কী ভাবে, কোথায় এবং কখন এসএফআই নেতা সুদীপ্ত গুপ্তের মৃত্যু হয়েছে, রাজ্য সরকারকে হলফনামা জমা দিয়ে তা জানাতে বলল কলকাতা হাইকোর্ট। ময়না-তদন্ত ও সুরতহাল রিপোর্ট এবং কেস ডায়েরিও জমা দিতে বলেছেন বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত। ২ এপ্রিল আইন-অমান্য আন্দোলনে সুদীপ্ত-সহ বেশ কিছু এসএফআই-সমর্থক গ্রেফতার হন। ধৃতদের বাসে নিয়ে যাওয়ার সময় প্রেসিডেন্সি জেলের কাছে সুদীপ্তের মৃত্যু হয়। পুলিশ সুদীপ্তকে পিটিয়ে মেরেছে বলে তাঁর বান্ধবী ডোনা গুপ্ত অভিযোগ করেন। এক কনস্টেবলও একটি অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু সরকার বা পুলিশ কোনও অভিযোগ দায়ের করেনি। সুদীপ্তের বাবা প্রণব গুপ্ত পরে আদালতে অভিযোগ করেন, “পুলিশি হেফাজতে সুদীপ্তকে খুন করা হয়েছে। এই নিয়ে তদন্তও হচ্ছে না।”
প্রণববাবুর আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য বুধবার শুনানিতে বলেন, “দুর্ঘটনায় নয়, এটা হত্যা। সাক্ষীদের বক্তব্য থেকে জানা গিয়েছে, বাসটি বডিগার্ড লাইনের সামনে যাওয়ার পরেই পুলিশ বাসের ভিতরে লাঠি চালাতে শুরু করে। সেখান থেকে প্রায় আড়াই কিলোমিটার দূরে, প্রেসিডেন্সি জেলের কাছাকাছি দুর্ঘটনায় সুদীপ্তের মৃত্যু হয়েছে বলে পুলিশ দাবি করছে।
কিন্তু প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পুলিশের আক্রমণেই সুদীপ্তের মৃত্যু হয়।” সরকারের তরফে এ দিন আদালতে বলা হয়, পুলিশি হেফাজতে এই মৃত্যু দুর্ভাগ্যজনক। তবে এটা হত্যা নয়। |