খড়্গপুরে নতুন আরটিও অফিস
দু’টি অত্যাধুনিক বাসস্ট্যান্ড,নতুন বাসেরও আশ্বাস মন্ত্রীর
সেছিলেন খড়্গপুরে পরিবহণ দফতরের অফিস উদ্বোধন করতে। সঙ্গে একগুচ্ছ প্রতিশ্রুতিও দিয়ে গেলেন পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্র। জানালেন, ঝাড়গ্রামের লোধাশুলি, মেদিনীপুরের ধর্মায় অত্যাধুনিক বাসস্ট্যান্ড তৈরি হবে। বেলপাহাড়ি থেকে ধর্মতলা রুটে আরও একটি বাস চলবে। বিকেল ৪টেয় ধর্মতলা থেকে ছাড়বে বাস। রাত ৮টা নাগাদ তা বেলপাহাড়িতে পৌঁছবে।
মহকুমাস্তরে পরিবহণের অফিস খুলতে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য সরকার। বুধবার খড়্গপুর মহকুমায় সেই অফিসের উদ্বোধনে রেলশহরে এসেছিলেন মন্ত্রী। মহকুমাশাসকের কার্যালয় চত্বরে একটি ঘরে অফিসের পরিকাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে। আগে গোটা জেলায় একটিই অফিস ছিল, মেদিনীপুরে। এই অফিস থেকেই নতুন গাড়ির রেজিস্ট্রেশন থেকে শুরু করে মালিকানা বদল, লাইসেন্স দেওয়া, কোন রুটে কোন সময়ে কোন বাস চলবে তা নির্ধারণ করা, গাড়ির কাগজপত্র ঠিক রয়েছে কিনা খতিয়ে দেখা, যাবতীয় কাজ হত।

খড়্গপুরে উদ্বোধনে মন্ত্রী। —নিজস্ব চিত্র
মেদিনীপুরের অফিসের চাপ কমাতে গত মাসে ঝাড়গ্রামে পরিবহণ দফতরের অফিস খোলা হয়। এ দিন মন্ত্রী আশ্বাস দেন, এ বার ঘাটালে পরিবহণ দফতরের অফিস খোলা হবে। তাঁর কথায়, “আগের সরকার ক্ষমতার চূড়ান্ত কেন্দ্রীকরণ চেয়েছিল। আমাদের সরকার ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ চায়। যত দ্রুত গতিতে সম্ভব ঘাটালেও পরিবহণ দফতরের অফিস খুলে দেব।” তবে দফতরে কর্মী সঙ্কট রয়েছে বলে মানছেন পরিবহণমন্ত্রী। মন্ত্রীর বক্তব্য, “সত্যিই কর্মীর খুব অভাব। দফতরের অধীনে ২২ হাজার লোক রয়েছে। ৭০০ কোটি টাকা ভর্তুকি দিতে হয়। কর্পোরেশনগুলো ধুঁকছে। রাতারাতি লোক নেওয়া মুশকিল। তবে কর্মী নিয়োগের চেষ্টা হচ্ছে।”
পরিবহণমন্ত্রী ছাড়াও এ দিন অনুষ্ঠানে ছিলেন জেলাশাসক সুরেন্দ্র গুপ্ত, খড়্গপুরের মহকুমাশাসক আর বিমলা, বিধায়ক তথা এমকেডিএ-র চেয়ারম্যান মৃগেন মাইতি প্রমুখ। জেলাশাসক বলেন, “এর ফলে খড়্গপুর মহকুমার ২০ লক্ষ মানুষ উপকৃত হবেন।” আর মৃগেনবাবুর বক্তব্য, “এত দিন নতুন গাড়ির রেজিস্ট্রেশন বা লাইসেন্সেন জন্য করতে মেদিনীপুরে যেতে হত। এ বার খড়্গপুরেই এই পরিষেবা মিলবে।” অনুষ্ঠানে উপস্থিত পরিবহণ দফতরের সদস্য প্রদ্যোৎ ঘোষ বলেন, “আগের সরকার মানুষের সমস্যার কথা ভাবার সময়ই পায়নি! মা-মাটি-মানুষের সরকার মানুষের দরজায় পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করছে।”
আগের থেকে এই জেলায় রেভিনিউ কালেকশন বাড়ছে বলেও জানান মন্ত্রী। দফতর সূত্রে খবর, ২০১০-১১ সালে ৫৩ কোটি ৫৫ লক্ষ ৮১ হাজার ৪৫ টাকা রেভিনিউ কালেকশন হয়েছিল। ২০১১-’১২ সালে ৫৮ কোটি ৫৬ লক্ষ ৮৫ হাজার ৩৭৯ টাকা রেভিনিউ কালেকশন হয়। আর ২০১২-’১৩ সালে রেভিনিউ কালেকশন হয়েছে ৬৫ কোটি ৭৮ লক্ষ ৬৩ হাজার ২৯২ টাকা। পরিবহণমন্ত্রীর বক্তব্য, “গাড়ির পারমিটের জন্য গ্রামের মানুষকে আর রাইটার্সে যেতে হবে না। আধিকারিকদের দরজায় দরজায় ঘুরতে হবে না। ন্যাশনাল পারমিটও জেলা থেকে দেওয়া হবে।”
এ দিকে, এই অনুষ্ঠান নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে কংগ্রেস। তাদের বক্তব্য, অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণই পৌঁছয়নি প্রবীণ বিধায়ক জ্ঞানসিংহ সোহন পালের কাছে। দলের শহর সভাপতি অমল দাসের কথায়, “আমরা ধিক্কার জানাচ্ছি। সরকারি অনুষ্ঠান। অথচ, এলাকার বিধায়কই আমন্ত্রণ পেলেন না। মানুষ বিচার করবেন।”


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.