জেলায় রবি-প্রণাম
নিজস্ব প্রতিবেদন |
উৎসাহের সঙ্গে জেলায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে রবীন্দ্র জয়ন্তী। বালি সাধারণ গ্রন্থাগারে পঁচিশে বৈশাখ পাঠ করা হয় ‘রক্তকরবী’। ছিল গান ও কবিতা। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন প্রদীপ্ত মুখোপাধ্যায়। স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন শিক্ষক সমীরকুমার ঘোষ। হুগলির শ্রীরামপুরের মল্লিকপাড়ায় স্থানীয় সম্মিলিত রবীন্দ্রজন্মোৎসব কমিটির পক্ষ থেকে পঁচিশে বৈশাখ বের করা হয় প্রভাতফেরি। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মজয়ন্তী পালন করে শ্রীরামপুর মল্লিকপাড়ার সম্মিলিত রবীন্দ্রজন্মোৎসব কমিটিও। ওই দিন বর্ণাঢ্য এক প্রভাত ফেরি এলাকার বিভিন্ন রাস্তা পরিক্রম করে। বিভিন্ন জায়গায় নাচ, গান, আবৃত্তি পরিবেশিত হয়। সন্ধ্যায় অনুষ্ঠান হয় তারাপুকুর জনকল্যাণ সমিতির ব্যবস্থাপনায়। হাওড়ার উদয়নারায়ণপুরে পেঁড়ো সংগঠনী সঙ্ঘের উদ্যোগে রবীন্দ্র জয়ন্তীর অনুষ্ঠান হয় শনিবার। ছিল গীতি আলেখ্য, নাচ, গান, নাটক। উদয়নারায়ণপুরেরই সোনাতলা রাজীব গাঁধী পিটিটিআই কলেজের উদ্যোগে কবি প্রণাম অনুষ্ঠানটিও হয় শনিবার। স্থানীয় ভবানীপুর বিবেকানন্দ শিক্ষানিকেতনের পক্ষ থেকে বিশ্বকবিকে শ্রদ্ধা জানানো হয় রবিবার। অনুষ্ঠান হয় ভবানীপুর ঊষানিকেতনে। পরিবেশিত হয় ‘বিসর্জন’ নাটক। ডোমজুড়ের মৌড়িগ্রামের স্থানীয় মজুমদার পাড়ায় রবিচক্র সঙ্গীতায়নের উদ্যোগে কবিপ্রণাম অনুষ্ঠিত সঙ্গীত বিদ্যালয় ভবনে। যোগ দিয়েছিল সঙ্গীত বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা। উপস্থিত ছিলেন রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী সুজিত বন্দ্যোপাধ্যায়।
|
ক্ষতিপূরণ দিল বিদ্যুৎ দফতর
নিজস্ব সংবাদদাতা • গোঘাট |
এক বছর আগে একটি ট্রান্সফর্মার ফেটে যাওয়ায় তার তেল পড়ে গোঘাট-১ ব্লকের গোঘাট মৌজার ৪০ জন চাষির জমির ফসল নষ্ট হয়েছিল। বুধবার গোঘাট পঞ্চায়েত অফিস থেকে সেই ক্ষতিগ্রস্তদের হাতে ক্ষতিপূরণের টাকা তুলে দিলেন বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার ভিকদাস সাব-স্টেশনের আধিকারিকেরা। মোট ২ লক্ষ ৭৯ হাজার ৬৯৩ টাকা ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হয়েছে তাঁরা জানান। ওই সাব-স্টেশনের এরিয়া ম্যানেজার অভিজিৎ মাকুড় বলেন, “সরকার নির্ধারিত হারেই চাষিদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।” গত বছরের এপ্রিল মাসে গোঘাট মৌজায় ভিকদাস সাব-স্টেশনের একটি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন ট্রান্সফর্মার ফেটে যায়। তা থেকে নির্গত তেল নালা দিয়ে বয়ে পাশের জমিগুলিতে পড়ে। নষ্ট হয়ে যায় আমন ধানের বীজতলা। জমি সংস্কারের অভাবে ওই এলাকায় গত বছর আমন চাষ সম্ভব হয়নি। চাষিরা প্রশাসনের নানা স্তরে ক্ষতিপূরণের আবেদন জানান। তাঁরা আন্দোলনেও নামেন। বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, তেল পড়ে মোট ক্ষতিগ্রস্ত জমির পরিমাণ ছিল ১১৫১ শতক। সরকারি হিসেবে শতকপিছু আমন ধানের গড় ফলন প্রায় ২২ কেজি। সেই হিসেবেই কেজিপিছু সরকারি সহায়ক মূল্য অনুযায়ী সাড়ে ১১ টাকা হারে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে।
|
বালিকাকে ধর্ষণের নালিশ, ধৃত
নিজস্ব সংবাদদাতা • গোঘাট |
শীতলা পুজো দেখতে যাওয়া আট বছরের এক বালিকাকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে তার এক সম্পর্কিত জামাইবাবুকে গ্রেফতার করল পুলিশ। মঙ্গলবার গভীর রাতে গোঘাটের খাটোগ্রামের একটি পুকুর পাড় থেকে ওই বালিকাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে আরামবাগ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তার বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে বুধবার সকালে গ্রেফতার করা হয় অরূপ দাস নামে বালিকার সম্পর্কিত জামাইবাবুকে। ধৃতের বাড়ি স্থানীয় কোটাই গ্রামে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, খাটোগ্রামে মঙ্গলবার রাতে ওই পুজো দেখতে বহু মানুষ জড়ো হয়েছিলেন। তাদের মধ্যে ওই বালিকাও ছিল। রাত দেড়টা নাগাদ পরিবারের লোকজন বাড়ি ফিরে দেখেন মেয়েটি ফেরেনি। তার পরে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। পুকুর পাড় থেকে অচৈতন্য অবস্থায় বালিকাকে উদ্ধার করা হয়। সে পরে পরিবারের লোকজনকে ঘটনার কথা জানায়।
|
নিজস্ব ভবনে ভদ্রেশ্বরের দমকল বিভাগ
নিজস্ব সংবাদদাতা • ভদ্রেশ্বর |
ভদ্রেশ্বর দমকল কেন্দ্রের নতুন ভবনের উদ্বোধন হল। বুধবার ভদ্রেশ্বরের তেলেনিপাড়ার কাছে পাইকপাড়ায় জিটি রোডের ধারে দ্বিতল ভবনটির দ্বারোদঘাটন করেন দমকলমন্ত্রী জাভেদ খান। দমকল সূত্রের খবর, ১৯৫১ সালে ভদ্রেশ্বরে দমকল কেন্দ্র স্থাপিত হয়। সেই সময় থেকেই ভাড়া বাড়িতে কেন্দ্রটি চলে আসছিল। সেই বাড়িটিই কিনে নিয়ে সংস্কার করা হল। এ জন্য ব্যয় করা হয়েছে ১ কোটি টাকা। |
অনুষ্ঠানে মন্ত্রীরা। —নিজস্ব চিত্র। |
মঙ্গলবার বিকেলে দ্বারোদঘাটন অনুষ্ঠানে জাভেদ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের আরও তিন মন্ত্রী বেচারাম মান্না, রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য, রচপাল সিংহ। জাভেদ বলেন, “বাম আমলের তুলনায় গত দু’বছরে দফতরে পরিকাঠামোগত অনেক উন্নতি হয়েছে। দমকলকর্মীদের মানসিকতারও পরিবর্তন হয়েছে।” দমকলমন্ত্রীর দাবি, গত দু’বছরে এই বিভাগে ৪০ হাজার যুবক চাকরি পেয়েছেন। ২০১৩-১৪ অর্থবর্ষে পরিকাঠামো খাতে ১৫০ কোটি টাকা খরচ হবে বলে তিনি দাবি করেন।
|
হুগলিতে স্কুল ফুটবল
নিজস্ব সংবাদদাতা • বৈদ্যবাটি |
হুগলি জেলায় আইএফএ পরিচালিত স্কুলভিত্তিক কোকাকোলা কাপের ফাইনালে উঠল মশাট এএম উচ্চ বিদ্যালয় এবং সিঙ্গুর মহামায়া উচ্চ বিদ্যালয়। আয়োজকরা জানিয়েছেন, ৩২টি দলকে নিয়ে ওই প্রতিযোগিতা শুরু হয় দু’টি জোন ভাগ করে। একটি জোনে খেলা হয় মশাট উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে। এই জোন থেকে ফাইনালে উঠেছে মশাট এমএ স্কুল। বুধবার সেমিফাইনালে তারা টাইব্রেকারে বাক্সা উচ্চ বিদ্যালয়কে হারায়। নির্ধারিত সময়ে খেলার ফলাফল ছিল গোলশূন্য। টাইব্রেকারে মশাট ৩-২ গোলে জেতে। অন্য জোনের খেলাগুলি হয় বৈদ্যবাটি বিএসপার্ক মাঠে। ফাইনালে ওঠে সিঙ্গুর মহামায়া উচ্চ বিদ্যালয়। সেমিফাইনালে তারা টাইব্রেকারে জয়ী হয় বৈদ্যবাটি বিদ্যানিকেতনের বিরুদ্ধে। আজ, বৃহস্পতিবার বিকেলে বিএস পার্ক মাঠে ফাইনাল।
|
বৈঠক ভন্ডুল
নিজস্ব সংবাদদাতা • সিঙ্গুর |
হাইটেনশন লাইন বসানো নিয়ে আপত্তি ছিল গ্রামবাসীদের। তা নিয়ে সিঙ্গুরের বিডিও অফিসে বৈঠক ডাকা হয়। বিডিও বিষ্ণু কবিরাজের বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ ব্যবহারের অভিযোগ তুলে বৈঠকের মাঝপথে বেরিয়ে আসেন গ্রামের মানুষ। বিডিও পরে বলেন, “এ ব্যাপারে আমাদের সরাসরি কোনও ভূমিকা নেই। এটা বিদ্যুৎ দফতরের ব্যাপার। তা সত্ত্বেও গ্রামবাসীদের সঙ্গে বৈঠকে বসা হয়েছিল। কিন্তু অনাহূত কিছু লোককে এনে গোলমাল করার চেষ্টা হওয়ায় সরকারি আধিকারিক হিসেবেই তা প্রতিরোধ করি।” |