মর্গ্যান জমানার শেষ লগ্নে কি বিদ্রোহী হয়ে উঠছেন ইস্টবেঙ্গল ফুটবলাররা!
এএফসি কাপের প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালের মতো মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগের দিন লাল-হলুদ অধিনায়ক সঞ্জু প্রধানের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশে যেন সে রকমই ইঙ্গিত!
ইয়াঙ্গনের বিরুদ্ধে সঞ্জুকে দলে রাখেননি সাহেব কোচ। তাঁর জায়গায় খেলার সম্ভাবনা ইসফাকের। এতেই চটেছেন দলনেতা। মঙ্গলবার অনুশীলন শেষ হওয়ামাত্র মাঠ ছাড়েন তিনি। মর্গ্যান ড্রেসিংরুমে ঢোকার আগেই যুবভারতী ছেড়ে বেরিয়ে যান সঞ্জু। পরে ফোনে ধরা হলে সঞ্জু বললেন, “খারাপ খেলে দল থেকে বাদ পড়লে আফসোস হয় না। কিন্তু পারফরম্যান্স থাকা সত্ত্বেও বাদ পড়তে হলে রাগ তো হবেই।”
সাংবাদিক সম্মেলনে সঞ্জু প্রসঙ্গ উঠতেই ক্ষুব্ধ দেখান মর্গ্যানকে। বলেন, “আমি এই ম্যাচের জন্য অধিনায়কের নাম এখনও ঘোষণা করিনি। সঞ্জু আঠারো জনের মধ্যে থাকবেই না, এ কথাও বলিনি।” যদিও সাংবাদিক সম্মেলনের আগে মর্গ্যানের পাশে বসেই ইস্টবেঙ্গলের মিডিয়া ম্যানেজার মেহতাব হোসেনের নাম অধিনায়ক হিসাবে ঘোষণা করে দিয়েছিলেন। তা ছাড়া এএফসি-র নিয়মে আন্তর্জাতিক ম্যাচের আগের দিন সাংবাদিক সম্মেলনে হাজিরা এক রকম বাধ্যতামূলক প্রতিটি দলের কোচ ও অধিনায়কের।
ময়দানের গুঞ্জন, মর্গ্যানের উপর অনেক দিন ধরেই সঞ্জুর রাগ। পরের মরসুমে তাঁর মোহনবাগানে পা বাড়ানোর কারণও নাকি মর্গ্যান। গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক ম্যাচে দল থেকে বাদ পড়ার পর সেই ক্ষোভই লাভা স্রোতের মতো বেরিয়ে পড়েছে। শুধু সঞ্জু নন, নিয়মিত দলে সুযোগ না পাওয়ায় ইস্টবেঙ্গলের অনেক ফুটবলারেরই কোচের বিরুদ্ধে ক্ষোভ রয়েছে বলে টিম সূত্রের খবর। তবে সঞ্জুর মতো প্রকাশ্যে কেউ কোচের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মুখ খোলেননি।
তার মধ্যেই অবশ্য এএফসি কাপে শেষ আটের ছাড়পত্র হাসিল করার লক্ষ্যে চিডি-পেনরা উদ্দীপ্ত হয়ে ওঠার চেষ্টা চালাচ্ছেন। চিডি গান শুনে নিজের মনকে শান্ত রাখছেন। সংস্কারাচ্ছন্ন বলে পরিচিত পেন ফের চুলে ‘বুমবুম’ স্টাইল করেছেন। এই হেয়ারস্টাইল নিয়ে খেলেই গ্রুপে ভিয়েতনামের সাইগন ম্যাচে দলের ৪-১ জয়ে পেন দু’গোল করেছিলেন। পেন অবশ্য দাবি করলেন, “টেনশন কমাতেই এ রকম করেছি।” পাশাপাশি কানের দুল হারিয়ে কিছুটা অস্বস্তিতেও তিনি। কারণ দুলটাও তাঁর নাকি ‘লাকি’ ছিল!
|