|
|
|
|
বাজ পড়ে পুড়ল দোকান, দমকল দেরিতে আসায় বিক্ষোভ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম |
বাজ পড়ে ভস্মীভূত হয়ে গেল একটি মনোহারি দোকান। মঙ্গলবার বিকেলে ঝাড়গ্রামের মানিকপাড়ায় ঘটনাটি ঘটে। স্থানীয় রামকৃষ্ণ বাজারের ওই দোকানটি অবশ্য এদিন বন্ধ ছিল। দোকানটির মালিক সুবোধ মাহাতো ব্যক্তিগত কাজে ওড়িশার কটকে গিয়েছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন বিকাল ৩টে নাগাদ আচমকা বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি শুরু হয়। ওই দোকানটির উপর সশব্দে বাজ পড়ায় আগুন লেগে যায়। দোকানে জেরক্স মেশিন ও এসটিডি বুথও ছিল। স্থানীয় ব্যবসায়ী ও বাসিন্দারা আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু দোকানটির শাটার বন্ধ থাকায় আগুন আয়ত্তে আনা সম্ভব হয়নি। রামকৃষ্ণ বাজারের ব্যবসায়ীরা বার বার ঝাড়গ্রাম দমকল কেন্দ্রে ফোন করেন। কিন্তু সেখানে কেউ ফোন ধরেননি বলে অভিযোগ। এরপর মানিকপাড়া পুলিশ বিট হাউসের পক্ষ থেকে ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশ কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়। জানা যায়, বজ্রপাতের দরুণ ঝাড়গ্রাম দমকল কেন্দ্রের টেলিফোনটি বিকল হয়ে গিয়েছে। এসডিপিও (ঝাড়গ্রাম) সন্তোষকুমার মণ্ডল নিজেই যোগাযোগ করে দমকল নিয়ে যখন মানিকপাড়ায় পৌঁছন, ততক্ষণে দোকানটি সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে। প্রায় দু’ঘন্টা পরে দমকলের গাড়ি পৌঁছনোয় ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। দমকলের গাড়ি ঘিরে ঘন্টা খানেক বিক্ষোভ দেখানো হয়। মানিকপাড়ায় একটি দমকলের ইউনিট রাখার দাবি করেন এলাকাবাসী। পরে পুলিশ-প্রশাসনের আশ্বাস পেয়ে সন্ধ্যায় বিক্ষোভ ওঠে।
রামকৃষ্ণ বাজার কমিটির যুগ্ন সম্পাদক জগন্নাথ মল্লিক বলেন, “বৃষ্টি না-হলে আশেপাশের দোকানগুলিতেও আগুন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা ছিল। এর আগেও গত জানুয়ারি মাসে মানিকপাড়ায় একটি বাড়িতে শট সার্কিটের দরুণ আগুন লেগে ৫ জন মারা যান। সে বারও দমকল দু’ঘন্টা দেরিতে এসেছিল। তখন মানিকপাড়ায় দমকলের একটি ইউনিট রাখার আশ্বাস দিয়েছিল প্রশাসন। তা বাস্তবায়িত হয়নি।” |
|
|
|
|
|