স্কুলের মুখে হাঁটু জল জমে থাকে। কিন্তু বারে বারে স্থানীয় পঞ্চায়েত ও প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি বলে ক্ষোভ অভিভাবক, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের। তাই তাঁরা অবিলম্বে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেওয়ার দাবি তুলছেন। সমস্যাটি ইলামবাজারের নেলেগড় এলাকার বলাইকৃষ্ণ স্মৃতি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের। ইলামবাজারের বিডিও অনিরুদ্ধ নন্দী বলেন, “বিষয়টি আমাদের নজরে রয়েছে। তহবিলের অভাবে কাজটা এই মুহূর্তে করা যাচ্ছে না। অনুদান এলেই ওই এলাকায় বিশেষ করে বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে একটি কালভার্ট করা হবে।”
ওই স্কুল সংলগ্ন রাস্তা তৈরির সময় কোনও এক কারণে স্কুলের মূল ফটকের কাছে আচমকা রাস্তাটি নামানো হয়। ফলে সংলগ্ন রাস্তা থেকে অনেকটা নিচু হয়ে গিয়েছে স্কুলে প্রবেশ পথ।
স্থানীয় কলেজ পডুয়া সুকান্ত মেটে, অভিভাবক লক্ষ্মী নারায়ণ পাল, ভৈরব সাহা, সঞ্জয় মণ্ডলদের ক্ষোভ, “শুধু স্কুলের পড়ুয়াদের সমস্যা নয়। অসুবিধে হছে দিন এনে দিন খাওয়া মানুষদের মাথা গোঁজার ঘর নিয়েও। স্কুলের মুখে জমা জল বাসিন্দাদের বাড়িতে ঢুকে যায়। বর্ষা মরসুমের আগে পাকাপাকি ব্যাবস্থা নেওয়ার দাবি করছি।” প্রধান শিক্ষিকা রূপলেখা মুখোপাধ্যায় বলেন, “পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত ৮৮৮ জন ছাত্রী রয়েছে। সমস্যা সমাধানের জন্য বিভিন্ন স্তরে জানিয়েছি। কবে সুরাহা হবে জানি না।” সমস্যার কথা স্বীকার করে নিয়ে স্কুল পরিচালন সমতির সম্পাদক তাপস চট্টোপাধ্যায় বলেন, “ইলামবাজার থানা এলাকার একটি মাত্র বালিকা বিদ্যালয়। পঠনপাঠন ভাল হয়। পরিকাঠামোও রয়েছে। কিন্তু স্কুলে ঢোকার মুখে জল জমছে। পড়ুয়া, শিক্ষকশিক্ষিকাদের পাশাপাশি পাশের বাড়ির লোকেদেরও সমস্যা হচ্ছে। আশা করি দ্রুত সমাধান হবে।” ইলামবাজারের পঞ্চায়েত প্রধান কৃষ্ণকান্ত হাজরা বলেন, “সমস্যার কথা শুনেছি। কী ভাবে সমাধান করা যায়, সে বিষয় বিডিও-র সঙ্গে আলোচনা করে শীঘ্রই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” |