|
|
|
|
শুরু হয়েছে সংস্কারের কাজ |
‘এই মাঠে আই লিগের ম্যাচ দেব’
অরবিন্দ স্টেডিয়ামে ঘোষণা মদনের
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
শহরের অরবিন্দ স্টেডিয়াম ঘুরে দেখলেন ক্রীড়ামন্ত্রী মদন মিত্র। তরুণ খেলোয়াড় এবং কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলার পর তাঁর মন্তব্য, “মাঠটা বেশ ভাল। শুধু ড্রেসিং দরকার। স্টেডিয়ামের পরিকাঠামো উন্নয়নে ৫০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়েছে। দ্রুত কাজ শেষ হোক। তারপর এই মাঠে আই লিগের ম্যাচ দেব। মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গলের মতো দল আসবে। ক্রিকেট ম্যাচও হবে।”
খড়্গপুরে পরিবহণ দফতরের অফিস উদ্বোধন ছিল বুধবার। সেই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে মঙ্গলবার রাতেই মেদিনীপুরে পৌঁছন মন্ত্রী। ছিলেন সার্কিট হাউসে। এ দিন সকালে সেখানে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার অ্যাডহক কমিটির সদস্য আশিস চক্রবর্তী। আশিসবাবু অনুরোধ করেন, “খড়্গপুরে যাওয়ার পথে একবার যদি স্টেডিয়ামে যান। ওখানে খেলা চলছে। গেলে ভাল লাগবে।” অনুরোধ ফেরাননি মদনবাবু। সার্কিট হাউস থেকে বেরিয়ে সোজা স্টেডিয়ামেই পৌঁছন। আসার আগে ফোন করেন সিএবি কর্তা বিশ্বরুপ দে’কে। |
অন্য ময়দানে। বুধবার শহরে এসে অরবিন্দ স্টেডিয়াম ঘুরে দেখার সঙ্গেই ক্রিকেট
খেলতে মাঠে নেমে পড়লেন ক্রীড়ামন্ত্রী মদন মিত্র। ছবিটি তুলেছেন সৌমেশ্বর মণ্ডল। |
স্টেডিয়ামের চারপাশ ঘুরে দেখেন মন্ত্রী। এখন এখানে আন্তঃজেলা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট লিগ চলছে। বুধবার যখন মাঠে পৌঁছন ক্রীড়ামন্ত্রী, তখনও খেলা চলছে। শহরের এই স্টেডিয়ামে আগে জাতীয় স্তরের সাব- জুনিয়র ফুটবল টুর্নামেন্ট হয়েছে। মাঠটি প্রায় ৮ হাজার ৮০০ বর্গমিটারের। সাধারণত, ৯ হাজার ৬০০ বর্গমিটারের মাঠে যে কোনও স্তরের ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজন করা সম্ভব। মাঠের চারপাশ ঘুরে দেখার সময় ক্রীড়ামন্ত্রীও বলছিলেন, “গোলপোস্টের পিছনে বেশি জায়গা নেই। স্টেডিয়াম সংস্কারের সময় এ ক্ষেত্রে কিছু করা যায় কি না, দেখা দরকার। এখন তো গোলকিপারের পিছনে ১৩ মিটার জায়গা রাখতে হয়।” পাশ থেকে জেলা ক্রীড়া সংস্থার অ্যাডহক কমিটির আরেক সদস্য বিদ্যুৎ বসুর আশ্বাস, “বিষয়টি আমরাও দেখছি। যদি কিছু করা যায়।” আগামী ৬ মাসের মধ্যে যাতে স্টেডিয়াম সংস্কারের কাজ শেষ হয়, সেই দিকে নজর রাখারও নির্দেশ দিয়েছেন ক্রীড়ামন্ত্রী।
মেদিনীপুর শহরের একমাত্র স্টেডিয়াম এটি। তবে সংস্কারের অভাবে গ্যালারির অবস্থা ভাল নয়। বিভিন্ন জায়গায় ফেন্সিং ভেঙে পড়েছে। খেলোয়াড়দের পোশাক পরিবর্তনের জন্য আলাদা ঘর, ভিআইপি লাউঞ্জ, চিকিৎসকের বসার ঘর-সহ অন্য প্রয়োজনও রয়েছে। গত জানুয়ারিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শহরে এসে স্টেডিয়াম সংস্কারে ৫০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেন। বরাদ্দ অর্থে কী কী কাজ হবে, তার খসড়া প্রকল্পও তৈরি করেছে পূর্ত দফতর। কাজ করবে মেদিনীপুর-খড়্গপুর উন্নয়ন পর্ষদ (এমকেডিএ)। এ দিন মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন পর্ষদের চেয়ারম্যান তথা বিধায়ক মৃগেন মাইতি।
মাঠের চারপাশ ঘুরে দেখার সময় মন্ত্রী বলছিলেন, “বাংলায় প্রতিভা রয়েছে। শুধু তুলে আনতে হবে।” খড়্গপুরেও একটি স্টেডিয়াম তৈরির আশ্বাস দিয়েছেন ক্রীড়ামন্ত্রী। |
|
|
|
|
|