলায় পুর-কর্তৃপক্ষ উদাসীন। তাই মানুষের আস্থা হারানো এই পুরসভায় অনাস্থা বৈঠক অবিলম্বে ডাকতে হবে বলে তৃণমূল কাউন্সিলররা স্লোগান তোলেন মিছিলে। বিরোধী দলনেতা দেবপ্রসাদ মণ্ডল বলেন, “মানুষ পুর-পরিষেবা না পাওয়ায় অনাস্থা আনা হয়েছে। কিন্তু সময় পেরোতে চললেও আইনের কচকচানি দেখিয়ে অনাস্থা বৈঠক এড়াতে চাইছেন পুরপ্রধান। আমরাও আইনজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ করেই আন্দোলন চালাব।”
বিরোধীদের অভিযোগের জবাবে উপ-পুরপ্রধান নারায়ণ প্রামাণিক বলেন, “এই তিন মাস গরমে সব এলাকাতেই একটু জলের সমস্যা হয়। যাঁরা কাজ করছিলেন না, তাঁদের বলা হয়েছে প্রতি দিন চারটি করে টিউবওয়েল সারাতে।” আর পুরপ্রধান তমালিকাদেবীর বক্তব্য, “দেবপ্রসাদবাবু স্ট্যান্ডিং কমিটির সহ-সভাপতি। তাই কর্মীরা কেন কাজ করছে না, তার দায়িত্ব ওঁর ওপরও বর্তায়। আইন মেনে অনাস্থা প্রস্তাব আনলে বৈঠক ডাকা হবে।” |
|
|
|
|
|