উচ্ছ্বসিত চিডির লক্ষ্য এ বার কলকাতা ডার্বি
তানিয়া রায় • কলকাতা |
বিদেশি দলের বিরুদ্ধে এডে চিডির হ্যাটট্রিকটা মনে করিয়ে দিল ২০ বছর আগের কার্লটন চ্যাপম্যানকে!
১৯৯৩ সালে এশিয়ান কাপ উইনারস কাপের প্রথম ম্যাচে ইরাকের আল জাওরার বিরুদ্ধে হ্যাটট্রিক করেছিলেন কর্নাটকের চ্যাপম্যান। সে ম্যাচটি ৬-২ গোলে জিতেছিল ইস্টবেঙ্গল। আর বুধবার এএফসি কাপের প্রি-কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচে ইয়াঙ্গনের বিরুদ্ধে হ্যাটট্রিক করলেন লাল-হলুদের নাইজিরিয়ান স্ট্রাইকার চিডি।
আন্তর্জাতিক কোনও ম্যাচে এই প্রথম হ্যাটট্রিক করলেন লাল-হলুদ গোলমেশিন। চোখে-মুখে আনন্দের আভা যেন ঠিকরে পড়ছিল। ড্রেসিংরুম থেকে গাড়ির দিকে হেঁটে যেতে যেতে বলছিলেন, “এখনও একটা ঘোরের মধ্যে রয়েছি। একে কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছেছি। তার উপর এই হ্যাটট্রিক। আমার খেলোয়াড় জীবনের সেরা প্রাপ্তি। এই সাফল্য আমি মর্গ্যানকে উৎসর্গ করলাম।” |
|
আজ রাতে কি পুরো পার্টির মেজাজে পাওয়া যাবে চিডিকে? প্রশ্ন শুনেই হেসে উঠলেন। বললেন, “পার্টি আমি একদমই পছন্দ করি না। আজকের জয়টা আমি একাই উপভোগ করতে চাই। শুধু আমার স্ত্রীকে ফোন করে এই ম্যাচের প্রতিটা মুহূর্ত ভাগ করে নেব ওর সঙ্গে।”
একা চিডি নন, মেহতাব, পেন, ওপারাদের ঘিরেও উচ্ছ্বাসের জোয়ারে এ দিন ভাসছিল গোটা যুবভারতী। লাল-হলুদ সমর্থকরা যেন আই লিগ না পাওয়ার দুঃখটা ভুলতে চাইছিলেন এএফসি কাপের সাফল্যকে আঁকড়ে। সমর্থকদের উচ্ছ্বাসের বাড়াবাড়িতে জরিমানা হতে চলেছে ইস্টবেঙ্গলের। প্রথমার্ধে চিডির গোলের পর পটকা ফাটিয়ে বসেন সমর্থকরা। যার খেসারত হিসেবে পাঁচ হাজার ডলার দিতে হবে ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্বে থাকা ইস্টবেঙ্গলকে। কারণ এএফসিতে পটকা ফাটানো নিষিদ্ধ। |
জিতেও নির্লিপ্ত। ম্যাচ শেষে ইস্টবেঙ্গল কোচ। —নিজস্ব চিত্র |
মেহতাব, পেনও এ দিন দুরন্ত ছন্দে ছিলেন। তবে বুধবারের যুবভারতী যেন চিডিতেই আচ্ছন্ন ছিল। পেন তো বলেই দিলেন, “চিডির সাফল্য সবকিছুকে ছাপিয়ে গেছে।”
আনন্দে র দিনেও কিন্তু চিডিকে আফসোস করতে দেখা গেল বহুবার। “আই লিগটা জিততে পারলাম না। জিতলে হয়তো মর্গ্যানকে সেরা উপহার দেওয়া হত।” বলছিলেন লাল-হলুদের নাইজিরিয়ান স্ট্রাইকার। তবে কি মর্গ্যান আপনাদের জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি থাকছেন না? ম্লান হেসে প্রশ্নটাই এড়িয়ে গেলেন। শুধু বললেন, “আমার দেখা অন্যতম সেরা কোচ মর্গ্যান।” যুবভারতী ছাড়ার আগে সাহেব কোচও বলে গেলেন, “ভারতের অন্যতম সেরা বিদেশি স্ট্রাইকার চিডি।” |
|