|
|
|
|
সদর ব্লক |
কারচুপিতে অভিযুক্ত রেশন ডিলার
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
একই ব্যক্তির নাম একাধিক প্রকল্পে রাখা, বয়সে ছোটদের প্রাপ্তবয়স্ক দেখানো ইত্যাদি নানা উপায়ে কারচুপির অভিযোগ উঠল এক রেশন ডিলারের বিরুদ্ধে। মেদিনীপুর সদর ব্লকের ওই রেশন ডিলার পথিক মল্লিক গ্রাহকদের নির্দিষ্ট পরিমাণের থেকে কম খাদ্যশস্য দেন বলেও অভিযোগ।
ইতিমধ্যে অভিযোগ পৌঁছেছে খাদ্য দফতরেও। কিন্তু তারপরেও নাকি কাজ হয়নি। অভিযোগকারী ওয়ালি মণ্ডলের বক্তব্য, “এ ভাবে একজন রেশন ডিলার অর্থ আত্মসাৎ করছেন, আর সাধারণ মানুষ তাঁদের বরাদ্দ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। নথি-সহ অভিযোগ জানিয়েও সুফল মেলেনি।” পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা খাদ্য নিয়ামক পার্থপ্রতিম রায়ের অবশ্য দাবি, “অভিযোগ আসার পরেই তদন্ত শুরু হয়েছে।” তদন্ত রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত এ নিয়ে আর কিছু বলতে রাজি হননি তিনি। আর যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, সেই হাতিহলকা গ্রামের রেশন ডিলার পথিক মল্লিক ‘‘মিটিংয়ে আছি’’ বলে বিষয়টি
এড়িয়ে গিয়েছেন।
এই ডিলারের বিরুদ্ধে রীতিমতো খতিয়ান দিয়ে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। সেই খতিয়ান অনুযায়ী, এই ডিলারের প্রকৃত গ্রাহক ৩৫৩৭ জন। এর মধ্যে ২৫২৭ জন প্রাপ্তবয়স্ক ও ১০১০ জন অপ্রাপ্তবয়স্ক। অথচ ডিলারের রেজিস্ট্রার খাতা অনুযায়ী গ্রাহক ৩৯৫০ জন। অভিযোগ, একজন গ্রাহকের নাম একাধিক প্রকল্পে দেখিয়ে সংখ্যাটা বাড়িয়েছেন পথিকবাবু। যেমন, মাওবাদী এলাকার জন্য বিশেষ প্রকল্পের তালিকায় ২৯২৯ নম্বরে নাম রয়েছে ওয়ালি মণ্ডলের। ২৯৩০ নম্বরে রয়েছে তাঁর স্ত্রী সাহারা মণ্ডলের নাম। আবার বিপিএল তালিকাতেও এই দম্পতির নাম রয়েছে। একই ভাবে মুক্তারুল গুড়ার নাম রয়েছে মাওবাদী এলাকার বিশেষ প্রকল্পে ও বিপিএল তালিকায়। এ ভাবেই প্রতি সপ্তাহে বহু কুইন্টাল অতিরিক্ত খাদ্যশস্য তুলে নিচ্ছেন ওই ডিলার।
এখন প্রশ্ন উঠছে, খাদ্য ও সরবরাহ দফতর কেন রেজিস্ট্রার খাতা ভাল করে খুঁটিয়ে দেখেনি। গত ২২ এপ্রিল এই সংক্রান্ত অভিযোগ জানানোর পর ২৫ দিন পেরিয়ে গিয়েছে। তারপরেও কেন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, সেই প্রশ্ন উঠছে। খাদ্য ও সরবরাহ দফতর অবশ্য জানিয়েছে, নিয়ম মেনেই তদন্ত হচ্ছে। |
|
|
|
|
|