এক বার নয়, বারবার। এবং সম্প্রতি নয়, দেড় বছর আগেই অর্থ লগ্নি সংস্থার কাজকারবার নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন রাজ্যের ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রী সাধন পাণ্ডে। মঙ্গলবার মহাকরণের রোটান্ডায় দাঁড়িয়ে এই দাবি করেন তিনি।
এ দিন ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের একটি ‘মউ’ বা সমঝোতাপত্র স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে সাধনবাবু বলেন, “দেড় বছর ধরে আমি অর্থ লগ্নি সংস্থার কাজকর্ম সম্পর্কে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বীরাপ্পা মইলি এবং সচিন পায়লটকে বারবার জানিয়ে আসছি। মইলিকে এ কথাও বলেছিলাম যে, ওই সব কোম্পানিকে চিহ্নিত করে তিনি যেন ব্যবস্থা নেন। কিন্তু তিনি কিছুই করেননি।”
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ও সেবি-কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি বলা সত্ত্বেও তাঁরাও বিষয়টিকে আমল দেননি বলে এ দিন অনুযোগ করেন সাধনবাবু। কিন্তু রাজ্য সরকারকে কি এ-সব জানিয়েছিলেন ওই বর্ষীয়ান মন্ত্রী? সাধনবাবু বলেন, “আমি সকলকেই জানিয়েছিলাম।” সংবাদমাধ্যমের প্রশ্ন, মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়ে ছিলেন? সাধনবাবুর জবাব, “বললাম তো, সকলকেই জানিয়েছিলাম। সব কথা আমি বলতে পারব না।” ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রীর কথায়, “অর্থ লগ্নি সংস্থায় টাকা রেখে যাঁরা ঠকেছেন, তাঁদের অভিযোগ পাচ্ছি। আমরা সেগুলি কমিশনের কাছে পাঠিয়ে দিচ্ছি। মুখ্যমন্ত্রী কমিশন গড়েছেন। তাঁরা সে-সব দেখছেন।”
ক্রেতা সুরক্ষা দফতর লোক ঠকানোর ব্যবসা বন্ধ করতে কোমর বাঁধছে বলে মন্ত্রীর দাবি। তিনি বলেন, নানা ভাবে প্রতারণা করা হয়। ২০ লক্ষ টাকা প্রতারণা হলে জেলায় জেলায় ক্রেতা সুরক্ষা আদালতে অভিযোগ করা যায়। এক কোটি টাকা পর্যন্ত প্রতারণা হলে জানানো যায় রাজ্য ক্রেতা সুরক্ষা আদালতে। এখানে আইনজীবীর কোনও প্রয়োজন নেই। নিজেই মামলা করতে পারেন। সাধনবাবুর আক্ষেপ, “অর্থ লগ্নি সংস্থা সম্পর্কে সচেতন করার জন্য আমাদের প্রায় ১৫০ জন ইনস্পেক্টর রিজার্ভ ব্যাঙ্ক থেকে তালিম নিয়েছেন। কিন্তু তাঁদের কাজে লাগাতে পারছি না। সরকার অনুমতি দিলেই তাঁরা কাজ করতে পারেন।” তবে অর্থ লগ্নি সংস্থার কেলেঙ্কারির কোনও প্রভাব পঞ্চায়েত নির্বাচনে পড়বে না বলেই মনে করেন সাধনবাবু।
|