পার্ক স্ট্রিটে ধর্ষণ ও ধর্ষিতা সম্পর্কে তিনি মন্তব্য করেছিলেন মাস পাঁচেক আগে। এত দিনে রাজ্য মানবাধিকার কমিশনে হাজির হয়ে সেই মন্তব্যের ব্যাপারে নিজের ভুল স্বীকার করে নিলেন তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদার। তাঁর মন্তব্য নিয়ে যে-তদন্ত চলছিল, বুধবার সাংসদের স্বীকারোক্তির পরেই তা বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।
ডিসেম্বরে একটি বৈদ্যুতিন মাধ্যমে কাকলিদেবী পার্ক স্ট্রিটে ধর্ষিতার সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করেছিলেন বলে অভিযোগ। ওই ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে তখন তোলপাড় চলছে। সেই সময়েই কাকলিদেবী বলেন, “বিষয়টি পেশাগত গণ্ডগোলের। খদ্দেরের সঙ্গে দরদাম নিয়ে সমস্যা হয়েছিল।” এই মন্তব্যে শুধু কলকাতা নয়, সারা দেশেই চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। গণমাধ্যমে ওই সংবাদ জেনে রাজ্য মানবাধিকার কমিশন স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে তদন্ত শুরু করে। তদন্তের সূত্রে কমিশন কাকলিদেবীকে বেশ কয়েক বার ডাকলেও তিনি নানা কারণে হাজির হতে পারেননি। এ দিন আইনজীবীকে নিয়ে তিনি শুনানিতে উপস্থিত হন।
কমিশন সূত্রের খবর, প্রায় এক ঘণ্টা কাকলিদেবীর শুনানি চলে। তাঁকে বৈদ্যুতিন মাধ্যমে প্রচারিত তাঁর ছবি দেখানো হয়, শোনানো হয় তাঁর মন্তব্যও। তিনি কবুল করেন, ওই কণ্ঠস্বর তাঁরই। তবে তিনি কমিশনকে জানান, সেই সময় তিনি একটা মানসিক দ্বন্দ্বে পড়ে গিয়ে ওই মন্তব্য করেছিলেন। বিচারাধীন ওই বিষয়ে তাঁর মন্তব্য করা উচিত হয়নি। ভবিষ্যতে তিনি এই ধরনের কাজ আর কখনও করবেন না বলে জানান। কাকলিদেবীর স্বীকারোক্তির পরে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অশোককুমার গঙ্গোপাধ্যায় এবং দুই সদস্য অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি নারায়ণচন্দ্র শীল ও সৌরীন রায় এই তদন্ত বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেন। এই বিষয়ে কাকলিদেবী মন্তব্য করতে চাননি। |