|
|
|
|
পরিবহণের অফিস আজ থেকে চালু খড়্গপুরেও |
নিজস্ব সংবাদদাতা • খড়্গপুর |
গাড়ির রেজিস্ট্রেশনই হোক আর লাইসেন্স, খড়্গপুরের মানুষকে আর মেদিনীপুর যেতে হবে না। রেলশহরেই মিলবে এই পরিষেবা। আজ, বুধবার থেকে খড়্গপুরে খুলছে পরিবহণ দফতরের অফিস। মহকুমাশাসকের কার্যালয় চত্বরের মধ্যে এক রুমে অফিসের পরিকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। মহকুমা পরিবহণ দফতরের এই অফিসের উদ্বোধন করার কথা পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্রের। থাকবেন মহকুমাশাসক আর বিমলা। জেলা পরিবহণ আধিকারিক প্রিয়াঞ্জন দাস বলেন, “বুধবার ওই অফিসের উদ্বোধন হবে। ইতিমধ্যে সমস্ত প্রস্তুতি সারা হয়েছে।” অন্যদিকে, জেলা পরিবহণ দফতরের সরকার মনোনীত সদস্য প্রদ্যোৎ ঘোষ বলেন, “মা-মাটি-মানুষের সরকার সাধারণ মানুষের দরজায় পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করছে। আগে খড়্গপুরের মানুষকে রেজিস্ট্রেশন কিংবা লাইন্সেস করানোর জন্য মেদিনীপুরে যেতে হত। এর জেরে অনেকে সমস্যায় পড়তেন। আর সেই পরিস্থিতি হবে না।”
সম্প্রতি ঝাড়গ্রামেও পরিবহণ দফতরের অফিস খোলা হয়েছে। এত দিন জেলায় একটিই অফিস, মেদিনীপুরে। জেলা কালেক্টরেট চত্বরের মধ্যে। এই অফিস থেকেই জেলার সব কাজ হত। নতুন গাড়ির রেজিস্ট্রেশন থেকে শুরু করে গাড়ির মালিকানা পরিবর্তন, লাইসেন্স দেওয়া, কোন রুটে কোন সময়ে কোন বাস চলবে তা নির্ধারণ করা, গাড়ির কাগজপত্র খতিয়ে দেখা— সব কিছুই। প্রয়োজনের তুলনায় কর্মীসংখ্যা কম থাকার ফলে অফিসে সমস্যাও হয়। এখানে একজন জেলা পরিবহণ আধিকারিক, ১ জন-সহ আধিকারিক, মোটর ভেহিকেলস ইন্সপেক্টর বা এমভিআই (নন টেকনিক্যাল), ৩ জন মোটর ভেহিক্যালেস ইন্সপেক্টর (টেকনিক্যাল) থাকার কথা। তবে এই সংখ্যক আধিকারিক-কর্মী নেই। সহ আধিকারিকের পদ শূণ্য। এমভিআই আছেন ২ জন।
জেলায় ছোট-বড় গাড়ি বা মোটর বাইক বিক্রিও বেড়েছে। ফলে, চাপ বাড়ছিল জেলা অফিসে। নতুন গাড়ির রেজিস্ট্রেশন কিংবা লাইসেন্স মেদিনীপুরে হত। ফলে, বেলপাহাড়ি হোক কিংবা সবং-পিংলা, নতুন গাড়ি নিয়ে মানুষকে মেদিনীপুরে আসতে হত। জেলা পরিবহণ দফতরের সদস্য প্রদ্যোৎবাবুর বক্তব্য, “দাঁতন-পিংলার মতো এলাকা থেকে গাড়ি নিয়ে মেদিনীপুরে আসতে হলে সমস্যা তো হবেই। আগের সরকার তো এ সব ভাবার সময়ই পায়নি! সমস্যার সমাধানের জন্যই মহকুমাস্তরে পরিবহণ দফতরের অফিস খোলার এই উদ্যোগ।” |
|
|
|
|
|