তৈরি হয়ে গিয়েছিল ২০০৯ সালে। কিন্তু তারপর ব্যবহার হয়নি একবারও।
দীর্ঘদিন ধরে শ্যামপুরের বেলপুকুর বাজারে ভাড়াবাড়িতে চলছে পঞ্চায়েতের প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন দফতরের অফিস। শ্যামপুর-২ ব্লকের শশাটি পঞ্চায়েত সমিতি চত্বরে ২০০৯ সালে তৈরি হয়েছিল নিজস্ব ভবন। কিন্তু তারপর চার বছর কেটে গেলেও নতুন সুসজ্জিত ভবনটি তৈরি হয়ে পড়ে আছে। নিজস্ব ভবন তৈরি হওয়ার পরও ভাড়াবাড়িতে সরকারি কোষাগারের টাকায় ভাড়া গুনে চলেছে প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন দফতর। এ দিকে পুরনো ভবনে নানা অসুবিধার সম্মুখীনও হতে হচ্ছে ওই দফতরটিকে। এই অঞ্চলে বিভিন্ন অফিস ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকায় অভাব হচ্ছে সমন্বয়ের কাজও। |
উদ্বোধনের অপেক্ষায়। ছবি: সুব্রত জানা। |
কিন্তু নিজস্ব ভবন বানিয়েও সেই ভবন কেন ব্যবহার করতে পারল না দফতর?
এ বিষয়ে পঞ্চায়েতের প্রাণিসম্পদ কর্মাধ্যক্ষ দীপঙ্কর বীররায় বলেন, “ওই ভবন তৈরির চুক্তি পিডব্লুডি পেয়েছিল। সম্ভবত বাড়ি বানানোর পর ওদের কাছে আর টাকা ছিল না। তাই জলের ও ইলেকট্রিকের লাইন দিতে পারেনি। বর্তমানে প্রাণিসম্পদ দফতরের উপ-অধিকর্তার (ডেপুটি) মাধ্যমে মাধ্যমে পুনরায় টাকা অনুমোদন হয়েছে। খুব শীঘ্রই বাকি কাজ সম্পূর্ণ হয়ে যাবে।”
এ বিষয়ে পঞ্চায়েতের সহ-সভাপতি জুলফিকার আলি মোল্লা বলেন, “এ বিষয়ে পঞ্চায়েতের কিছু করার নেই, এটা সম্পূর্ণই প্রাণিসম্পদ এবং পিডব্লুডির বিষয়। ২০০৩ সালে ওই ভবনটি তৈরির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে আমরা ওই দফতরকে জানিয়েছি, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বাড়িটি সম্পূর্ণ করিয়ে এখানে চলে আসতে হবে। সামনে পঞ্চায়েত ভোট, না হলে কাজকর্মে অসুবিধা হবে। আশা করছি, ওরা শীঘ্রই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।” নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পিডব্লুডির এক আধিকারিক বলেন, “অর্থের সমস্যায় কাজ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। জলের লাইন ও ইলেকট্রিকের কাজ সম্পূর্ণ করে খুব শীঘ্রই বাড়িটি প্রাণিসম্পদ দফতরের হাতে তুলে দেওয়া হবে।” |