|
|
|
|
বন্ধ ঘরে পুড়ে মৃত্যু |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
বন্ধ ঘরে পুড়ে মৃত্যু হল বধূর। সোমবার সকালে হলদিয়ার সুতাহাটা থানার তাজপুরের ঘটনা। মৃতার নাম আমিনা বিবি (২২)। আমিনার বাবা শেখ আসানুল্লা মেয়ের স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি-সহ ৫ জনের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযুক্তরা পলাতক।
নন্দকুমার থানার কুমরআড়া গ্রামের আমিনার সঙ্গে পেশায় কাঠের মিস্ত্রি শেখ রহিমের বিয়ে হয়েছিল বছর চারেক আগে। তাঁদের দু’বছরের এক মেয়েও আছে। আমিনার বাপের বাড়ির অভিযোগ, বিয়ের সময় নগদ ২০ হাজার টাকা ছাড়াও মেয়েকে বেশ কিছু গয়না দেওয়া হয়েছিল। কিছু দিন পর থেকেই আরও ৪০ হাজার টাকা চেয়ে আমিনার উপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার শুরু করে স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। টাকা না পেয়েই শ্বশুরবাড়ির লোকেরা আমিনাকে পুড়িয়ে মেরেছেন বলে বাপের বাড়ির লোকেদের দাবি। আমিনার মামা শেখ তাহের আলি বলেন, “সোমবার সকাল ১১টা নাগাদ আমিনার শ্বশুরবাড়ির প্রতিবেশীরা আমাদের ফোন করে ঘটনাটা জানায়। হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালে গিয়ে দেখি আমিনার মুখ পুড়ে গিয়েছে। হাতে কাটা-ছেড়ার দাগ, পায়ের নখ উপড়ে গিয়েছে। আমাদের অনুমান, আমিনাকে মারধর করার পরে অজ্ঞান অবস্থায় দরজা বন্ধ করে দিয়ে ওরা আগুন লাগিয়েছিল।”
যদিও শ্বশুরবাড়ির তরফে আত্মীয়-স্বজনদের দাবি, শাশুড়ির সঙ্গে আমিনার অশান্তি চলছিল। তারই জেরে ঘরের দরজা লাগিয়ে গায়ে আগুন দেন আমিনা। জানলা ভেঙে আমিনাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। বেগতিক বুঝে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা পালিয়ে যান। তবে আমিনাকে হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করার সময়ও সেখানে তাঁর স্বামী শেখ রহিম উপস্থিত ছিলেন। বাপের বাড়ির লোকেরা এলে তিনি পালান। অবস্থার অবনতি হলে আমিনাকে জেলা হাসপাতালে ‘রেফার’ করেন চিকিৎসকেরা। দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ পথে আমিনার মৃত্যু হয়। |
|
|
|
|
|