ভরদুপুরে হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগ থেকে উধাও হয়ে গিয়েছিল সদ্যোজাত শিশু। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তাকে উদ্ধার করা হলেও প্রশ্ন উঠেছে হাসপাতালের নিরাপত্তা নিয়ে।
প্রকাশ্যে কেউ মুখ না খুললেও হাসপাতালের অনেক কর্মীও মেনে নিয়েছেন ঘটনাটি ‘লজ্জাজনক’। তবে রবিবারের ঘটনার পর নড়ে বসেছে করিমপুর গ্রামীণ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালে নজরদারি বাড়াতে উদ্যোগী হয়েছেন হাসপাতালের সুপার রাজীব ঘোষ। তিনি বলেন, “গ্রামীণ হাসপাতালে সাধারণত নিরাপত্তারক্ষীর ব্যবস্থা থাকে না। নজরদারি বাড়াতে মঙ্গলবার থেকে হাসপাতালে একটি নির্দেশিকাও জারি করা হয়েছে।” |
নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, এত দিন হাসপাতালে প্রসূতি ভর্তি হলে তাঁর নাম, ঠিকানাই হাসপাতালের রেজিস্টারে নথিভূক্ত করা হত। এখন প্রসূতির সঙ্গে যিনি থাকবেন তাঁর নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর, রোগীর সঙ্গে তাঁর কী সম্পর্ক সবই নথিভূক্ত করবে হাসপাতাল। প্রসূতি ছাড়াও অন্যান্য যে কোন রোগী চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে এলে বা ভর্তি হলে সঙ্গে যারা আসছেন, নথিবদ্ধ করা হবে তাঁদের নাম-ঠিকানাও। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ব্যাখ্যা, ঝুঁকি এড়ানোর পাশাপাশি হাসপাতালেরও কিছু সুবিধা হবে। কোনরকম প্রয়োজন হলেই সঙ্গে সঙ্গে রোগীর সেই আত্মীয় কিংবা বাড়ির লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাবে।
নির্দেশিকা অনুসারে মঙ্গলবার থেকে সেই কাজ শুরুও হয়েছে। প্রসূতিদের সঙ্গে থাকা মহিলাদের নাম, ঠিকানা লিখে নেওয়া হয়েছে। এ দিন দুপুরেই তৃতীয় সন্তানের মা হয়েছেন গোপালেরপাড়ার উর্মিলা বিবি। সঙ্গে রয়েছেন মা আয়েশা বিবি। তিনি বলেন, ‘‘এ দিন আমার নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বরও লিখে নিয়ে গেল হাসপাতালের লোকজন।’’ রাজীব ঘোষ বলছেন, ‘‘এতে কিছুটা হলেও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়ানো যাবে।’’ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে রোগী কল্যাণ সমিতির সভাপতি তথা বিধায়ক সিপিএমের সমরেন্দ্রনাথ ঘোষ। তিনি বলেন, ‘‘একজন নিরাপত্তারক্ষী রাখা যায় কি না সেই বিষয়েও ভাবনা চলছে।’’ দাওয়াই তো পড়ল এখন রোগ কতটা সারে সেটাই দেখার।
|
পিজির পথ্যের মান দেখে বিরক্ত স্পিকার
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
রোজ লাউ বা কুমড়োর ঘ্যাঁট, ট্যালট্যালে ডাল, মাছের টুকরো ছোট হতে হতে উধাও হওয়া নিয়ে এত দিন সরব ছিলেন পিজি-র রোগী ও তাঁদের পরিজনেরা। এ বার খোদ বিধানসভার স্পিকার তা নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করলেন। মঙ্গলবার এক আত্মীয়কে দেখতে এসএসকেএমে আসেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। রোগী দেখার পরে সটান হাসপাতালের রান্নাঘরে ঢুকে পড়েন তিনি। রোগীর পথ্য তৈরি হয় যেখানে, সেখানকার হাল দেখে বিরক্ত স্পিকার আর চুপ করে থাকতে পারেননি। সোজা পৌঁছে যান সুপার তমালকান্তি ঘোষ ও অধিকর্তা প্রদীপ মিত্রের ঘরে। খাবারের মান ও রান্নাঘরের পরিচ্ছন্নতা নিয়েও অভিযোগ জানান। বিমানবাবুর কথায়, “ওই খাবার দিনের পর দিন খাওয়া সম্ভব নয়। তাই বহু রোগী হাসপাতালের খাবার ফেরত পাঠান। যা বলার কর্তৃপক্ষকে বলেছি। প্রয়োজন হলে বিধানসভার স্বাস্থ্য বিষয়ক কমিটিকে হাসপাতালে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করব।” খাবার নিয়ে অভিযোগের কথা মেনে নিয়ে সুপার বলেন, ‘‘নিয়মিত নজরদারির ব্যবস্থা আছে। মাছের টুকরো থেকে শুরু করে পরিচ্ছন্নতা সব দেখা হয়। খারাপ দেখলে সতর্ক করি। টাকাও কাটা হয়। কিছু দিন সব ঠিক থাকে, তার পরে যে কে সেই। তবে পথ্যের দাম বেড়েছে। আশা করি, মান উন্নত হবে।” |